বিশেষ লক্ষের বিষয় এই যে, শিষ্যগণের মধ্যে যখন পূর্ণ একতা দেখা দিল, যখন তাঁহারা শ্রেষ্ঠ পদ লাভের জন্য আর চেষ্টা করিলেন না, তখনি পবিত্র আত্মার বর্ষণ হইল । তাঁহারা সকলে এক চিত্ত ছিলেন । সকল বিবাদ দূর করিয়া দিয়াছিলেন । পবিত্র আত্মা দত্ত হইবার পর, তাঁহারা যে সাক্ষ্য দিয়াছিলেন, তাহা একইরুপ ছিল । বস্তুতঃ “যে বহুসংখ্যক লোক বিশ্বাস করিয়াছিল, তাঁহারা একচিত্ত ও একপ্রান ছিল ।” (প্রেরিত ৪:৩২) । পাপীরা যাহাতে বাঁচিয়া থাকিতে পারে, তজজন্য যিনি মৃত্যুভোগ করিয়াছিলেন, তাঁহারই আত্মা বিশ্বাসীগণের সমগ্র সমাজকে উজ্জীবিত করিয়াছিল । CCh 299.1
শিষ্যগণ নিজেদের জন্য কোন আশীর্ব্বাদ যাঞ্চা করেন নাই । তাঁহারা আত্মা লাভের জন্য ব্যাকুল হইয়াছিলেন, বলিয়া পবিত্র আত্মায় সিক্ত হইয়াছিলেন । পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত সুসমাচার লইয়া যাইতে হইবে বলিয়া তাঁহারা খ্রীষ্ট-প্রতিস্রুত-শক্তি পরিহিত হইবার জন্য দাবি করিতেছিলেন । তাহাতে পবিত্র আত্মা বর্ষিত হইইয়াছিল ও একদিনে সহস্র সহস্র লোকের মনপরিবর্ত্তন ঘটিয়াছিল । CCh 299.2
এখনও এইরুপ হইতে পারে । খ্রীষ্টীয়ানগণ সকল অনৈক্য দূর করিয়া দিউক এবং হারাণদিগের উদ্ধারকল্পে নিজেদিগকে ঈশ্বরের হস্তে সমর্পণ করুক । প্রতিজ্ঞাত আশীর্ব্বাদের নিমিত্ত তাহারা বিশ্বাস পূর্ব্বক প্রার্থনা করুক, তাহাতে তাহারা তাহা প্রাপ্ত হইবে । প্রেরিতগণের সময়ে পবিত্র আত্মার যে বর্ষণ হইয়াছিল, তাহাকে “অগ্রিম-বর্ষা” কহে, এবং ইহার ফল ছিল মহৎ । কিন্তু অন্তিম বর্ষা ইহা অপেক্ষাও অধিকতর প্রচুর হইবে । এই শেষকালে যাহারা বসবাস করিতেছে, তাহাদের নিকটে কী প্রতিজ্ঞা করা হইয়াছিল ? “হে আশার বন্দিগণ, তোমরা ফিরিয়া দৃঢ় দুর্গে আইস ; আমি অদ্যই অঙ্গীকার করিতেছি, আমি তোমাকে দ্বিগুণ অংশ দিব ।” “তোমরা শেষ বর্ষার সময়ে সদাপ্রভুর কাছে বৃষ্টি যাঞ্চা কর ; সদাপ্রভু বিদ্যুতের উৎপাদক । তিনি তোমাদিগকে প্রচুর বৃষ্টি দিবেন, প্রত্যেক জনের ক্ষেত্রে তৃণ দিবেন ।” (সখরিয় ৯:১২ ; ১০:১ )।28T 20, 21 ; CCh 299.3