জগতের লোকেরা প্রায়শঃ যে সকল মশলা ও আচার, চাট্নি ব্যবহার করে, সেগুলি হজমের পক্ষে বড়ই অনিষ্টকর। 13CD 399; CCh 538.2
এই লম্পটতার যুগে খাদ্যদ্রব্য যত কম উত্তেজক হইবে, ততই মঙ্গল। আচার, চাট্নি ও মস্লা স্বতই ক্ষতিকারক। সরিষা, গোলমরিচ গরম মস্লা, কাসুন্দি, পিকল্ (Pickle) এবং অন্যান্য বহু জিনিষ এই শ্রেণীর অন্তর্গত। ইহারা পাকস্থলীকে উত্তেজিত করে এবং রক্তকে উষ্ণ ও দূষিত করে। মাতালের পাকস্থলীর উত্তেজিত অবস্থা প্রায়ই চিত্রিত করিয়া মদ্যপানের কুফলতা দেখান হইয়া থাকে। উত্তেজক আচার, চাট্নি ও মস্লা ব্যবহারের ফলে পাকস্থলীতে ঠিক্ একই প্রকার উত্তেজক অবস্থার সৃষ্টি হইয়া থাকে। তাহাতে সাধারণ খাদ্যে শীঘ্রই একটা বীতস্পৃহা জন্মে। অধিকতর উত্তেজক কোন কিছুর জন্য সমগ্রদেহে একটা অভাব ও একটা আকাঙ্ক্ষা অনুভূত হয়। 14MH 325; CCh 538.3
কোন কোন ব্যক্তির স্বাদ এতদূর বিকৃত বা অসংযত হইয়া গিয়াছে যে, তাহাদের রসনায় যাহা চাহিবে, ঠিক্ সেই জিনিষটী না পাইলে, খাদ্য ভক্ষণে তাহারা কোনই আনন্দ উপভোগ করিতে পারে না। তাহারা এই সকল অগ্নিতুল্য চাবুকের আঘাত দ্বারা তাহাদের পাকস্থলীকে কার্য্যে প্রবৃত্ত করে; কারণ ইহাকে এইরূপে আহার করান হইয়াছে যে, উত্তেজক খাদ্য না হইলে সে উহা গ্রহণই করিবে না। 15CD 340; CCh 538.4
গরম মসলা প্রথমে পাকস্থলীর কোমল আবরণটীকে প্রদাহিত করে, এবং অবশেষে ইহা এই কোমল ঝিল্লীর স্বাভাবিক অনুভূতিশক্তি নষ্ট করিয়া দেয়, রক্ত উষ্ণ হইয়া উঠে, পাশবিক প্রবৃত্তিগুলি জাগরিত হয়, সঙ্গে সঙ্গে নৈতিক বল ও ধীশক্তি খর্ব্ব হইয়া হীন কাম-প্রবৃত্তিগুলির দাস হইয়া পড়ে। পরিবারস্থ সকলের সম্মুখে সাদাসিধে অথচ পুষ্টিকর খাদ্য রাখিবার নিমিত্ত মাতার অধ্যয়নের প্রয়োজন। 16CH 114; CCh 539.1