প্রত্যেক মণ্ডলীতে দরিদ্রগণের নিমিত্ত ধনভান্ডার স্থাপন করিতে হইবে। আর এই জন্য, সুযোগ মতে সপ্তাহের মধ্যে একবার, অথবা মাসের মধ্যে একবার প্রত্যেক সভ্যেরই ঈশ্বরের নিকটে ধন্যবাদের উপহার উপস্থিত করা কর্ত্তব্য। ঈশ্বর আমাদিগকে স্বাস্থ্য, খাদ্য ও আরামদায়ক বস্ত্রাদি দিয়া থাকেন, এজন্য তাঁহার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে এই উপহার দেওয়া হইয়া থাকে। এই সকল আরাম দান করিয়া ঈশ্বর যে পরিমাণে আমাদিগকে আশীর্ব্বাদ করিয়াছেন, আমরা কি দরিদ্রদিগের জন্য সেই পরিমাণে দুঃখ ক্লেশ সঞ্চয় করিয়া রাখিব? আমি বিশেষভাবে এই বিষয়ের দিকে আমার ভাতৃগণের মনোযোগ আকর্ষণ করিব। আপনারা দারিদ্রদিগকে স্মরণে রাখিবেন। আপনাদের কোন কোন বিলাসিতা বর্জ্জন করুন, হাঁ, এমন কি আরাম পরিত্যাগ করুন এবং যাহারা অতি নগণ্য খাদ্য- বস্ত্রের সংস্থান করিতে পারে, তাঁহাদের সাহায্য করুন। বস্তুতঃ তাঁহাদের জন্য ইহা করিয়া আপনি যীশুর জন্য করিতেছেন। কারণ ক্লিষ্ট মানবজাতির সহিত তিনি নিজের তুলনা করেন। আপনার কাল্পনিক অভাব যে পর্য্যন্ত না বিদরিত হয়, তাবৎ অপেক্ষা করিবেন না। আপনার মনোবৃত্তির উপরে নির্ভর করিবেন না; এবং যখন দান করিবার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিবেন, কেবল তখনই দিবেন এবং যখন প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিবেন না, তখন দিবেন না, এইরূপে যেন মনোবৃত্তির উপরে নির্ভর করিতে না হয়। সদা প্রভুর দিনে স্বর্গীয় বিবরণ পুস্তকে দান সম্পর্কে আপনি যেমন আপনার নাম দেখিতে চাহেন, তেমনি নিয়মিত রূপে দান করিতে থাকুন।235T 150, 151; CCh 158.1