“যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্ম্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন, এবং আমাদগকে সমস্ত অধার্ম্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।” ১ যোহন ১ঃ ৯। CCh 171.1
ঈশ্বর চাহেন, যেন আমরা আপন পাপ স্বীকার করি, ও আমাদের অন্তঃ করন তাঁহার সম্মুখে নত করি; কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এই দঢ় প্রত্যয় রাখা কর্ত্তব্য যে, তিনি আমাদের দয়ালু পিতা এবং মাতা যাহারা তাঁহার উপরে নির্ভর করিবে, তিনি তাঁহাদিগকে পরিত্যাগ করিবেন না। আমাদের মধ্যে অনেকে চলে প্রমাণ দেখিতে পাইয়া, বিশ্বাসে চলে না। আমরা দৃশ্য বস্তুতে বিশ্বাস করি, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্যে যে অমুল্য প্রতিজ্ঞা রহিয়াছে, তাঁহার মর্ম্ম উপলব্ধি করি না; এইরূপে তিনি যাহা বলেন, তাহাতে অবিশ্বাস করিয়া আমরা সুনিশ্চিত রূপে বা অবিসংবাদিতভাবে তাঁহার অবমাননা করিয়া থাকি এবং মনে মনে এই সন্দেহ পোষণ করিয়া থাকি যে, আমাদের জন্য সদাপ্রভুর হয়তো কোন ঔৎসুক্য নাই, অথবা তিনি আমাদিগকে প্রতারণা করিতেছেন। CCh 171.2
আমাদের পাপের জন্য ঈশ্বর আমাদিগকে পরিত্রান করেন না । আমরা হয়তো ভুল করিতে এবং পবিত্র আত্মাকে দুঃখিত করিতে পারি ; কিন্তু আমরা যখন পাপের জন্য খেদ করি এবং অনুতপ্ত হৃদয়ে তাঁহার নিকটে আইসি, তখন তিনি আমাদিগকে তাড়াইয়া দেন না। বাধা বিঘ্ন সকল দুর করিতে হইবে। পোষিত ভ্রান্ত ধারনা, অহংকার, আত্ম-শ্লাষা, অধৈয্য, এবং বচসা, - আমাদিগকে ঈশ্বর হইতে পৃথক রাখে। পাপ সমূহ স্বীকার করা ও হৃদয়ে অনুগ্রহের গভীরতর কার্য্য দৃষ্ট হওয়া আবশ্যক। যাহারা নিজেদিগকে দুর্ব্বল ও হতাশ মনে করে, তাঁহারা ঈশ্বরের শক্তিশালী কার্য্যকারী হইয়া প্রভুর জন্য মহৎ কার্য্য- সকল সাধন করিতে পারে। কিন্তু তাঁহাদের এক উচ্চ দৃষ্ট কোণ হইতে কার্য্য করিতে হইবে; তাঁহারা কোন স্বার্থপর উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হইবে না। CCh 171.3
খ্রীষ্টের বিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষালাভ করিতে হইবে। খ্রীষ্টের ধার্ম্মিকতা ব্যতীত অনুগ্রহের নিয়মের একটী আশীর্ব্বাদও আমরা লাভ করিতে পারি না। এই সকল আশীর্ব্বাদ লাভ করিবার জন্য বহুদিন যাবৎ আকাঙ্ক্ষা ও চেষ্টা করিয়া আসিতেছি , কিন্তু এ যাবৎ উহা লাভ করিতে সমর্থ হই নাই; কারণ আমরা হৃদয়ে এই ধারণা পোষণ করিয়া আসিতেছি যে, ঐ সকল আশীর্ব্বাদ — প্রাপ্তির যোগ্য হইবার নিমিত্ত আমরা কিছু করিতে সমর্থ। যীশু একজন জীবিত ত্রানকর্ত্তা ইহা বিশ্বাস করিয়া, আমরা নিজেদের উপরে নির্ভর করা হইতে বিরত হই নাই। আমাদের অবশ্যই ইহা স্মরণে রাখিতে হইবে যে, আমাদের নিজেদের অনুগ্রহ কিংবা পুণ্যের দ্বারা আমরা পরিত্রাণ প্রাপ্ত হইব না, কিন্তু খ্রীষ্টের অনুগ্রহেই আমাদের পরিত্রানের একমাত্র আশাভূমি। সদাপ্রভু স্বীয় ভাববাদীর প্রমুখ্যাৎ প্রতিজ্ঞা করেনঃ- “দুষ্ট আপন পথ, অধাম্মিক আপন সঙ্কল্প ত্যাগ করুক, এবং সে সদা প্রভুর প্রতি করুনা করিবেন, আমাদের ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আইসুক, কেননা তিনি প্রচুর রূপে ক্ষমা করিবেন।” যিশাইয় ৫৫ঃ৭। এই সুস্পষ্ট প্রতিজ্ঞায় কেবল অনুভুতি নহে, কিন্তু সম্পূর্ণ বিশ্বাস করা আবশ্যক। যখন আমরা সম্পূর্ণ রূপে ঈশ্বরে নির্ভর করি এবং যীশুকে পাপ ক্ষমাকারী ত্রানকর্ত্তা বলিয়া বিশ্বাস করিয়া তাঁহার ধার্ম্মিকতার উপরে নির্ভর করি, তখনই আমরা তাঁহার নিকট হইতে বঞ্ছিত সাহায্য লাভ করিতে পারি। CCh 172.1
আমাদের নিজেদিগকে রক্ষা করিবার শক্তি আমাদের আছে, এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের বশবর্ত্তী হইয়া আমরা নিজেদের উপরে নির্ভর করি; কিন্তু ইহা করিতে আমারা সম্পূর্ণ অপারক বলিয়াই যীশু আমাদের নিমিত্ত প্রাণ দিলেন। এক্ষনে তাহাতেই আমাদের আশা, আমাদের মুক্তি ও আমাদের ধার্ম্মিকতা । আমাদের কোন ত্রানকর্ত্তা নাই, কিংবা আমাদের প্রতি অনুগ্রহের কোন চিন্তাই তাঁহার নাই, ইহা মনে করিয়া আমাদের নিরাশ এবং ভীত হওয়া কর্ত্তব্য নহে। এখনই তিনি আমাদের পক্ষে তাঁহার করণীয় কার্য্য করিতেছেন, এবং আমাদের এই অসহায় অবস্থায় তাঁহার নিকটে আসিতে ও পরিত্রাণ গ্রহন করিতে আহ্বান করিতেছেন। আমাদের অবিশ্বাসের দ্বারা আমরা তাঁহার অবমাননা করি। আমাদের সর্ব্বোত্তম বন্ধুর প্রতি আমরা যেরূপ ব্যবহার করি, তাহা বড়ই বিস্ময়ের বিষয়, কারণ যিনি আমাদিগকে তাঁহার মহান্ প্রেমের বিষয় প্রত্যেকটী সাক্ষ্য প্রদান করিয়াছেন, তাহাতে আমরা কত অল্প আস্থা রাখি। CCh 172.2
প্রিয় ভ্রাতৃগণ, খ্রীষ্টের পরিত্রাণ করিবার শক্তি আছে, ইহা বিশ্বাস করিবার পুর্ব্বে কি আশা করেন যে, আপনার সদ্গুণের দ্বারা আপনি ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করিবেন? আপনার মনে যদি এইরুপ সংগ্রাম চলিতে থাকে, তবে আমার ভয় হয়, আপনি কোন শক্তি লাভ করিতে পারিবেন না এবং অবশেষে হতাশ হইয়া পড়িবেন। CCh 173.1
প্রান্তরে বিদ্রোহী ইস্রায়েল — সন্তানগণকে দংশন করিবার নিমিত্ত সদাপ্রভু যখন বিষধর সর্প পাঠাইয়াছিলেন, তখন তিনি মোশিকে একটী পিত্তলেরসর্প উচ্চে স্থাপন করিতে এবং বাচিবার নিমিত্ত সর্পদষ্ট ব্যক্তিগণকে উহার দিকে দৃষ্টিপাত করিতে আদেশ দিয়াছিলেন। কিন্তু ঈশ্বর নিরূপিত এই উপায়ের দ্বারা তাঁহাদের মধ্যে অনেকেরই কোন সাহায্য প্রাপ্ত হয় নাই। মৃত ও মৃতকল্প বহুলোক তাঁহাদের চতুষ্পার্শে ছিল, এবং তাঁহারা সুনিশ্চিতরূপে জানিত যে, ঐশ্বরিক সাহায্য বিনা তাঁহাদের চক্ষুর জল সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষিত হইয়াছিল, তাবৎ তাঁহারা তাঁহাদের ক্ষতের, তাঁহাদের বেদনার ও তাঁহাদের নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য বিলাপ করিয়াছিল, কিন্তু তাঁহাদের এরূপ বিলাপ করিবার কোনই প্রয়োজন ছিল না, যেহেতু তাঁহাদের বিশ্বাস থাকিলে তাঁহারা তদ্দণ্ডেই সুস্থ হইতে পারিত। CCh 173.2
“মোশি যেমন প্রান্তরে সেই সর্পকে উচ্চে উঠাইয়াছিলেন, সেইরুপে মনুষ্যপুত্রও উচ্চীকৃত হইয়াছিলেন, যেন যে কেহ তাহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।” আপানার যদি পাপের সম্বন্ধে জ্ঞান জন্মিয়া থাকে, তবে ঐ পাপের নিমিত্ত বিলাপ করিয়া আপনার সমস্ত শক্তি ক্ষয় করিবেন না, কিন্তু খ্রীষ্টের দিকে দৃষ্টিপাত করুন এবং বাচিয়া থাকুন। যীশু আমাদের একমাত্র ত্রানকর্ত্তা ; এবং যদিও লক্ষ লক্ষ লোকের সুস্থ হওয়া প্রয়োজন, তথাপি তাঁহারা তাঁহার দত্ত অনুগ্রহ অগ্রাহ্য করিতিছে; ফলতঃ যে কেহ তাঁহার সদ্গুনে নির্ভর করিবে, সে কোনমতে বিনষ্ট হইবেনা। খ্রীষ্ট বিহীন অবস্থায় যদিও আমরা নিজেদিগকে অসহায় মনে করি, তথাপি আমাদের হতাশ হওয়ার কোনই প্রয়োজন নাই; কারণ ক্রুশেহত ও পুনরুন্থিত ত্রানকর্ত্তায় আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস করিতে হইবে। ওহে, হতভাগা, পাপ-পীড়িত, হতাশ মানব, আপনি ক্রুশে-হত যীশুর দিকে দৃষ্টিপাত করুন ও বাচুন। যীশু প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, যে কেহ তাঁহার নিকটে আসিবে, তিনি তাহাকে রক্ষা করিবেন। CCh 174.1
যীশুর নিকটে আইসুন এবং বিশ্রাম ও শান্তি লাভ করুন। আপনি এখনও আশীর্ব্বাদ প্রাপ্ত হইতে পারেন। শয়তান বলে যে, আপনি অসহায় এবং নিজেকেআশীর্ব্বাদের ভাগী করিতে পারেন না। হাঁ, আপনি অসহায় একথা সত্য। কিন্তু তাঁহার সম্মুখে যীশুকে তুলিয়া ধরিয়া বলুনঃ- “আমার ত্রানকর্ত্তা মৃত্যুঞ্জয়ী। আমি তাহাতে নির্ভর করি, তিনি আমাকে কখনও লজিজত হইতে দিবেন না। তাঁহার নামে আমি জয় লাভ করি। তিনি আমার ধার্ম্মিকতা এবং আমার আনন্দের মুকুট।” কেহই মনে করেন না যে, তাঁহার কোন আশা নাই, বস্তুতঃ ইহা সেরূপ নহে, কারণ সকলেরই আশা আছে। আপনি হয়তো ভাবিতে পারেন যে, আপনি পাপী ও দুর্ভাগা; আর যদি তাহাই হয়, তবে ঠিক্ এই জন্যই আপনার একজন ত্রানকর্ত্তার প্রয়োজন। স্বীকার করিণার্থে আপনার যদি কোন পাপ থাকে, তবে কাল বিলম্ব না করিয়া এই মুহূর্ত্তেই উহা স্বীকার করুন। কারন এই মুহূর্ত্তগুলিই স্বর্ণময় মুহূর্ত্ত। “যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত অ ধার্ম্মিক সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন।” ১ যোহন ১ঃ ৯। যাহারা ধার্ম্মিকতার জন্য ক্ষুদিত অ তৃষিত, তাহারা পরিতৃপ্ত হইবে; কারণ ইহা যীশুর প্রতিজ্ঞা। অমুল্য ত্রানকর্ত্তা ! আমাদিগকে গ্রহন করিবার নিমিত্ত তাহার বাহুযুগল বিস্তৃত রহিয়াছে এবং তাঁহার প্রেমের মহৎ অন্তঃকরণ আমাদিগকে আশীর্ব্বাদ করিনার্থে অপেক্ষা করিতেছে। CCh 174.2
কেহ কেহ মনে করেন যে, তাহারা নিশ্চয়ই অনুসন্ধানসুচক বিচারকালে বসবাস করিতিছে, সুতরাং তাঁহার আশীর্ব্বাদ লাভের দাবী করিবার পুর্ব্বে প্রভুর কাছে তাহাদের দেখাইতে হইবে যে, তাহারা সম্পুর্ণরূপে পরিবর্ত্তিত। কিন্তু এই সকল প্রিয় মানব এখনই তাঁহার আশীর্ব্বাদ দাবী করিতে পারে। তাহাদের দুর্ব্বলতার প্রতিকারের জন্য তাঁহার অনুগ্রহ বা খ্রীষ্টের আত্মা প্রাপ্ত হওয়া তাহাদের একান্ত প্রয়োজন, ন্তুবা তাহারা খ্রীষ্টের স্বভাব ধারন করিতে পারে না। আমরা যেমন পাপী, অসহায় অ আশ্রিত, ঠিক্ তেমনি ভাবেই যীশুর নিকটে আইসি ইহাই তিনি ভালবাসেন। CCh 175.1
অনুতাপ যেমন, পাপের ক্ষমাও তেমনি খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর দত্ত দান। পবিত্র আত্মার প্রভাবে আমরা পাপের সম্বন্ধে চেতনা প্রাপ্ত হই এবং ক্ষমা লাভের আবশ্যকতা অনুভব করি। অনুতপ্ত ব্যক্তি ভিন্ন অন্য কেহ ক্ষমা লাভ করিতে পারে না; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহেই মানবান্তঃকরণে অনুতাপ আনায়ন করে। তিনি আমাদের যাবতীয় দুর্ব্বলতা ও দোষ ত্রুটি অবগত আছেন, এবং তিনি আমাদিগকে সাহায্য করিবেন। CCh 175.2
কেহ কেহ অনুতাপ ও পাপ স্বীকার পূর্ব্বক ঈশ্বরের নিকতে আইসে এবং এমন কি বিশ্বাসও করে যে, তাহাদের পাপের ক্ষমা হইয়াছে, তথাপি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞায় তাহাদের যেরুপ দাবী করা উচিত সেরূপ করে না। তাহারা উপলব্ধি করিতে পারে না যে, যীশু চির বিদ্যমান ত্রানকর্ত্তা ; এজন্য তাহারা তাহাদের হৃদয়ে আরব্ধ-অনুগ্রহের কার্য্য পরিসমাপ্তির নিমিত্ত, তাঁহার উপরে আস্থা রাখিয়া, তাহাদের আত্মসমুহ তাঁহার হস্তে গচ্ছিত রাখিতে সম্মত হয় না। যখন তাহারা মনে করে যে, তাহারা নিজে দিগকে ঈশ্বরের হস্তে সমর্পন করিতেছে, তখন তাহাদের মধ্যে আত্ম- নির্ভরতা প্রচুর রূপে বিদ্যমান থাকে। আর এমন ধর্ম্মভীরু আত্মা সকলও আছে, যাহারা কতকটা নিজেদের উপরে নির্ভর রাখে। ঈশ্বরের শক্তি দ্বারা রক্ষিত হইবার নিমিত্ত তাঁহার দিকে দৃষ্টি রাখে না, কিন্তু প্রলোভন হইতে রক্ষিত হইবার নিমিত্ত সতর্ক থাকার উপরে এবং তাঁহার নিকটে গ্রাহ্য হইবার নিমিত্ত কোন কোন কর্ত্তব্য সম্পাদনের উপরে নির্ভর করে। এই প্রকার বিশ্বাস, তাহারা বৃথাই পরিশ্রম করে; তাহাদের আত্মাসমুহ অবিরত দাসত্বের মধ্যেই থাকে; এবং যে পর্য্যন্ত না তাহারা তাহাদের বোঝাসমূহ যীশুর চরণতলে স্থাপন করে, তাবৎ তাহারা কোনই বিশ্রাম প্রাপ্ত হয় না। CCh 175.3
অবিরত জাগ্রত থাকা এবং অকপট ও প্রেমপূর্ণ —ঈশ্বর- ভক্তির প্রয়োজন বটে, কিন্তু আত্মাসকল বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের শক্তি দ্বারা রক্ষিত হইলে ঐ সকল স্বতঃই আসিবে। ঐশ্বরিক অনুগ্রহ প্রাপ্তির জন্য নিজেদের অনুকুলে সুপারিশ করনার্থে আমরা কিছুই করিতে পারি না, একেবারেই না। আমাদের নিজেদের উপরে, কিংবা আমাদের সৎকার্য্যে আদৌ নির্ভর না করিয়া বিপথ গামী পাপীর ন্যায় যখন আমরা খ্রীষ্টের নিকটে উপস্তিত হই, তখন আমরা তাঁহার প্রেমে বিশ্রাম লাভ করিতে পারি। ক্রুশারোপিত ত্রানকর্ত্তার পুণ্যরাশিতে সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া আমরা যখন তাঁহার নিকটে আসিব, তখন তিনি আমাদিগকে গ্রহন করিবেন। অন্তঃকরণে প্রেমের উদ্ভব হয়। হৃদয়ে অনুভুতির কোন স্পন্দন নাও হইতে পারে, কিন্তু স্থায়ী শান্তিযুক্ত বিশ্বাস থাকিতে পারে। প্রত্যেকটী ভারই লঘু, ফলতঃ খ্রীষ্ট যে যোয়ালির ভার অর্পণ করেন, তাহা অতি সহজ। কর্ত্তব্য কর্ম্ম আনন্দ —দায়ক এবং ত্যাগ- স্বীকার তৃপ্তিকর হয়। যে পথ পুর্ব্বে অন্ধকারাচ্ছন্ন বলিয়া মনে হইত, তাহা ধার্ম্মিকতা সুর্য্যের কিরণ ছটায় উজ্জ্বল হইয়া উঠে। খ্রীষ্ট যেমন জ্যোতিতে আছেন, যাহারা খ্রীষ্টে বিশ্বাসী তাহারাও তেমনিজ্যোতিতে চলে।12TT 91-95. CCh 176.1