Go to full page →

খাবারের ভুল পরিস্থিতি MHBen 282

অতি উষ্ণ বা অতি ঠান্ডা খাবার খাওয়া উচিত নয়। খাবার ঠান্ডা হলে, পাকস্থলির জীবনী শক্তির চাহিদা বৃদ্ধি পায়, এবং হজম ক্রিয়া আরম্ভ হবার পূর্বে পাকস্থলীকে উষ্ণতা পেতে হয়। ঠান্ডা পানীয় ঐ একই কারণে ক্ষতিকর। প্রকৃত পক্ষে, খাবার সঙ্গে যতবেশী তরল পদার্থ গ্রহণ করা হয়, খাবার হজম করা তত কঠিন হয়; কেননা হজম ক্রিয়া আরম্ভ হবার আগে ভাগে তরল বস্তু শোধিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। অত্যধিক লবণ খাবেন না, আচার এবং মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন, প্রচুর ফল খান, তাতে খাবার সময় অত্যধিক পানীয়ের কারণে যে জ্বালা পোড়া হয় তা বিশেষভাবে দূর হয়ে যায়। MHBen 282.3

ধীরে ধীরে খাবার খেতে হবে, এবং পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে চিবিয়ে খেতে হবে। এটা আবশ্যক, যাতে করে খাবারের সঙ্গে লালা ভাল করে মিশে হজম ক্রিয়ার তরল পদার্থের কাজ শুরু হয়ে যায়। MHBen 283.1

অন্য আরেকটা মারাত্মক মন্দ অভ্যাস হলো অসময়ে খাওয়া, অতিরিক্ত ব্যায়ামের পর খাবার খাওয়া ভীষণ খারাপ, কারণ তখন ব্যায়ামে শরীর উত্তপ্ত থাকে। খাবার কেবলই পরে স্নায়ুবিক শক্তিসমূহের ওপরে চাপ পড়ে; এবং যখন মন অথবা শরীর আহারের কেবল পূর্বে বা পরে চাপের মধ্যে পড়ে, তখন হজম ক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়। যখন একটা সক্রিয় হয়ে ওঠে, উদ্বিগ্ন হয়, অথবা ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সেহেতু একটু বিশ্রাম করে খেতে হবে। MHBen 283.2

পাকস্থ‬লির সঙ্গে মস্তিষ্কের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে; এবং যখন পেটের পীড়া হয়ে বসে, মস্তিষ্ক থেকে স্নায়ু শক্তিকে আহ্বান করা হয় দুর্বল হজম-ইন্দ্রিয়কে সাহায্য করার জন্য। বার বার যখন এই দাবি আসে, তখন মস্তিষ্কের অত্যধিক চাপ পড়ে। যখন মস্তিষ্কের ওপরে অবিরত চাপ পড়ে, এবং শারীরিক ব্যায়ামের ঘাটতি দেখা যায়, এমন কি তখন সাদাসিধে, আতিশস্যবিহীন খাবার খেতে হবে। খাবার সময়, চিন্তাভাবনা ত্যাগ করতে হবে। ব্যস্ত হতে হবে না, কিন্তু আনন্দসহকারে ধীরে ধীরে খেতে হবে, আপনার অন্তঃকরণ ঈশ্বরের আশীর্বাদের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে হবে। MHBen 283.3