Go to full page →

জীবন সংগ্রামের জন্য প্রশিক্ষণ লাভ MHBen 106

আমাদের বারবার স্মরণ করানো যাবে না যে স্বাস্থ্য সৌভাগ্যের ওপরে নির্ভর করে না। এটা নিয়ম মেনে চলার ফল। যারা শরীর চর্চা সংক্রান্তপ্রতিযোগিতায় এবং শক্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তারা এ সত্যকে স্বীকার করে। এই লোকেরা সর্বাধিক সতর্কতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকে। তারা পুংখানুপুঙ্খ প্রশিক্ষণ ও কড়াকড়ি অনুশাসনের কাছে আত্মনিয়োগ করে থাকে। প্রত্যেক দৈহিক অভ্যাস সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারা জানে যে সামান্য অবহেলা, অতিমাত্রা অসতর্কতা দেহের যেকোন অঙ্গকে দুর্বল কিম্বা পঙ্গু করে দিতে পারে কিম্বা গোটা শরীরকে অকেজো করে দিতে পারে। ফলে পরাজয় অনিবার্য। MHBen 106.3

জীবন সংগ্রামে কৃতকার্যতা নিশ্চিত করতে হলে ঐ প্রকার সতর্কতা কত অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে সংগ্রামে লিপ্ত তা কোন যুদ্ধের অভিনয় নয়। আমরা এক যুদ্ধে লিপ্ত যার ওপরে ঝুলছে অনন্তফলাফল। আমাদের অদৃশ্য শত্রুর সাথে দেখা হবে। মন্দ দূতেরা প্রত্যেক মানব সন্তানের ওপর কর্তৃত্ব লাভের জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, স্বাস্থ্যে যে কোন ক্ষতি কেবল দৈহিক সবলতাই খর্ব করে দেয় না বরং মানসিক ও নৈতিক শক্তিকেও দুর্বল করে দেয়। যে কোন অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসে অসংযমী হলে সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করায় অধিকতর কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এটা অকৃতকার্য ও পরাজয়ের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। MHBen 107.1

“দৌড়ের স্থলে যাহারা দৌড়ায় তাহারা সকলে দৌড়ে কিন্তু কেবল একজনই পুরস্কার পায়।” (১করিন্থীয় ৯:২৪)। আমরা যে সংগ্রামে লিপ্ত তাতে সঠিক নিয়ম নীতি মেনে চলে নিজেদেরকে সুশৃঙ্খল করলে সবাই জয়ী হতে পারে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে এই নীতি সমূহের চর্চা অনেক গুরুত্বহীন, মনোযোগের প্রয়োজন নেই এমন এক মামুলী ব্যাপার মনে করে। কিন্তু যেখানে বিপদের ঝুঁকি থেকে যায় সেখানে কোন কিছুই খাটো করে দেখা যাবে না। জীবনের জয়-পরাজয় নির্ধারণী মানদন্ডে প্রতিটি কর্মকান্ডে ভার সংযোজন করে থাকে। অতএব পবিত্র শাস্ত্র আমাদেরকে আহ্বান করে, “তোমরা এরূপে দৌড়ে, যেন পুরস্কার পাও।”(১করিন্থীয় ৯:২৪)। MHBen 107.2

আমাদের প্রথম পিতা-মাতার ক্ষেত্রেও অসংযমী বাসনার ফলে এদন বাগান হারাতে হয়েছিল। মানুষ যা অনুমান করতে পারে সকল বিষয়ে তার থেকে সংযমী হতে হবে যেন আমরা এদনে ফিরে যেতে পারি। MHBen 107.3

প্রাচীন গ্রীক খেলাগুলোতে প্রতিযোগিদের আত্ম-অস্বীকার অনুশীলনের প্রতি নির্দেশ করে প্রেরিত পৌল লিখেছেন: “আর যে কেহ মল-যুদ্ধ করে, সে সর্ব্ববিষয়ে ইন্দ্রিয় দমন করে। তাহার ক্ষয়ণীয় মুকুট পাইবার জন্য তাহা করে, কিন্তু আমরা অক্ষয় মুকুট পাইবার জন্য করি। অতএব আমি এরূপ দৌড়িতেছি যে বিনা লক্ষ্যে নয়; এরূপে মুষ্ঠিযুদ্ধ করিতেছি যে শূন্যে আঘাত করিতেছি না। বরং আমার নিজ দেহকে প্রহার করিয়া দাসত্বে রাখিতেছি, পাছে অন্য লোকদের কাছে প্রচার করিবার পর আমি আপনি কোনক্রমে আগ্রাহ্য হইয়া পড়ি।”(১করিন্থীয় ৯:২৫-২৭)। MHBen 108.1