বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রত্যেক স্ত্রীলােকের বিবেচনা করা উচিৎ যে, যার সঙ্গে সে যুক্ত হতে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তার ভাগ্য মর্যাদাসম্পন্ন হবে কিনা। তার অতীত ইতিহাস কি? তার জীবন কি পবিত্র? সে যে প্রেম প্রকাশ করে তা কি আদর্শ, উন্নত চরিত্র, বা এটি কি আবেগপূর্ণ, সেহান্ধ? এ কি সেই ভালােবাসা যা তাকে সুখী করবে? তার আবেগের মধ্যে সে কি প্রকৃত সুখ খুঁজে পাবে? সে কি তার ব্যক্তিত্ব রক্ষার অনুমতি পাবে বা তার বিচার এবং বিবেক তার স্বামীর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে? খ্রীষ্টের একজন শিষ্য হিসাবে সে তার নিজের নয়; সে একটি মূল্য দ্বারা ক্রীত হয়েছে। সে কি ত্রাণকর্তার দাবিকে সর্বোচ্চ সম্মান দিতে পারবে? দেহ এবং আত্মা; চিন্তারাশী এবং উদ্দেশ্য কি খাটি এবং পবিত্র রূপে সুরক্ষিত থাকবে? যারা বিবাহ সম্পর্কে প্রবেশ করে এ সব প্রশ্ন প্রত্যেক স্ত্রীলােকের ক্ষেত্রে একটি জীবন্ত অর্থ বহন করে। MYPBen 431.2
গৃহে ধর্মের আবশ্যকতা রয়েছে। কেবল এটিই মারাত্মক ভুলের প্রতিরােধ করতে পারে, যা প্রায়ই বিবাহ জীবনকে তিক্ত করে তােলে। কেবল যেখানে খ্রীষ্ট রাজত্ব করেন, সেখানেই গভীর, প্রকৃত, নিঃস্বার্থ ভালােবাসা টিকে থাকতে পারে, আত্মার সঙ্গে আত্মা একত্রে বিজড়িত থাকতে পারে, আর দুটি জীবন একত্রে গাঁথা থাকতে পারে। ঈশ্বরের দূতগণ গৃহে অতিথিস্বরূপ থাকবেন, এবং তাদের পবিত্র জাগ্রত অবস্থান বিবাহ কুটীরকে আশীর্বাদ করবে। অপকৃষ্ট যৌনক্ষুধা নস্যাৎ হয়ে যাবে। উধ্বে ঈশ্বরের কাছে চিন্তারাশী পরিচালিত হবে; তাঁর কাছে হৃদয়ের আরাধনা উখিত হবে । MYPBen 431.3