Go to full page →

খ্রীষ্ট আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা MYPBen 158

খ্রীষ্ট যাতনা ভােগ করেছিলেন, অপমান সহ্য করেছিলেন, অপব্যবহার সহ্য করেছিলেন; তার দক্ষিণে ও বামে প্রলােভন তাকে জর্জরিত করেছিল, তথাপি তিনি পাপ করেননি, কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি একটি নিখুঁৎ বাধ্যতা দেখিয়েছেন যা সম্পূর্ণ ভাবে সন্তোষজনক ছিল। এর মাধ্যমে তিনি অবাধ্যতার প্রতিটি অজুহাত চিরতরে সরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি মানুষকে দেখাতে এসেছিলেন কিভাবে আজ্ঞাবহ হওয়া যায়, কিভাবে সমস্ত আজ্ঞা পালন করা যায়। তিনি স্বর্গীয় ক্ষমতা ধারণ করে এলেন, যা পাপীর একমাত্র আশা। তিনি তাঁর জীবন দিলেন যেন মানুষ ঐশ্বরিক প্রকৃতির অংশীদার হতে পারে, ভ্রষ্টতা এড়িয়ে চলতে পারে যা জগতে কাম লালসার মাধ্যমে আসে MYPBen 158.4

ঈশ্বর যুবক-যুবতিদের তালসমূহ দিয়েছেন সেগুলাের উৎকর্ষ সাধনের জন্য, তাঁর গৌরবের জন্য; কিন্তু অনেকে এই সকল দান অপবিত্র উদ্দেশ্য পূরণ করতে ব্যবহার করে। অনেকের দক্ষতা রয়েছে যা যদি অনুশীলন করা হয়। তবে প্রচুর মানসিক, নৈতিক এবং দৈহিক উপার্জন হওয়া সম্ভব। কিন্তু তার এটা উপলব্ধির জন্য সময় ব্যয় করে না। তারা তাদের কাজের সময়ের মূল্য গণনা করে না। তারা একটি অপরিণামদর্শী এবং মুখতার কাজে উৎসাহ দিয়ে থাকে যা পরামর্শ বা অনুযােগে কান দেবে না। এ একটি ভয়াবহ ভুল। যুবক যুবতিরা যদি উপলব্ধি করতে পারত যে, ঈশ্বরের চোখ তাদের উপর রয়েছে, যে ঈশ্বরের দূতগণ চরিত্র গঠনের প্রতি পাহারা দিচ্ছেন, এবং নৈতিক মূল্য পরিমাপ করছেন তবে তারা স্থির চিত্ত হত। - The Youth’s Instructor, July 21, 1899. MYPBen 159.1