মন্ডলীর সদস্যগণ যাহারা আলো দেখিয়াছে এবং বিশ্বাস করিয়াছে, কিন্তু পুরোহিতের কাছে তাহাদের আত্মার পরিত্রাণ গচ্ছিত রাখিয়াছে; তাহারা জানিতে পারিবে ঈশ্বরের সেই দিনে অন্য কেহ তাহাদের অপরাধে মুক্তিপণ দিতে পারিবে না। ভয়ানক চিৎকার উত্থিত হইবে, ‘আমি ধ্বংস হইয়াছি, অনন্ত কালের নিমিত্ত ধ্বংস হইয়াছি।” যে সকল পুরোহিতেরা মিথ্যাচার প্রচার ও সত্যকে অভিশাপ দিয়াছে, মনুষ্যেরা তাহাদিগকে খন্ড খন্ড করিয়া ছিড়িয়া ফেলিতে বাসনা করিবে। -4BC 1157 (১৯০০) সকলে একযোগে পুরোহিতগণের উপরে তিক্ততম অভিসম্পাত বর্ষণ করিল । অবিশ্বস্ত পালকগণ সবকিছু স্বাভাবিক ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিল; তাহারা শ্রোতা লোকদিগকে ঈশ্বরের ব্যবস্থা বাতিল করিতে এবং যাহারা তাহা পবিত্র রূপে পালন করিত তাহাদিগকে অত্যাচার করিতে পরিচালিত করিয়াছিল। এখন, তাহাদের হতাশার মধ্যে এই সকল শিক্ষকেরা পৃথিবীর নিকট তাহাদের প্রতারণা মূলক কার্য্যের বিষয় স্বীকার করে। জনতা ক্রোধে পূর্ণ হয়। তাহারা চিৎকার করিয়া বলিল,“তোমরাই আমাদের ধ্বংসের কারণ, আমরা বিনষ্ট হইলাম” এবং তাহারা এই সকল ভাক্ত মেষ পালকদের উপরে ঝাঁপাইয়া পড়ে। যাহারা এক সময়ে তাহাদিগকে সর্বাধিক প্রশংসা করিত, তাহারাই তাহাদের উপরে ভয়ঙ্কর অভিশাপ বর্ষণ করিবে। যে হস্ত তাহাদের মস্তকে বিজয়মুকুট পরাইয়াছে, সেই হস্তই তাহাদের বিনষ্ট করিতে উত্থিত হইবে। যে খড়গ ঈশ্বরের লোকদের হত্যা করিত তাহা তাহাদের শত্রু নিধন করিতে ব্যবহৃত হইবে -GC 655, 656 (1911). LDEBeng 175.2
এই স্থানে আমরা দেখিতে পাই- সদাপ্রভুর ধর্মধাম মন্ডলীই প্রথম ঈশ্বরের ক্রোধের প্রথম আঘাত অনুভব করিবে। যে সকল প্রচীনগণকে [যিহিক্কেল ৯:৬] ঈশ্বর মহা জ্যোতি প্রদান করিয়াছিলেন এবং যাহারা লোকদের আধ্যাত্মিক কর্মকান্ডের অভিভাবক ছিল তাহারা তাহাদের আস্থার প্রতি বিশ্বাস ঘাতকতা করিয়াছে। -5T211 (1882). LDEBeng 176.1
ভাক্ত মেষপালকেরা ঈশ্বরের বাক্যকে অকার্যকর করিয়াছে ।---- তাহাদের কার্য তাহাদের উপরে বিপরীত প্রতিক্রিয়া করিবে। যখন আধ্যাত্মিক মুক্তি সম্পন্ন বাবিলের উপরে ঈশ্বরের দন্ডাজ্ঞা পতিত হইবে তখন প্রকাশিত ১৮ অধ্যায়ের বর্ণিত দৃশ্যাবলী দেখা যাইবে। -Ms60, 1900. LDEBeng 176.2