সঙ্কটের কালে ঘরবাড়ী ও জমিজমা কোন কাজে আসিবে না, কারণ তাহাদিগকে তখন ক্রোধোন্মত্ত জনতার সম্মুখে পলায়ন করিতে হইবে, আর সেই সময় সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া বর্তমান সত্য প্রচার কল্পে ব্যবহার করা যাইবে না।....আমি দেখিয়াছি যদি কেহ তাহাদের সম্পত্তি ধরিয়া রাখে, এবং সদাপ্রভুর নিকট তাহাদের কর্তব্য সম্পর্কে খোঁজ না করে, তবে তাহাকে তাহার কর্তব্য জানান হইবে না, তাহাদের সম্পত্তি রাখিতে দেওয়া হইবে এবং সঙ্কটকালে ইহা তাহাদের চূর্ণ করিতে তাহাদের উপরে আসিয়া পড়িবে, তাহারা তাহা বিক্রয় করিতে চেষ্টা করিবে, কিন্তু পারিবে না।---কিন্তু তাহারা যদি শিক্ষা গ্রহণ করিতে ইচ্ছা করিত, তাহা হইলে কখন বিক্রয় করিতে হইবে এবং কতমূল্যে বিক্রয় করিতে হইবে, তিনি প্রয়োজনের সময়ে তাহা শিখাইয়া দিতেন। ——EW 56, 57 (1851). LDEBeng 184.3
এখন আর জাগতিক ধনসম্পদ আঁকড়াইয়া ধরিবার সময় নাই। শীঘ্রই অপ্রয়োজনীয় ঘরবাড়ী ও জমিজমা কাহারও কোন উপকারে আসিবে না, কারণ পৃথিবীর উপরে ঈশ্বরের ক্রোধ অধিকতর প্রচন্ড রূপে আসিয়া পড়িবে। আহবান আসিয়াছে। LDEBeng 184.4
“তোমাদের যাহা আছে, বিক্রয় করিয়া দান কর” [সূক ১২:৩৩]। এই বার্তা লোকদের অন্তরে বদ্ধমূল হইতে হইবে, যে এই পৃথিবীতে তাঁহার কার্য্যের অগ্রগতির নিমিত্ত ঈশ্বরের নিজস্ব সম্পত্তি দানরূপে তাহাকে ফিরাইয়া দিতে হইবে। — 16 MR 348 (1901). LDEBeng 184.5