“এক মহাভূমিকম্প হইল, পৃথিবীতে মনুষ্যের উৎপত্তিকাল অবধি যেমন কখনও হয় নাই, এমন প্রচন্ড মহাভূমিকম্প হইল “(প্রকা ১৬ : ১৭, ১৮)। মহাকাল মনে হইতেছে খুলিতেছে ও বন্ধ হইতেছে। ঈশ্বরের সিংহাসনের মধ্য হইতে জ্যোতি বিচ্ছুিরিত হইতেছে বলিয়া মনে হইতেছে। পর্বতগণ বায়ু বিকম্পিত নলের ন্যায় কাঁপিতেছে, এবং অমসৃণ প্রস্তর খন্ডগুলি চতুর্দিকে বিক্ষিপ্ত হইতেছে।...... পৃথিবী সমুদ্রের তরঙ্গমালার ন্যায় ফাঁপিয়া ফুঁসিয়া উঠিতেছে। ইহার উপরিভাগ ভাঙ্গিয়া যাইতেছে ইহার ভিত্তি মনে হয় তলাইয়া যাইতেছে । পর্বতশ্রেণী ডুবিয়া যাইতেছে। জনমানব অধ্যুষিত দ্বীপমালা অদৃশ্য হইতেছে, দুষ্টতায় সদোমের ন্যায় সমুদ্রবন্দর গুলিকে ক্রুদ্ধ জলরাশি গিলিয়া ফেলিতেছে।.....“এক এক তালন্ত” ওজনের বৃহবৃহ শিলা বর্ষিত হইয়া তাহাদের ধ্বংস কার্য্য সাধন করিল (১৯, ২১ পদ)।.... LDEBeng 191.1
কবর সকল খুলিয়া যাইবে, “আর মৃত্যুর ধূলিতে নিদ্রিত লোকদের মধ্যে অনেকে জাগরিত হইবে-কেহ কেহ অনন্ত জীবনের উদ্দেশে, এবং কেহ কেহ লজ্জার ও অনন্ত মৃত্যুর উদ্দেশ্যে “(দানি ১২ : ২)। সকলে যাহারা তৃতীয় দূতের বার্তায় বিশ্বাস করিয়া মরিয়াছে তাহারা, যাহারা তাঁহার ব্যবস্থা পালন করিয়াছে,তাহাদের সহিত ঈশ্বরের শান্তি নিয়ম শ্রবণ করিয়া গৌরবান্বিত হইয়া কবর হইতে বাহির হইয়া আসিবে। “যাহারা তাঁহাকে বিদ্ধ করিয়াছিল” (প্রকা ১ ৪৭), যাহারা খ্রীষ্টের মৃত্যু যন্ত্রণায় ঠাট্টা তামাসা করিয়াছিল, যাহারা তাঁহাকে সত্য এবং তাঁহার লোকদের ঘোর বিরোধ ছিল, তাহারা তাঁহার মহিমা এবং অনুগত বাধ্যদিগের সম্মান দেখিবার নিমিত্ত উত্থিত হইবে। -6C636, 637 (1911) LDEBeng 191.2