মেঘমালা লিপিপত্রের ন্যায় গুটাইতে আরম্ভ করিল এবং মনুষ্য পুত্রের উজ্জ্বল ও স্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেল। ঈশ্বরের লোকেরা এই মেঘের অর্থ জানে। সঙ্গীতের আওয়াজ শুনা গেল । ইহা নিকটবর্তী হইতে থাকিলে কবর সকল খুলিয়া গেল এবং মৃতেরা উত্থিত হইল । —9MR 251, 252 (1886). LDEBeng 195.1
“ইহাতে আশ্চর্য্য মনে করিও না, কেননা এমন সময় আসিতেছে, যখন কবরস্থ সকলে তাঁহার রব শুনিবে, এবং বাহির হইয়া আসিবে।” [যোহন ৫ : ২৮]। এই রব শীঘ্রই মৃতগণের দেশে দেশে ধ্বনিত হইবে, এবং প্রত্যেক সাধু যে যীশুতে নিদ্রাগত হইয়াছে, জাগ্রত হইবে, এবং তাহার কারা কক্ষ পরিত্যাগ করিবে। - MS 137, 1897. LDEBeng 195.2
আদম হইতে আরম্ভ করিয়া শেষ যে সাধু মরিবে, সেই সকল বহুমূল্য মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শ্রবণ করিবে এবং কবর হইতে বাহির হইয়া অমর জীবনে প্রবেশ করিবে। -DA 606 (1898) LDEBeng 195.3
পৃথিবী কম্পমানতায়, বিদ্যুতের চমকে, মেঘ গর্জনের মধ্যে ঈশ্বরের রব ঘুমন্ত সাধুগণকে আহবান করে। তিনি ধার্মিকগণের কবরের দিকে দৃষ্টিপাত করেন এবং স্বর্গের দিকে হস্ত উত্তোলন করিয়া তিনি বলেন, “জাগ, জাগ, যাহারা মৃত্তিকার ধূলিতে ঘুমাইয়া আছ, উঠ।” পৃথিবীর চতুর্দিকে মৃতেরা তাঁহার রব শুনিবে, যাহারা শুনিবে তাহারা বাঁচিবে । প্রত্যেক জাতি, বংশ, ভাষা ও লোকদের একটি অতি বিরাট সংগঠিত দলের পদধ্বনিতে সমগ্র পৃথিবী পরিপূর্ণ হইবে। মৃত্যুর কারা প্রকোষ্ঠ হইতে তাহারা অমর জ্যোতি পরিহিত হইয়া চিৎকার করিবেঃ“মৃত্যু তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু তোমার হুল কোথায়?” (১ করি ১৫:৫৫)। এবং জীবিত ধার্মিকেরা এবং উত্থিত সাধুগণ একটি দীর্ঘ আনন্দের বিজয় ধ্বনিতে এক সঙ্গে স্বর মিলায়।- LDEBeng 195.4