Go to full page →

১৫—যিহোশাফট PKBeng 156

পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে সিংহাসনে আহুত না হওয়া পর্যন্ত যিহোশাফট উত্তম রাজা আসার আদর্শ অনুসরণ করেছিলেন, যিনি প্রায় প্রতিটি সংকটেই “সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায্য” (১ রাজাবলি ১৫:১১) তাই করতেন। পঁচিশ বছরের এক সমৃদ্ধিশালী শাসনকাল ব্যাপী যিহোশাফট “তার পিতা আসার সকল পথে চলার চেষ্টা করেছেন; তিনি দক্ষিণে কি বামে চলেননি।” PKBeng 156.1

জ্ঞানপূর্বক শাসন কার্য পরিচালনায় তার প্রচেষ্টায় যিহোশাফট তার প্রজাগণকে পৌত্তলিকতার অনুশীলনের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণে প্ররোচিত করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। তার রাজ্যের অনেকে “উচ্চস্থলীতে বলিদান করত এবং ধূপ জ্বালাত।” ১রাজা ২২:৪৩। রাজা তৎক্ষণাৎ এই প্রতিমাগুলো বিনষ্ট করলেন না; কিন্তু প্রথম হতে তিনি আহাবের শাসনাধীন উত্তর রাজ্যকে চরিত্র হননকারী পাপ হতে যিহূদাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলেন, যার বিষয়ে অনেক বছর পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিশ্বস্ত। তিনি “আপন পূর্বপুরুষ দায়ূদের প্রথম আচরণ পথে চলতেন, বালদেবের অন্বেষণ করতেন না।” তার ন্যায়পরায়ণতা হেতু সদাপ্রভু তার সঙ্গে ছিলেন, এবং “তাঁর হাতে রাজ্য দৃঢ় করলেন।” ২বংশাবলি ১৭:৩-৫। PKBeng 156.2

“আর সমস্ত যিহূদা যিহোশাফটের আনিল উপঢৌকন আনিল, এবং তাঁহার ধন ও প্রতাপ অতিশয় বৃদ্ধি পাইল। আর সদাপ্রভুর পথে তাঁহার অন্তঃকরণ উন্নত হইল ৷” সময় অতিবাহিত হল এবং সংস্কার কার্য সাধিত হল, রাজা “যিহূদার মধ্য হইতে উচ্চস্থলী ও আশেরা মূর্তি সকল দূর করিলেন।” ৫,৬ পদ। “আর তাহার পিতা আসার সময়ে যে পুংগামীরা অবশিষ্ট ছিল, তাদেরকে তিনি দেশ হইতে দূর করিয়া দিলেন।” ১ রাজাবলি ২২:৪৬। এরূপে ধীরে ধীরে যিহূদার নিবাসীরা অনেক দুঃখ কষ্ট হতে মুক্ত হল যা তাদের অধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ সাংঘাতিকরূপে বিলম্বিত করার জন্য ভয় দেখাচ্ছিল। PKBeng 156.3

রাজ্যের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের ব্যবস্থা সম্পর্কে লোকদের শিক্ষার প্রয়োজন ছিল। এই ব্যবস্থার জ্ঞানের মধ্যেই ছিল তাদের নিরাপত্তা; ব্যবস্থার কাজের মাধ্যমেই তারা ঈশ্বর এবং মানুষ উভয়ের কাছে বাধ্য হবে। একথা জ্ঞাত হয়ে যিহোশাফট পবিত্র শাস্ত্রের নির্দেশের মাধ্যমে তার লোকদেরকে নিশ্চয়তা দেবার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। তার রাজ্যের বিভিন্ন অঙ্গে দায়িত্বে নিয়োজিত অধ্যক্ষগণ পুরোহিতগণকে বিশ্বস্ত পরিচর্যা কাজ শিক্ষা দানের অভিযানে নির্দেশনাপ্রাপ্ত হয়েছিল। রাজকীয় নিয়োগ দ্বারা এই শিক্ষকগণ, অধ্যক্ষগণের সরাসরি দেখাশুনার মাধ্যমে কাজ করে, “যিহূদার সকল নগরে গিয়ে লোকদের উপদেশ দেন।” ২বংশাবলি ১৭:৭- ৯। আর যেমন অনেকে ঈশ্বরের করণীয় কার্য বুঝবার জন্য প্রাণপণ করল এবং পাপ দূর করল, সেখানে একটি জাগরণের সৃষ্টি হল । PKBeng 157.1

তার প্রজাগণের আত্মিক অভাবসকলের জ্ঞানপূর্ণ যোগানের জন্য, একজন শাসকরূপে তার উন্নতির জন্য যিহোশাফট অনেক ঋণী । ঈশ্বরের ব্যবস্থার আজ্ঞাবহ হওয়ায় মহা লাভ রয়েছে। ঐশ্বরিক অবশ্যপূরণীয় শর্তের মধ্যে রূপান্তরকারী শক্তি রয়েছে যা মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি এবং মঙ্গল আনয়ন করে। যদি ঈশ্বরের বাক্যের শিক্ষা প্রতিটি নর-নারীর জীবনে নিয়ন্ত্রণকারী প্রভাব হত, যদি মন এবং অন্তঃকরণ এটির নিয়ন্ত্রণকারী প্রভাবের অধীন করা হত, মন্দ যা এখন জাতীয় এবং সামাজিক জীবনে বিরাজ করছে, তা কোন স্থানই পেত না। প্রতিটি গৃহ হতে একটি প্রভাব বের হবে যা নর-নারীগণকে আত্মিক অন্তর্দর্শনে এবং নৈতিক শক্তিতে শক্তিশালী করত, এবং এরূপে জাতিগণ ও স্বতন্ত্র ব্যক্তিবর্গ নিরাপদ ভূমিতে অবস্থান গ্রহণ করত । PKBeng 157.2

বহু বছর পর্যন্ত যিহোশাফট শান্তিতেই বসবাস করেছেন, চতুর্দিকস্থ জাতিগণ কর্তৃক উৎপীড়িত হননি। “আর যিহূদার চতুর্দিকস্থ দেশের সকল রাজ্যে সদাপ্রভু হইতে ভয় উপস্থিত হইল।” ১০ পদ । তিনি পলেষ্টীয় হতে উপঢৌকন ও রৌপ্য আনলেন; আর আরবীয় হতে বহু সংখ্যক মেষ ও ছাগ পেলেন । “এইরূপে যিহোশাফট অতিশয় মহান হইয়া উঠিলেন, এবং যিহূদা দেশে অনেক দূর্গ ও ভান্ডার নগর নির্মাণ করিলেন। ...আর যিরুশালেমে তাঁহার বলবান বীর যোদ্ধারা থাকিত। তাহারা রাজার পরিচর্যা করিতেন। ইঁহাদের ছাড়া রাজা যিহূদার সর্বত্র প্রাচীর বেষ্টিত নগরে [কর্মচারী লোক] রাখতেন।” ১২-১৯ পদ । “ঐশ্বর্যবান ও প্রতাপান্বিত হইয়া” তিনি সত্য ও ধার্মিকতার পক্ষে একটি শক্তিশালী প্রভাব খাটাইতে সমর্থ ছিলেন। ২বংশাবলি ১৮:১। PKBeng 157.3

চ সিংহাসনে আরোহণ করার কয়েক বছর পরে, যিহোশাফট এখন তার উন্নতির শীর্ষে অবস্থান করে আহাব এবং ঈষেবলের কন্যা অথলিয়ের সাথে তার পুত্র যিহোরামের বিবাহ দিতে সম্মত হলেন । বিবাহ সম্পর্ক দ্বারা যিহূদা রাজ্য এবং ইস্রায়েলের মধ্যে একটি মৈত্রীবন্ধন সৃষ্ট হল যা ঈশ্বরের আদেশ বিরুদ্ধ ছিল এবং যা সংকটের সময়ে রাজা এবং তার বহুসংখ্যক প্রজার কাছে ধ্বংস আনয়ন করবে। PKBeng 158.1

কোন এক সময় যিহোশাফট শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজার সাথে সাক্ষাৎ করেন। যিরুশালেম হতে আগত রাজকীয় অতিথিকে বিশেষ রাজকীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয় এবং সাক্ষাৎ শেষ হবার পূর্বে তিনি সিরিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইস্রায়েলের রাজার সাথে যোগ দিতে রাজী হলেন। আহাব আশা করেছিল যে, যিহুদার সৈন্যদের সাথে তার সৈন্যদের যোগদানের দ্বারা সে রামোৎ পুনরায় লাভ করবে, যেটি ছিল একটি পুরাতন আশ্রয় দূর্গ যা ন্যায়সঙ্গতভাবে ইস্রায়েল সন্তানদের অধিকারেই ছিল । PKBeng 158.2

যদিও বা যিহোশূয় এক মুহূর্তের দুর্বলতায় দ্রুত ইস্রায়েলের রাজার সাথে সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগদান করলেন তথাপি উত্তম বিচারবুদ্ধি এই ধারণা সম্পর্কে ঈশ্বরের ইচ্ছা জানতে চাইল। “বিনয় করি, অদ্য সদাপ্রভুর বাক্যের অন্বেষণ করুন।” তিনি আহাবকে পরামর্শ দিলেন। উত্তরে, আহাব শমরিয়ার চারশ মিথ্যা ভাববাদীকে একত্র করলেন, এবং তাদের জিজ্ঞেস করলেন, “আমরা রামোৎ-গিলিয়দে যুদ্ধ যাত্রা করিব, না আমি ক্ষান্ত হইব?” আর তারা বলল, “যাত্রা করুন, ঈশ্বর তাহা মহারাজের হস্তে সমর্পণ করিবেন।” ৪, ৫ পদ। PKBeng 158.3

যিহোশাফট অসন্তুষ্ট হয়ে ঈশ্বরের ইচ্ছার একটি নিশ্চয়তা সম্পর্কে জানতে চাইলেন । “সদাপ্রভুর এমন কোন ভাববাদী কি এ স্থানে নাই” তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “যে, আমরা তাঁহারই কাছে অন্বেষণ করিতে পারি?” ৬ পদ। “এমন আর একজন আছে, সে যিম্নের পুত্র মীখায়, কিন্তু আমি তাহাকে ঘৃণা কার, কেননা আমার উদ্দেশে সে মঙ্গলের নয়, কেবল অমঙ্গলের ভাবোক্তি প্রচার করে।” ১ রাজাবলি ২২:৮। যিহোশাফট তার অনুরোধে অটল ছিলেন যেন ঈশ্বরের লোককে আহ্বান করা হয়; এবং তাদের সামনে উপস্থিত হলে, আহাব কর্তৃক এই কথা বলবার প্রতিজ্ঞা করালো, “তুমি সদাপ্রভুর নামে আমাকে সত্য ব্যতিরেকে আর কিছুই বলিবে না,” মীখায় বললেন: “আমি সমস্ত ইস্রায়েলকে অরক্ষক মেষপালের ন্যায় পর্বতগণের উপরে ছিন্নভিন্ন দেখিলাম, এবং সদাপ্রভু বলিলেন, উহার স্বামী নাই; উহারা কুশলে আপন আপন বাটীতে ফিরিয়া যাউক।” ১৬, ১৭ পদ। PKBeng 159.1

ভাববাদীর কথা রাজাকে এই দেখিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট ছিল যে তাদের প্রকল্প স্বর্গ অনুমোদন করেনি, কিন্তু শাসনকর্তা এই সতর্কবাণীর প্রতি কর্ণপাত করেনি। আহাব তার পথ চিহ্নিত করেছিলেন এবং তিনি তা অনুসরণ করতে দৃঢ় সংকল্প ছিলেন। যিহোশাফট তাকে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক কথা বলেছিলেন, “আমরা যুদ্ধে আপনার সঙ্গী হইব;” আর এরূপ একটি প্রতিজ্ঞা করার পর, তিনি তার সৈন্যবাহিনী উঠিয়ে নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেন। ২ বংশাবলি ১৮:৩। “পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহুদা রাজ যিহোশাফট রামো-গিলিয়দে যাত্রা করিলেন।” ১রাজাবলি ২২:২৯। PKBeng 159.2

পরে যুদ্ধের সময়ে, আহাব তীরবিদ্ধ হলেন, এবং সন্ধ্যাবেলা তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। “পরে সূর্যাস্তকালে, সৈন্যদলের মধ্যে সর্বত্র এই রব ইইল, ‘প্রত্যেক জন আপন আপন নগরে, প্রত্যেক জন আপন দেশে চলিয়া যাউক।” ৩৬ পদ । এরূপে ভাববাদীর বাক্যের পূর্ণতা লাভ হল । PKBeng 159.3

এই দুর্ঘটনামূলক যুদ্ধ হতে যিহোশাফট যিরূশালেমে ফিরে গেলেন। তিনি নগরের কাছে পৌঁছলে, ভাববাদী যেহূ তার সাথে সাক্ষাৎ করে অনুযোগ করলেন: “দুর্জনের সাহায্য করা এবং সদাপ্রভুর বিদ্বেষীদিগকে প্রেম করা কি আপনার উপযুক্ত? এ জন্য সদাপ্রভু হইতে আপনার উপরে ক্রোধ বর্তিল, যাহা হোক, আপনার মধ্যে কোন কোন সাধুভাব পাওয়া গিয়াছে; কেননা আপনি দেশ হইতে আশেরা-মূর্ত্তি সকল উচ্ছিন্ন করিয়াছেন, এবং ঈশ্বরের অন্বেষণ করিবার জন্য আপন অন্তঃকরণ সুস্থির করিয়াছেন।” ২ বংশাবলি ১৯:২, ৩। PKBeng 159.4

যিহোশাফটের রাজত্বের পরবর্তী বছরগুলো যিহুদার জাতীয় এবং আত্মিক প্রতিরোধ শক্তিশালী করার জন্য ব্যয়িত হয়েছিল। তিনি “আবার বেরশেবা অবধি পর্বতময় ইফ্রহিম প্রদেশ পর্যন্ত লোকদের মধ্যে যাতায়াত করিয়া তাহাদের পিতৃপুরুষগণের ঈশ্বর সদাপ্রভুর পক্ষে তাহাদিগকে ফিরাইয়া আনিলেন ।” ৪ পদ । PKBeng 160.1

রাজা কর্তৃক যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল, তা হল ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনা। তিনি যিহূদার প্রাচীর বেষ্টিত নগর সকলের মধ্যে নগরে নগরে বিচারকর্তা নিযুক্ত করলেন; এবং তিনি তাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে বললেন: “তোমরা যাহা করিবে, সাবধান হইয়া করিবে; কেননা তোমরা মনুষ্যদের নিমিত্ত নয়, কিন্তু সদাপ্রভুর নিমিত্ত বিচার করিবে, এবং বিচারের ব্যাপারে তিনি তোমাদের সহকারী; অতএব, সদাপ্রভুর ভয় তোমাদের মধ্যে অধিষ্ঠিত হউক; তোমরা সাবধান হইয়া কাজ করিও, কেননা অন্যায়, কি মুখাপেক্ষা কি উৎকোচ গ্রহণে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মতি নাই।” ৫-৭ পদ । PKBeng 160.2

যিরূশালেমে আবেদনের একটি আদালত স্থাপনের দ্বারা বিচার পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছিল যেখানে যিহোশাফট “সদাপ্রভুর পক্ষে বিচারার্থে এবং বিবাদ নিস্পত্তি করণার্থে লেবীয়দের, যাজকদের ও ইস্রায়েলদের পিতৃকূলপতিদের কয়েকজনকে নিযুক্ত করিলেন।” ৮ পদ । PKBeng 160.3

রাজা বিচারকর্তাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ করলেন যেন তারা বিশ্বস্ত হন। “তোমরা সদাপ্রভুর ভয়ে বিশ্বস্তভাবে একাগ্র চিত্তে এরূপ কার্য কর,” তিনি তাদেরকে আজ্ঞা দিলেন। “রক্তপাতের বিষয়ে, ব্যবস্থার ও আজ্ঞার এবং বিধি ও শাসনের বিষয়ে যে কোন বিচার আপন আপন নগরে বাসকারী তোমাদের ভ্রাতাদের দ্বারা তোমাদের নিকটে উপস্থিত হয় তদ্বিষয়ে উহাদের উপদেশ দিবে, পাছে তাহারা সদপভুর বিরুদ্ধে দোষী হয়, আর তোমদের উপরে ও তোমাদের ভ্রাতাদের উপরে ক্রোধ বর্তে; ইহা করিও, তাহা হইলে তোমরা দোষী হইবে না। PKBeng 160.4

“আর দেখ, সদাপ্রভুর সমস্ত বিচারে প্রধান যাজক অমরিয় এবং রাজার সমস্ত বিচারে যিহূদা-কূলের অধ্যক্ষ ইম্মায়েলের পুত্র সবদিয় তোমাদের উপরে নিযুক্ত আছেন; কর্মচারী লেবীয়েরাও তোমাদের সামনে আছে। PKBeng 161.1

“তোমরা সাহস পূর্বক কাজ কর, আর সদাপ্রভুর সুজনদের সহবর্তী হোন।” ৯-১১ পদ । PKBeng 161.2

তার প্রজাগণের অধিকার এবং স্বাধীনতার সযত্ন নিরাপত্তায়, যিহোশাফট বিবেচনার উপরে গুরুত্ব প্রদান করেছিলেন যা মানব পরিবারের প্রতিজন সভ্য ন্যায়বিচারক ঈশ্বরের কাছ থেকে লাভ করেছিল, যিনি সকলের উপর রাজত্ব করেন। “ঈশ্বর ঈশ্বরের মণ্ডলীতে দন্ডায়মান, তিনি ঈশ্বরদের মধ্যে বিচার করেন।” আর যারা তাঁর অধীনে বিচারকর্তারূপে কাজ করার জন্য নিয়োজিত, তারা “দীনহীন ও পিতৃহীন লোকদের বিচার” করেন; দুঃখী ও অকিঞ্চনদের প্রতি ন্যায় ব্যবহার করেন, এবং “দুষ্ট লোকদের হস্ত হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।” গীতসংহিতা ৮২:১, ৩, ৪ । PKBeng 161.3

যিহোশাফটের রাজত্বের শেষ দিকে যিহুদার রাজা একদল সৈন্য কর্তৃক আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, যা সমীপবর্তী দেশের অধিবাসীদের কম্পিত হবার কারণ ছিল। “পরে মোয়াব সন্তানগণ ও আম্মোন সন্তানগণ এবং তাহাদের সাথে কতকগুলো মায়োনীয় লোক যিহোশাফটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে আসিল ৷” এই আক্রমণের খবর একজন বার্তাবাহকের মাধ্যমে রাজার কাছে পৌছল; সে লোমহর্ষক বার্তাটি উপস্থাপন করল: “সাগরের ওপারস্থ অরাম হইতে বৃহৎ লোকসমারোহ আপনার বিরুদ্ধে আসিতেছে; দেখুন, তাহারা হৎসসোন-তামরে অর্থাৎ ঐনগদীতে আছে।” ২ বংশাবলি ২০:১, ২। PKBeng 161.4

যিহোশাফট ছিলেন একজন সাহসী এবং বলবান বীর। বহু বছর পর্যন্ত তিনি তার সৈন্যদের শক্তিশালী করে আসছিলেন এবং তার নগর সমূহ সুরক্ষা করেছিলেন। তিনি যে কোন শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন; তথাপি এই সংকটের মধ্যে তিনি রক্ত মাংসের বাহুতে নির্ভর করলেন না। সৈন্যবাহিনী সুগঠিত করেননি, প্রাচীর বেষ্টিত রাখেননি; কিন্তু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরে একটি জীবন্ত বিশ্বাস দ্বারা সুশৃংখলিত রাখার মাধ্যমে তিনি এই পৌত্তলিকদের উপরে বিজয় লাভ করলেন যা জাতিগণের চোখে যিহুদাকে বিনম্র করল। PKBeng 161.5

“তাহাতে যিহোশাফট ভীত হইয়া সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, এবং যিহূদার সর্বত্র উপবাস ঘোষণা করিয়া দিলেন। আর যিহূদার লোকেরা সদাপ্রভুর নিকট সাহায্য যাচঞা করিবার জন্য একত্র হইল; যিহূদার সমস্ত নগর হইতে লোকেরা সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিতে আসিল।” PKBeng 162.1

মন্দির প্রাঙ্গণে তার লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে, যিহোশাফট তার আত্মাকে প্রার্থনায় ঢেলে দিলেন। ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার জন্য আবেদন জানালেন, ইস্রায়েলের অক্ষমতা স্বীকার করলেন। “হে আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি কি স্বর্গস্থ ঈশ্বর নহ? তুমি কি জাতিগণের সমস্ত রাজ্যের কর্তা নহ? আর শক্তি ও পরাক্রম তোমারই। হাতে, তোমার বিপক্ষে দাঁড়াইতে কাহারও সাধ্য নাই। হে আমাদের ঈশ্বর তুমিই কি আপন প্রজা ইস্রায়েলের সম্মুখ হইতে এই দেশের নিবাসীদিগকে অধিকারচ্যুত কর নাই? এবং তোমার মিত্র অব্রাহামের বংশকে চিরকালের জন্য কি এই দেশ দেও নাই? আর তাহারা এই দেশে বসতি করিয়াছে, এবং এই দেশে তোমার নামের জন্যে এক ধর্মধাম নির্মাণ করিয়া বলিয়াছে, খড়্গগ, কি বিচারসিদ্ধ দন্ড, কি মহামারী, কি দুর্ভিক্ষ স্বরূপ অমঙ্গল যখন আমাদের প্রতি ঘটিবে, তখন আমরা এই গৃহের সামনে, তোমারই সামনে দন্ডায়মান হইব- কেননা এই গহে তোমার নাম আছে- এবং আমাদের সঙ্কটে আমরা তোমার কাছে ক্রন্দন করিব; তাহাতে তুমি তাহা শুনিয়া নিস্তার করিবে। PKBeng 162.2

“আর এখন দেখ, আম্মোনের ও মোয়াবের সন্তানগণ এবং সেয়ার পর্বত নিবাসীরা যাহাদের দেশে তুমি ইস্রায়েলকে মিসর দেশ হইতে আসিবার সময় প্রবেশ করিতে দেওনি কিন্তু ইহারা উহাদের নিকট হইতে অন্য পথে গিয়াছিল উহাদিগকে বিনষ্ট করে নাই; দেখ, উহারা আমাদের কিরূপ অপকার করিতেছে; তুমি যাহা আমাদিগকে ভোগ করিতে দিয়াছ, তোমার সেই অধিকার হইতে আমাদিগকে তাড়াইয়া দিতে আসিতেছে। হে আমাদের ঈশ্বর তুমি কি উহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবে না? আমাদের বিরুদ্ধে ঐ যে বৃহৎ দল আসিতেছে, উহাদের বিরুদ্ধে আমাদের নিজের কোন সামর্থ নাই; কি করিতে হইবে, তাহাও আমরা জানি না। আমরা কেবল তোমার দিকে চাহিয়া আছি।” ২ বংশাবলি ৩-১২ পদ । PKBeng 162.3

যিহোশাফট বিশ্বাস সহকারে সদাপ্রভুকে বললেন, “আমরা কেবল তোমার দিকে চাহিয়া আছি।” বহুবছর যাবৎ তিনি লোকদেরকে একজনের উপরে নির্ভর করতে শিক্ষা দিয়েছেন যিনি অতীত বছরগুলোতে তাঁর মনোনীত লোকদেরকে সম্পূর্ণ বিনাশ হতে রক্ষা করার জন্য প্রায়ই মধ্যস্থতা করেছেন; আর এখন রাজ্য যখন চরম সংকটের মধ্যে তখন যিহোশাফট। একাকী দন্ডায়মান হলেন না, “শিশু, স্ত্রীলোক ও সন্তানগণের সাথে সমস্ত যিহুদা সদাপ্রভুর সাক্ষাতে দন্ডায়মান হইল।” ১৩ পদ। তারা একসঙ্গে উপবাস এবং প্রার্থনা করল, তারা একসঙ্গে সদাপ্রভুর অন্বেষণ করল যেন তিনি তাদের শত্রুদের বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেন, যেন যিহোবার নাম কীৰ্তনীয় হয় । PKBeng 163.1

“হে ঈশ্বর মৌনী থাকিও না ;
হে ঈশ্বর নীরব ও নিস্তব্ধ হইও না ।
কেননা, দেখ, তোমার শত্রুগণ গর্জন করিতেছে,
তোমার বিদ্বেষীগণ মস্তক তুলিতেছে।
তারা তোমার প্রজাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করিতেছে,
তোমার লুক্কায়িতগণের বিরুদ্ধে পরস্পর পরামর্শ আঁটিতেছে।
তাহারা বলিয়াছে, আইস, আমরা উহাদিগকে উচ্ছিন্ন করি,
আর জাতি থাকিতে না দিই;
যেন ইস্রায়েলের নাম আর স্মরণে না থাকে ।
কারণ তাহারা একচিত্তে মন্ত্রণা করিয়াছে;
নিম তাহারা তোমার বিরুদ্ধে নিয়ম স্থাপন করে । PKBeng 163.2

ইদোমের তাম্বু সকল ও ইশ্মায়েলীয়গণ,
মোয়াব ও হাগারীয়গণ,
গবাল, অম্মোন ও অমালেক,...
তাহাদের প্রতি তদ্রূপ কর, যেরূপ মিদিয়নের প্রতি করিয়াছিলে;
কাশোন নদীতে যেরূপ সীষরার ও যাবীনের প্রতি করিয়াছিলে...
উহারা চিরতরে লজ্জিত ও বিহ্বল হউক,
উহারা হতাশ ও বিনষ্ট হউক;
আর জানুক যে তুমি, যাঁহার নাম সদাপ্রভু
একা তুমিই সমস্ত পৃথিবীর উপরে পরাপর।” PKBeng 164.1

গীত ৮৩।

লোকেরা যেরূপে তাদের রাজার সাথে ঈশ্বরের সামনে নিজেদেরকে নত করার জন্য যোগদান করল এবং তাঁর কাছে সাহায্য যাচঞা করল, তেমনিভাবে যহসীয়েল (ইনি আসফ বংশজাত মত্তনিয়ের সন্ত ান) নামে একজন লেবীয়ের উপরে সদাপ্রভুর আত্মা আসলেন এবং বললেন: PKBeng 164.2

“হে সমগ্ৰ যিহুদা, হে যিরূশালেম- নিবাসী লোকসকল আর হে মহারাজ যিহোশাফট, শ্রবণ করুন; সদাপ্রভু তোমাদিগকে এই কথা বলেন, তোমরা ঐ বৃহৎ লোকসমারোহ হইতে ভীত কি নিরাশ হইও না, কেননা এই যুদ্ধ তোমাদের নয়, কিন্তু ঈশ্বরের। তোমরা কাল উহাদের বিরুদ্ধে নামিয়া যাও; দেখ, তাহারা সীস নামক আরোহণস্থান দিয়া আসিতেছে; তোমরা যিরূয়েল প্রান্তরের সামনে উপত্যকার অন্তভাগে তাহাদের পাইবে। এবার তোমাদিগকে যুদ্ধ করিতে হইবে না; হে যিহূদা যিরূশালেম, তোমরা শ্রেণীবদ্ধ হও, দাঁড়াইয়া থাক, আর তোমাদের সহবর্তী সদাপ্রভু যে নিস্তার করেন, তাহা দেখ; ভীত কি নিরাশ হইও না; কাল তাহাদের বিরুদ্ধে যাত্রা কর; কেননা সদাপ্রভু তোমাদের সহবর্তী । তখন যিহোশাফট ভূমিতে আধোমুখ হইয়া প্রণাম করিলেন, এবং সমস্ত যিহূদা ও যিরূশালেম নিবাসীগণ সদাপ্রভুর নিকট প্রণিপাত করিতে সদাপ্রভুর সামনে ভূমিষ্ট হইল। পরে কহাৎ বংশজাত ও কোরণ বংশজাত লেবীয়রা অতি উচ্চৈঃস্বরে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করিতে উঠিয়া দাঁড়াইল।” PKBeng 164.3

তারা ভোরে উঠে তকোয় প্রান্তরে যাত্রা করল। তাদের যুদ্ধ যাত্রাকালে যিহোশাফট দাঁড়িয়ে বললেন; “হে যিহুদা, হে যিরূশালেম নিবাসীগণ, আমার কথা শুন; তোমরা আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে বিশ্বাস কর, তাহাতে সুস্থির হইবে; তাঁহার ভাববাদীগণকে বিশ্বাস কর, তাহাতে কৃতকার্য হইবে। আর তিনি লোকদের সহিত পরামর্শ করিয়া লোক নিযুক্ত করিলেন, [যেন তারা] সৈন্য শ্রেণীর অগ্রে অগ্রে গিয়া সদাপ্রভুর উদ্দেশে সঙ্গীত ও পবিত্র শোভায় প্রশংসা করে।” ২ বংশাবলী ২০:১৪-২১। গায়কদল সৈন্য শ্রেণীর আগে আগে গিয়ে বিজয়ের প্রতিজ্ঞার জন্য উচ্চরবে ঈশ্বরের প্রশংসা করল। PKBeng 165.1

শত্রু সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অগ্রসর হবার এটি ছিল একটু অদ্ভূত উপায়- সংগীত পূরঃসর সদাপ্রভুর প্রশংসা এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে উন্নীত করা। এটি ছিল তাদের রণ-সঙ্গীত। তারা পবিত্র শোভা অধিকারী ছিল। এখন যদি তারা আরও অধিক ঈশ্বরের প্রশংসায় রত থাকে তাহলে, প্রত্যাশা এবং সাহস এবং বিশ্বাস ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে। আর এটি কি নিৰ্ভীক সৈন্যদের হাত শক্তিশালী করবে না, যারা অদ্য সত্যের পক্ষে দন্ডায়মান রয়েছে। PKBeng 165.2

“তখন সদাপ্রভু যিহুদার বিরুদ্ধে আগত আম্মোনের ও মোয়াবের সন্তানগণের ও সেয়ীহ পৰ্ব্বতীয় লোকদের বিরুদ্ধে লুক্কায়িত সৈন্যদিগকে নিযুক্ত করিলেন; তাহাতে তাহারা পরাহত হইলেন। আর আম্মোনের ও মোয়াবের সন্তানগণ নিঃশেষে বধ ও বিনাশ করিবার নিমিত্ত সেয়ীর পৰ্ব্বত নিবাসীগণকে সংহার করার পর পরস্পর একজন অন্যের বিনাশ সাধনে সাহায্য করিল । তখন যিহুদার লোকেরা প্রান্তরের প্রহরীদূর্গে উপস্থিত হইয়া লোকসমারোহের প্রতি দৃষ্টিপাত করিল; আর দেখ, ভূমিতে কেবল মাত্র শব পতিত আছে, কেহই পালাইয়া বাঁচে নাই।” ২২-২৪ পদ । PKBeng 165.3

এই সংকটের মধ্যে ঈশ্বর ছিলেন যিহুদার বল, এবং আজ তিনি তাঁর প্রজাদের বল। আমরা অধ্যক্ষগণে নির্ভর করব না অথবা ঈশ্বরের স্থানে মনুষ্যকে স্থাপন করব না। আমাদের স্মরণে রাখতে হবে যে, মানব গোষ্ঠী ভ্রমনশীল এবং যিনি সর্বশক্তির অধিকারী তিনি আমাদের শক্তিশালী রক্ষাদূর্গ। প্রতিটি জরুরী অবস্থায় আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, যুদ্ধ তাঁর। তাঁর সম্পদ অসীম, এবং দৃশ্যমান অসম্ভাব্যতা সর্ববৃহৎ বিজয় লাভ করবে। PKBeng 166.1

“হে আমাদের ত্রাণেশ্বর ত্রাণ কর, আমাদিগকে সংগ্রহ কর,
জাতিগণ হইতে উদ্ধার কর,
যেন আমরা তোমার পবিত্র নামের স্তব করি,
যেন তোমার প্রশংসায় জয়ধ্বনি করি।” PKBeng 166.2

১ বংশাবলি ১৬:৩৫ ।

যিহুদার সৈন্যগণ লুট দ্রব্যসহ “আনন্দ পূর্বক যিরূশালেমে যাইবার জন্য ফিরিয়া গেলেন, কেননা সদাপ্রভু তাহাদের শত্রুগণের উপরে তাহাদিগকে আনন্দিত করাইয়াছিলেন। আর তাহারা নেবল, বীণা ও তূরী বাজাইতে বাজাইতে যিরূশালেমে আসিয়া সদাপ্রভুর গৃহে গেলেন ২ বংশাবলি ২০:২৭, ২৮। তাদের আনন্দ করার প্রধান কারণ ছিল মহৎ। এই আদেশের প্রতি আজ্ঞাবহতা: “দাড়াইয়া থাক আর তোমাদের সহবর্তী সদাপ্রভু যে নিস্তার করিবেন, তাহা দেখ; ভীত কি নিরাশ হইও না.” ১৭ পদ । তারা সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরে নির্ভর করেছিল এবং তিনি তাদের দূর্গ এবং তাদের মুক্তিকর্তারূপে প্রমাণ করেছেন। এখন তারা বুদ্ধিমত্তার সাথে দায়ূদের অনুপ্রাণিত গীত গাইল: PKBeng 166.3

“ঈশ্বর আমাদের পক্ষে আশ্রয় ও বল,
তিনি সঙ্কটকালে অতি সুপ্রাপ্য সহায়।... তিনি ধনু ভগ্ন করেন, তিনি বড়শা খন্ড খন্ড করেন,
তিনি রথ সকল আগুনে পোড়াইয়া দেন ।
তোমরা ক্ষান্ত হও; জানিও, আমিই ঈশ্বর;
আমি জাতিগণের মধ্যে উন্নত হইব,
আমি পৃথিবীতে উন্নত হইব,
বাহিনীগণের সদাপ্রভু আমাদের সহবর্তী;
যাকোবের ঈশ্বর আমাদের উচ্চদূর্গ ।” PKBeng 166.4

গীতসংহিতা ৪৬।

PKBeng 167.1

“যেমন তোমার নাম, হে ঈশ্বর,
তোমার প্রশংসা পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত;
কি তোমার দক্ষিণ হস্ত ধৰ্ম্মশীলতায় পরিপূর্ণ।
সিয়োন পর্বত আনন্দ করুক,
যিহূদার কন্যারা উল্লাসিত হউক,
তোমার শাসনের জন্য ।...
কেননা এই ঈশ্বর অনন্তকালের তরে আমাদের ঈশ্বর
তিনি চিরকাল আমাদের পথ প্রদর্শক হইবেন।” PKBeng 167.2

গীতসংহিতা ৪৮:১০-১৪।

যিহূদার শাসনকর্তার এবং তার সৈন্যদের বিশ্বাসের মাধ্যমে “সদাপ্রভু ইস্রায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়াছেন; এই জনরব অন্য দেশীয় সকল রাজ্যের লোকে শুনিলে ঈশ্বর হইতে ভয় তাহাদের উপরে আসিল। এইরূপে যিহোশাফটের রাজ্য সুস্থির হইল, তাঁহার ঈশ্বর চারিদিকে তাঁহাকে বিশ্রাম দিলেন।” ২ বংশাবলি ২০:২৯, ৩০। PKBeng 167.3