Go to full page →

১৭—ইলীশায়ের প্রতি আহ্বান PKBeng 180

ঈশ্বর এলিয়কে তার স্থানে আরও একজন ভাববাদীকে অভিষেক করতে বলেছিলেন। “আর তোমার পদে ভাববাদী হইবার নিমিত্ত ...শাফটের পুত্র ইলীশায়কে অভিষেক কর ।” (১রাজাবলি ১৯:১৬)। তিনি বলেছিলেন; আর এই আদেশের আজ্ঞাবহ হয়ে, এলিয় ইলিশায়ের অন্বেষণে বের হলেন। তিনি উত্তর দিকে যাত্রা করে লক্ষ্য করলেন, অল্পকাল পূর্বে যে দৃশ্য ছিল, তার কি-ই না এক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে! রৌদ্রদগ্ধ ভূমি, বিশেষ বিশেষ জেলায় কৃষি কাজ বন্ধ সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত বৃষ্টি বা শিশির পড়েনি। অনাবৃষ্টি এবং দুর্ভিক্ষ দূর হয়েছে এখন সবদিকেই শাক-সব্জির সমারোহ । PKBeng 180.1

ইলীশায়ের পিতা ছিলেন একজন ধনী কৃষক, যিনি বালের সামনে জানু পাতেননি, বিশ্বব্যাপী ধর্মভ্রষ্টতার মধ্যে এটি ছিল একটি পরিবার যেখানে ঈশ্বর সমাদৃত হয়েছিলেন এবং যেখানে পুরাতন ইস্রায়েলের বিশ্বাস ছিল দৈনন্দিন জীবনের নিয়ম। এরূপ পরিবেশের মধ্যে, ইলীশায়ের প্রাথমিক বছরগুলো অতিবাহিত হয়েছিল। পল্লী জীবনের নীরবতার মাঝে, ঈশ্বর এবং প্রকৃতির শিক্ষাধীন এবং ব্যবহারিক কাজের সাদাসিধে স্বভাবের মধ্যে তিনি তার পিতামাতার এবং ঈশ্বরের প্রতি বাধ্যতা শিক্ষা করেছিলেন যা তাকে ভবিষ্যতে উচ্চ পদে আরোহণে সাহায্য করে । PKBeng 180.2

ভাববাদী পদের আহ্বানটি এমন সময়ে এল, যখন ইলীশায় তার পিতার ভৃত্যগণকে নিয়ে জমি চাষ করছিলেন। তিনি নিকটতম স্থানেই কাজ করতেন লোকদের নেতৃত্বদানের দক্ষতা তার ছিল এবং তিনি নম্রভাবে সেবা কার্য করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। একটি শান্ত ও নম্রাত্মার লোক ছিলেন তিনি, এতদসত্বেও তিনি ছিলেন শক্তিশালী, তৎপর; ন্যায়পরায়ণতা এবং বিশ্বস্ততা, এবং প্রেম ও ঈশ্বর ভয় ছিল তার, এবং প্রাত্যহিক নম্রতার শ্রমের মাধ্যমে তিনি তার উদ্দেশ্য সাধনের শক্তি, চরিত্রের মহত্ত্ব লাভ করেছিলেন; অবিরত অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বৃদ্ধি পেতেন তিনি। গৃহকাজে তার পিতাকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে, তিনি ঈশ্বরের সাথে সহযোগিতা করতে শিক্ষা লাভ করছিলেন । PKBeng 180.3

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে বিশ্বস্ততার মাধ্যমে ইলীশায় আরও ভারী সব দায়িত্বভার বহনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন। দিনের পর দিন, বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, তিনি আরও একটি প্রসার উন্নত কাজের একটি যোগ্যতা অর্জন করছিলেন। তিনি সেবাকাজ শিক্ষা লাভ করেছিলেন, এবং তা শিক্ষালাভ করে, শিক্ষা এবং নেতৃত্বদান শিক্ষা করেছিলেন— শিক্ষাটি প্রত্যেকেরই জন্য। তাঁর শাসনে তাঁর কি উদ্দেশ্য রয়েছে তা আমরা জানি না; কিন্তু সকলেই নিশ্চিত হতে পারে যে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে বিশ্বস্ততা মহত্ত্বর দায়িত্বসমূহের জন্য যোগ্যতা লাভের প্রমাণ। জীবনের প্রত্যেকটি কার্য চরিত্রের একটি প্রকাশ, এবং যে ব্যক্তি কেবলমাত্র ছোট ছোট দায়িত্বে নিজেকে “এমন কার্যকারী বলে প্রমাণ করে যার লজ্জা করার প্রয়োজন নাই” সে ঈশ্বর কর্তৃক উচ্চতর সেবা কার্য দ্বারা সম্মানিত হবে । ২ তীমথিয় ২:১৫। PKBeng 181.1

যে মনে করে যে, এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় যে, কিভাবে তিনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজগুলো সম্পন্ন করবেন; এ চিন্তা তাকে আরও একটি সম্মানিত পদের জন্য অনুপযুক্ত করে। তিনি নিজেকে উপযুক্ত মনে করতে পারেন; কিন্তু ঈশ্বর উপর অপেক্ষা আরও গভীরে দৃষ্টিপাত করেন । পরীক্ষা এবং বিচারের পর, তার বিরুদ্ধে লেখা আছে, “আপনি তুলাতে পরিমিত হয়ে লঘুরূপে নির্ণীত হয়েছেন।” তার অবিশ্বস্ততা তারই উপরে প্রতিক্রিয়াশীল হয়। তিনি সেই অনুগ্রহ, শক্তি, চরিত্রের জোর লাভ করতে ব্যর্থ হন যা অকপট আত্মসমর্পণের মাধ্যমে অর্জিত হয়ে থাকে। PKBeng 181.2

যেহেতু তারা সরাসরিভাবে কোন ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের সাথে সংযুক্ত নয়, তাই অনেকে মনে করেন যে, তাদের জীবন অর্থহীন, ঈশ্বরের রাজ্যের অগ্রগতির জন্য তারা কিছুই করছে না । তারা যদি মহৎ কোন কাজ করতে পারত, তবে কত আনন্দের সাথেই না তারা দায়িত্বভার গ্রহণ করতে পারত! কিন্তু যেহেতু তারা কেবলমাত্র ছোটখাট বিষয়ের পরিচর্যা বা সেবা কাজ করতে পারে তাই তারা ধার্মিক জ্ঞান করে। এখানে তারা ভুল করছে। একজন ব্যক্তি প্রতিদিনের সাধারণ কাজ করেও সক্রিয়ভাবে ঈশ্বরের কাজে নিয়োজিত থাকতে পারে — যেমন গাছ কাটা, জমি পরিষ্কার, হাল চাষ ইত্যাদি। একজন মাতা যিনি তার সন্তানদের খ্রীষ্টের জন্য প্রশিক্ষণ দান করছেন, তিনি প্রচার মঞ্চের পুরোহিতের ন্যায় ঈশ্বরের পক্ষে কাজ করছেন। PKBeng 181.3

যেক্ষেত্রে হাতের নাগালেই কাজ পড়ে রয়েছে সেক্ষেত্রে অনেকে একটি চমৎকার কাজ করার জন্য বিশেষ তালন্তের আশা করে থাকে; যা সাধনের মাধ্যমে জীবন সুগন্ধিময় হয়ে উঠবে তা তাদের লক্ষভ্রষ্ট থেকে যায়। ঐরূপ ব্যক্তিগণ সরাসরিভাবে তাদের চলার পথে পড়ে থাকা কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করুক। কৃতকার্যতা বহুলাংশে শক্তি এবং ইচ্ছার উপরেই নির্ভর করে না । এটি অত্যুৎকৃষ্ট তালন্তরূপ সম্পদ নয় যা আমাদের গ্রহণযোগ্য সেবাদানের সামর্থ দান করে, কিন্তু প্রতিদিনের বিবেক সম্মত সেবা কার্য, পরিতৃপ্ত আত্মা, অনাক্রান্ত, অন্যের মঙ্গলের জন্য ভণ্ডামিহীন মনোভাব সামর্থ দান করে। অতিশয় নম্র ব্যক্তির মধ্যে প্রকৃত পরমোৎকর্ষ পাওয়া যায়। সপ্রেম-বিশ্বস্ততার মাধ্যমে সাধিত অতীব সাধারণ কার্য ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মনোরম । PKBeng 182.1

এলিয় ঐশ্বরিক প্রেরণায় একজন উত্তরাধিকারীর অন্বেষণে ক্ষেত্র অতিক্রম করলেন, যেখানে তিনি জমি চাষ করছিলেন, সেখানে তিনি যুবক লোকটির স্কন্ধে আত্মোৎসর্গের শাল রাখলেন। দুর্ভিক্ষের সময়ে শাফটের পরিবার এলিয়ের কার্য এবং উদ্দেশ্যের সাথে পরিচিত ছিলেন, আর এখন ঈশ্বরের আত্মা, ভাববাদীর কাজের তাৎপর্য সম্পর্কে ইলীশায়ের আত্মাকে অনুপ্রাণিত করলেন। এটি ছিল তাঁর কাছে সংকেত যে, ঈশ্বর তাকে এলিয়ের উত্তরশরীরূপে আহ্বান করছেন। PKBeng 182.2

পরে বলদগুলি ত্যাগ করে এলিয়ের পিছন পিছন দৌড়ে গিয়ে তাকে বললেন, “বিনয় করি, অনুমতি দিন, আমি আপন মাতা ও পিতাকে চুম্বন আসি, পরে আপনার পশ্চাদ্গামী হইব।” “তুমি ফিরিয়া যাও,” এ ছিল এলিয়ের উত্তর, “আমি তোমার কি করিলাম?” এটি একটি বাধা ছিল না, কিন্তু বিশ্বাসের একটি পরীক্ষা। ইলীশায়কে মূল্য দিতে হবে- হয় আহ্বানে সাড়া দিতে হবে, নতুবা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যদি তার বাড়ীর প্রতি টান থাকে, তাহলে পিছনে থেকে যাবার স্বাধীনতা তার রয়েছে। কিন্তু ইলীশায় আহ্বানের তাৎপর্য বুঝতে পেরেছিলেন । তিনি জানতে পারলেন ঈশ্বর হতেই এই আহ্বান, আর তিনি ইতস্ত তঃ করলেন না। যে কোন পার্থিব সুবিধা লাভের জন্য, ঈশ্বরের বার্তাবাহক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগটি ছেড়ে দেবেন না, অথবা তাঁর দাসের সংসর্গে আসার সুযোগটি জলাঞ্জলী দেবেন না। তিনি “সেই বলদ জোড়া লইয়া বলিদান করিলেন, এবং তাহাদের যোয়ালি-কাষ্ঠের দ্বারা তাহাদের মাংস পাক করিলেন, পরে লোকদিগকে দিলে তাহারা ভোজন করিল। তখন তিনি উঠিয়া এলিয়ের পশ্চাদ্গামী হইলেন তাহার পরিচর্যা করিতে লাগিলেন।” ১রাজাবলি ১৯:২০, ২১। ইতস্ততঃ না করে তিনি, একটি অনিশ্চিত জীবনে ভাববাদীর সঙ্গে কাটাবার জন্য, একটি প্রিয় বাটী ত্যাগ করলেন। PKBeng 182.3

ইলীশায় যদি এলিয়কে জিজ্ঞেস করতেন যে, তিনি তার কাছে কি প্রত্যাশা করেন,- তার কাজ কি হবে,- তাকে এই উত্তর প্রদান করা হত: ঈশ্বর জানেন, তিনিই তোমাকে তা জানাবেন। যদি তুমি সদাপ্রভুতে নির্ভর কর, তিনি তোমার সকল প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তোমার যদি কোন প্রমাণ থাকে যে, ঈশ্বর তোমাকে আহ্বান করেছেন, তবে তুমি আমার সঙ্গে চল। তুমি জেনে রাখ যে, ঈশ্বর আমার পশ্চাতে আছেন, এবং তুমি তাঁরই রব শ্রবণ করেছ; যদি তুমি সমস্ত কিছু মঙ্গলবৎ জ্ঞান কর যে, তুমি ঈশ্বরের অনুগ্রহ পেতে পার তবে এস । PKBeng 183.1

ইলীশায়ের কাছে যে আহ্বান এসেছিল ঐ আহ্বানের ন্যায় উত্তরই, খ্রীষ্ট কর্তৃক যুবক শাসনকর্তার কাছে এসেছিল, যিনি তাঁকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন, “অনন্ত জীবন পাইবার নিমিত্ত আমি কিরূপ সৎকর্ম করিব?” “যদি সিদ্ধ হইতে ইচ্ছা কর,” খ্রীষ্ট উত্তর দিলেন, “তবে চলিয়া যাও, তোমার যাহা যাহা আছে, বিক্রয় কর, এবং দরিদ্রদিগকে দান কর, তাহাতে স্বর্গে ধন পাইবে; আর আইস, আমার পশ্চাদ্গামী হও।” মথি ১৯:১৬, ২১। PKBeng 183.2

ইলীশায় সেবা দানের আহ্বান গ্রহণ করলেন, তিনি আরাম আয়েশ উপভোগ করার জন্য পশ্চাৎদিকে ফিরলেন না। “যুবক শাসনকর্তা, যীশুর কথা শুনে দুঃখিত হয়ে চলে গেল, কারণ তার বিস্তর সম্পত্তি ছিল।” ২২ পদ। তিনি ত্যাগ স্বীকার করতে চাইলেন না। সম্পত্তির প্রতি তার ভালবাসা ছিল ঈশ্বরের জন্য ভালবাসা অপেক্ষা মহত্ত্বর। খ্রীষ্টের জন্য সব কিছু তুচ্ছ জ্ঞান করতে অস্বীকার করে সে নিজেকে প্রভুর সেবার সুযোগ লাভের অযোগ্য প্রমাণ করল । PKBeng 183.3

সেবার বেদীর উপরে আমাদের প্রত্যেককে সর্বস্ব অর্পণ করার আহ্বান জানান হয়েছে। ইলীশায়কে যে কাজের জন্য আহ্বান করা হয়েছিল, আমাদের সকলকে ঐ একই কাজের জন্য আহ্বান করা হয়নি, অথবা আমাদের সকলকে আমাদের সর্বস্ব বিক্রয় করতে বলা হয়নি; কিন্তু ঈশ্বর চান যেন আমরা আমাদের জীবনে তাঁর সেবা সর্বপ্রথম স্থান দিই। আমরা যেন একটি দিনও অতিবাহিত হতে না দিই যে, আমরা পৃথিবীতে তাঁর কাজের অগ্রগতির জন্য একটা কিছু করতে পারলাম না। তিনি আমাদের সকলের কাছ থেকে একই রূপ সেবা কার্য প্রত্যাশা করেন না। একজনকে হয়ত বিদেশে মিশনারী কাজের জন্য আহ্বান করা হল; অন্য ব্যক্তিকে হয়তো তার অর্থ-সম্পদ, সুসমাচার কাজের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য দান করতে বলা হল। ঈশ্বর প্রত্যেকের উপহার গ্রহণ করেন । জীবন এবং জীবনের সকল স্বার্থের উৎসর্গীকরণ, যা আবশ্যক । যারা এই উসর্গ নিবেদন করে তারা স্বর্গের আহ্বান শ্রবণ করবে, এবং আজ্ঞাবহ হবে। PKBeng 183.4

যারা তাঁর অনুগ্রহের সহভাগী হয় প্রভু তাদের প্রত্যেককে অন্যদের জন্য একটি কার্যে নিয়োগ প্রদান করেন। আমাদের স্বতন্ত্রভাবে আমাদের সিদ্ধান্তসহ দন্ডায়মান হয়ে বলতে হবে, “এই আমি, আমাকে পাঠাও।” একজন ব্যক্তি বাক্যের প্রচারক হোন, একজন ব্যবসায়ী অথবা কৃষক হোন, পেশাদার মনুষ অথবা প্রকৌশলী হোন, দায়িত্ব তারই উপরে নির্ভর করে। অন্যদের কাছে তাদের পরিত্রাণের সুসমাচার বার্তা প্রকাশ করতে হবে। তিনি যে কোন ব্যবসায়ে বা কার্যে নিয়োজিত হন না কেন, তা যেন এর সমাপ্তির একটি মাধ্যম স্বরূপ হবে। PKBeng 184.1

ইলীশায়কে প্রথম যে কাজটি দেয়া হয়েছিল, তা বড় একটি কাজ ছিল না; সাধারণ স্থানের কাজটিতে তাকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। বলা হয়েছে যে, তিনি তার প্রভু এলিয়ের হাতে স্রোতধারার ন্যায়। সদাপ্রভুর পরিচালনায় তিনি যে কোন কিছু করতে ইচ্ছুক ছিলেন এবং প্রতিটি মনে তিনি নম্রতা এবং সেবা কাজের শিক্ষা প্রদান করেছিলেন। ভাববাদীর ব্যক্তিগত সহকারীরূপে, তিনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিয়েছেন, এবং প্রতিদিন শক্তিদানকারী উদ্দেশে তিনি নিজেকে ঈশ্বর কর্তৃক নিয়োজিত কার্যে আত্মোসর্গ করেছিলেন । PKBeng 184.2

এলিয়ের সাথে যোগদান করার পর ইলীশায়ের জীবন প্রলোভনবিহীন ছিল না। প্রভূত পরীক্ষা ছিল তার; কিন্তু প্রতিটি জরুরী অবস্থায় তিনি ঈশ্বরে নির্ভর করেছিলেন। তিনি যে গৃহ ছেড়ে এসেছিলেন, তার বিষয় তিনি চিন্তা করতেন; কিন্তু এই পরীক্ষার প্রতি তিনি ভ্রুক্ষেপ করেননি। তিনি লাঙ্গলে হাত দিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি পিছনে ফিরবেন না, এবং প্রলোভন এবং পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তিনি তার উপরে অর্পিত দায়িত্বের প্রতি বিশ্বস্ত রয়েছেন। PKBeng 184.3

বাক্য প্রচার অপেক্ষা পরিচর্যা কার্য অনেক কিছু অন্তর্ভূক্ত করে। অর্থা এলিয় যেমন ইলীশায়কে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন, তদ্রূপ যুবকদেরকে তাদের নিত্য- নৈমিত্তিক কর্মদায়িত্ব হতে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দান, ঈশ্বরের কার্যে দায়িত্ব ন্যাস্ত করা- প্রথমতঃ ছোট খাট দায়িত্ব, এবং শক্তি ও অভিজ্ঞতা অর্জনের পরে বৃহত্তর দায়িত্ব প্রদান করা। পরিচর্যা কার্যে বিশ্বাস এবং প্রার্থনার মানুষ রয়েছে, যারা বলে, “যাহা আদি হইতে ছিল, যাহা আমরা শুনিয়াছি, যাহা স্বচক্ষে দেখিয়াছি যাহা নিরীক্ষণ করিয়াছি, এবং স্বহাতে স্পর্শ করিয়াছি, জীবনের সেই বাক্যের বিষয়... । তাহারই সংবাদ তোমাদিগকে দিতেছি।” ১ যোহন ১:১-৩। অল্পবয়স্ক কার্যকারীগণকে, ঈশ্বরের এসকল অভিজ্ঞ দাসগণের সাথে একসঙ্গে প্রকৃত শ্রমের দ্বারা প্রশিক্ষণ লাভ করতে হবে । এরূপে তারা বোঝাবহন করতে শিক্ষা করবে । PKBeng 185.1

যারা যুব-কার্যকারীদের এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে, তারা শ্রেষ্ঠ সেবা কার্য করছে। প্রভু স্বয়ং তাদের কর্ম প্রচেষ্টার সাথে সহযোগিতা করছে। আর যুবকগণ যাদেরকে আত্মোসর্গের বাণী বলা হয়েছে, যাদের একান্ত, ঈশ্বর ভয়শীল কার্যকারীগণের ঘনিষ্ট সম্পর্কে আনয়ন করার সুযোগ রয়েছে, তারা তাদের সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে। ঈশ্বর তাঁর সেবার জন্য তাদের মনোনয়ন এবং যেখানে তারা এর জন্য শ্রেষ্ঠতর যোগ্যতা লাভ করতে পারে এবং নম্র, বিশ্বস্ত, বাধ্য হতে পারে, এবং স্বেচ্ছায় ত্যাগ স্বীকার করতে পারে এসকল দ্বারা তিনি তাদেরকে সম্মান করলেন। যদি তারা ঈশ্বরের শাসনের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করে, তাঁর নির্দেশ মান্য করে এবং তাদের পরামর্শ দাতারূপে তার দাসগণকে মনোনয়ন করে, তবে তারা ধার্মিক, উচ্চ-নীতিবান, দৃঢ় ব্যক্তিরূপে গণ্য হবে, যাদের ঈশ্বর দায়িত্ব প্রদান করে নির্ভর করতে পারেন । PKBeng 185.2

যেমন সুসমাচার পবিত্রতার মধ্য দিয়ে ঘোষিত হবে, মনুষ্যগণ কৃষি-কর্ম এবং সাধারণ বাণিজ্যিক ব্যবসা কারিগরী শিল্প হতে আহূত হবে যা বিশেষ করে মনকে অধিকার করে এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোকের সাথে যোগাযোগের মধ্যমে শিক্ষিত হবে। যেমন তারা ফলপ্রসূভাবে পরিশ্রম করতে শিখবে, তারা ক্ষমতার সাথে সত্য ঘোষণা করবে। ঐশ্বরিক দূরদর্শীতার মাধ্যমে, অতীব চমৎকার কাজের মাধ্যমে, পর্বত-তুল্য সমস্যা দূর হয়ে সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হবে। যে বার্তা পৃথিবীতে বসবাসকারী লোকদের কাছে প্রচুর অর্থ বহন করে তা তারা শুনবে এবং বুঝতে পারবে। মানুষেরা জানবে সত্য কি! কার্য অগ্রসর হবে এবং হতেই থাকবে যে পর্যন্ত না সমুদয় বিশ্বকে সতর্ক করে দেয়া হয়, আর তারপর শেষকাল উপস্থিত হবে। PKBeng 185.3

ইলীশায়ের আহ্বানের পরে কয়েক বছর এলিয় এবং ইলীশায় একসঙ্গে কাজ করেছেন, যুবক লোকটি প্রতিদিন তার কাজের জন্য প্রস্তুতিকল্পে মহাশক্তি লাভ করছিলেন। এলিয় দানবীয় দুষ্টতা দূর করার জন্য ঈশ্বরের হাতিয়ার স্বরূপ ছিলেন । পৌত্তলিকতা যা আহাব এবং পুতুল পূজক ঈষেবল, কর্তৃক সমর্থন লাভ করেছিল, যা জাতিকে ভ্রষ্ট পথে পরিচালিত করেছিল, তাকে সুস্পষ্ট তিরষ্কার করা হল। বালের ভাববাদীগণকে হত্যা করা হল। ইস্রায়েলের সমুদয় লোকবৃন্দকে গভীরভাবে আলোড়িত করা হল, এবং অনেকে ঈশ্বরের আরাধনার প্রতি ফিরে এল। এলিয়ের উত্তরসূরী ইলীশায়কে সতর্কতাসহকারে, ধৈর্যপূর্ণ নির্দেশসহকারে ইস্রায়েলদের অবশ্যই নিরাপদ পথে পরিচালনা দান করতে হবে। মোশির সময় হতে শ্রেষ্ঠ ভাববাদী এলিয়ের সাথে তার সংসর্গ, তাকে কাজের জন্য প্রস্তুত করেছিল যে, অতিসত্ত্বর তাকে একাকী হতে হবে। PKBeng 186.1

সম্মিলিত পরিচর্যা কাজের এই বছর ব্যাপী, কখনও কখনও কঠিন ভর্ৎসনা সহ এলিয়কে অতি অসৎ মন্দতার মোকাবিলা করার আহ্বান জানান হয়েছিল । যখন দুষ্ট আহাব জোর পূর্বক নাবোটের দ্রাক্ষাক্ষেত্র দখল করল তখন এলিয়ের স্বর তার এবং তার কূলের ধ্বংস বিষয় ভবিষ্যদ্বাণী উচ্চারণ করল। অহসিয়ের পিতা, আহাবের মৃত্যুর পরে, যখন তিনি জীবন্ত ঈশ্বর হতে দূরে চলে গিয়ে, ইক্রোনের দেবতা বেলশেবূরের প্রতি ফিরলেন, তখন আরও একবার যথাযথ আপত্তি সহকারে এলিয়ের স্বর শ্রুত হল । PKBeng 186.2

শমূয়েল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, ভাববাদীদের স্কুল, ইস্রায়েলের ধর্ম ভ্রষ্টতার বছরগুলো ব্যাপী অধঃপতনে গেল। এলিয় এই বিদ্যালয়গুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করলেন, যুবকদের জন্য একটি উপায় করলেন যদ্বারা তারা একটি শিক্ষা লাভ করতে পারে, যা তাদের ব্যবস্থাকে বিবর্ধিত এবং সমাদরণীয় করতে পরিচালনা দান করতে পারে। এই স্কুল তিনটির মধ্যে একটি গিলগলে, একটি বৈথেলে, এবং একটি যিরীহোতে- পুস্তকে লিপিবদ্ধ রয়েছে। এলিয় স্বর্গে নীত হবার কেবলই পূর্বে, তিনি এবং এলিয় এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো সাক্ষাৎ করেছিলেন। ঈশ্বরের ভাববাদী পূর্বেকার সাক্ষাতে তাদেরকে যে শিক্ষা দিয়েছিলেন, তিনি এখন তার পুনাবৃত্তি করলেন। বিশেষ করে তিনি তাদেরকে বিশ্বস্ততার উচ্চ সুযোগ সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছিলেন, যা স্বর্গের ঈশ্বরের প্রতি তাদের বিশ্বস্ততা বজায় রাখবে। তিনি তাদের মনের উপরে তাদের শিক্ষার প্রতিটি সরলতা দ্বারা চিহ্নিত করার গুরুত্ব অঙ্কিত করলেন। কেবল এই উপায়ে তারা স্বর্গের নমুনা লাভ করে সদাপ্রভর পথে কাজ করার জন্য অগ্রসর হবে। PKBeng 186.3

এসকল বিদ্যালয়গুলোর মাধ্যমে সাধিত কর্মকান্ড দেখে এলিয় যার-পর- নাই আনন্দিত হলেন। সংস্কার কার্য তখনও শেষ হয়নি, কিন্তু তিনি রাজ্যের মধ্য দিয়ে সদাপ্রভুর বাক্যের একটি সত্যতা যাচাই লক্ষ্য করলেন। “কিন্তু ইস্রায়েলের মধ্যে আমি আপনার নিমিত্ত সাত সহস্র লোককে অবশিষ্ট রাখিব, সেই সকলের জানু বালের সামনে পতিত হয় নাই।” ১ রাজাবলি ১৯:১৮। PKBeng 187.1

ইলীশায় ভাববাদীর সঙ্গে স্কুলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলেন, আরও এক বারের মত তার বিশ্বাস এবং প্রতিজ্ঞার পরীক্ষা করা হল । গিলগলে, এবং পুনরায় বৈথেলে এবং যিরিহোতে তিনি ভাববাদী কর্তৃক ফিরে যাবার আমন্ত্রণ পেলেন । “তুমি এই স্থানে থাক” এলিয় বললেন, “কেননা সদাপ্রভু আমাকে বৈথেল পর্যন্ত পাঠালেন ।” কিন্তু তার প্রথম হাল চাষের সময়, ইলীশায়, শিখেছিলেন তিনি ব্যর্থ হবেন না বা নিরুৎসাহিত হবেন না আর এখন অন্য এক ধরনের লাঙ্গলে হাত দিলেন, যেখানে তিনি তার উদ্দেশ্য হতে স্খলিত হবেন না । তিনি তার প্রভু কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হবেন না, তিনি সেবাকাজের জন্য আরও যোগ্যতা অর্জন করবেন । এলিয়ের কাছে অজানা, ভাববাদীদের স্কুলে তার শিষ্যদের কাছে জ্ঞাত করা হল যে, তিনি স্বর্গে নীত হবেন; এবং বিশেষ করে ইলীশায়ের কাছে। আর এখন ঈশ্বরের লোকের পরীক্ষিত দাস তার পাশেই থাকলেন । PKBeng 187.2

যতবার পশ্চাতে ফিরে যাবার আমন্ত্রণ জানান হল, তার উত্তর ছিল, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, এবং আপনার জীবিত প্রাণের দিব্য, আমি আপনাকে ছাড়িব না ।” PKBeng 187.3

“পরে তাহারা দুইজন চলিলেন। ...আর যদ্দনের ধারে ঐ দুই জন দাঁড়াইলেন । পরে এলিয় আপন শাল ধরিয়া গুটাইয়া লইয়া জলে আঘাত করিলেন, তাহাতে জল দুইধারে বিভক্ত হইল, এবং তাহারা দুই জন শুষ্ক ভূমি দিয়ে পার হইলেন। পার হইলে পর এলিয় ইলীশায়কে বলিলেন, ‘তোমার জন্য আমি কি করিব? তাহা তোমার নিকট হইতে আমার নীত হইবার পূর্বে যাচঞা কর।” ইলীশায় পার্থিব সম্মান অথবা পৃথিবীর মহান লোকদের মধ্যে একটি পদ। যাচঞা করেননি। তিনি যা যাচঞা করেছিলেন, তা ছিল আত্মার বৃহৎ অংশ যা ঈশ্বর তাকে দিয়ে দিলেন, বিনা মূল্যে, এমন এক ব্যক্তির উপরে, যিনি লোকান্ত রে নীত হওন দ্বারা সম্মানিত হলেন। তিনি জানতেন যে, একমাত্র আত্মা যা এলিয়ের স্থান পূর্ণ করবে, যাদের উদ্দেশ্যে ঈশ্বর তাকে ডেকেছেন, আর তাই তিনি বললেন, “বিনয় করি, আপনার আত্মার দ্বিগুণাংশ আমাতে বর্তৃক।” PKBeng 187.4

এই অনুরোধের উত্তরে এলিয় বললেন, “কঠিন বর যাচঞা করিলে, যদি তোমার নিকট হইতে নীত হইবার সময়ে আমাকে দেখিতে পাও, তবে তোমার প্রতি তাহা বর্তিবে; কিন্তু না দেখিলে বর্তিবে না। পরে এরূপ ঘটিল; তাহারা যাইতে যাইতে কথা বলিতেছেন, ইতোমধ্যে দেখ, অগ্নিময় এক রথ ও অগ্নিময় অশ্ব আসিয়া তাহাদিগকে পৃথক করিল, এবং এলিয় ঘূর্ণবায়ুতে স্বর্গে উঠিয়া গেলেন।” দেখুন, ২ রাজাবলি ২:১০, ১১। PKBeng 188.1

যেসব সাধু ব্যক্তিগণ খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের সময়ে পৃথিবীতে জীবিত থাকবে, এবং যারা এক মুহূর্তে চক্ষুর এক পলকে, শেষ তূরীধ্বনীতে রূপান্তরিত হবে, এলিয় ছিলেন তাদের একজন, যারা মৃত্যুর আস্বাদ পাবে না। ১ করিন্থীয় ১৫:৫১, ৫২। এলিয় হবেন রূপান্তরিত প্রতিনিধিদের মধ্যে একজন যিনি খ্রীষ্টের পার্থিব সেবাকাজের শেষ ভাগে, রূপান্তরের পর্বতে মোশির সাথে ত্রাণকর্তার পাশে দাঁড়াবেন। এই গৌরবান্বিত ব্যক্তিদের মাঝে, শিষ্যগণ এই স্বল্পকালীন চিত্রের মধ্যে মুক্তিপ্রাপ্তগণের রাজ্যের একটি নমুনা দেখতে পেয়েছিলেন। তারা যীশুকে স্বর্গীয় বসন পরিহিত দেখতে পেলেন; তারা “মেঘ হতে বাণী” শুনতে পেলেন (লূক ৯:৩৫), তাঁকে ঈশ্ব-পুত্র বলে চিনতে পারলেন; তারা মোশিকে দেখলেন, তিনি সেই লোকদের প্রতিনিধি, যারা দ্বিতীয় আগমনের সময়ে মৃতগণের মধ্য হতে উঠবে; আর সেখানে এলিয় দাঁড়ালেন, তিনি তাদের প্রতিনিধি পৃথিবীর অন্তি ম ইতিহাসে, মরণত্ব হতে অমরত্বে পরিবর্তীত হবে এবং তারা মৃত্যু না দেখে স্বর্গে প্রবেশ করবে। মরুভূমির মধ্যে, একাকিত্ব এবং নিরুৎসাহের মধ্যে এলিয় বলেছিলেন যে, তিনি জীবনে অনেক কিছু পেয়েছিলেন আর তিনি প্রার্থনা করলেন যেন তিনি মরতে পারেন। কিন্তু ঈশ্বর তাঁর অনুগ্রহে, তার কথা মত তাকে তুলে নেননি। এলিয়ের জন্য সেখানে একটি মহৎ কাজ ছিল; এবং যখন তার কাজ সমাপ্ত হল, তিনি নিরুৎসাহ এবং একাকিত্বে ধ্বংস হননি। কবরে নিম্নগমন তার জন্য নয়; তিনি ঈশ্বরের দূতগণের সাথে তাঁর প্রতাপের সান্নিধ্যে উর্দ্ধগমন করলেন । PKBeng 188.2

“আর ইলীশায় তাহা দেখিলেন, এবং উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, হে আমার পিতা, হে আমার পিতা, হে ইস্রায়েলের রথ সমূহ ও তাহার অশ্বারোহীগণ।’ পরে তিনি তাহাকে আর দেখিতে পাইলেন না; তখন আপন বস্ত্র ছিঁড়িয়া দুই খানা করিলেন। আর তিনি এলিয়ের গাত্র হইতে পতিত শালখানা তুলিয়া লইলেন; এবং ফিরিয়া গিয়া যদ্দনের ধারে দাঁড়াইলেন। পরে তিনি এলিয়ের গাত্র হইতে পতিত সেই শালখানি দ্বারা জলে আঘাত করিয়া বলিলেন, ‘এলিয়ের ঈশ্বর সদাপ্রভু কোথায়?’ আর তিনিও জলে আঘাত করিলে জল দুইধারে বিভক্ত হইল, এবং ইলীশায় পার হইয়া গেলেন। তখন যিরীহোর শিষ্য ভাববাদিগণ সামনে থাকায় তাহা দেখিয়া বলিল, ‘এলিয়ের আত্মা ইলিশায়ে অধিষ্ঠিত হইয়াছে।’ পরে তাহারা তাহার সঙ্গে দেখা করিয়া তাহার সম্মুখে ভূমিতে প্রণিপাত করিল।” ২ রাজাবলি ২:১২-১৫ ৷ PKBeng 189.1

যখন সদাপ্রভু তাঁর দূরদর্শিতায় তাঁর কার্য হতে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া উপযুক্ত মনে করেন, যাদেরকে তিনি জ্ঞান প্রদান করেছেন, তিনি তাঁর উত্তরসূরীদেরকে সাহায্য করেন এবং শক্তিশালী করেন, যদি তারা সাহায্যের জন্য তাঁর দিকে দৃষ্টিপাত করে এবং তাঁর পথে চলে। এমনকি তারা তাদের পূর্বসূরী অপেক্ষা অধিক জ্ঞানবান হবে; কারণ তারা তাদের অভিজ্ঞতা দ্বারা লাভবান হতে পারে এবং তাদের ভুল হতে শিক্ষা লাভ করতে পারে । PKBeng 189.2

তখন থেকে ইলীশায় এলিয়ের স্থানে অধিষ্ঠিত হলেন। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত ছিলেন, নিজেকে বহু বিষয়ের উপরে বিশ্বস্ত প্রমাণ করার জন্য । PKBeng 189.3