Go to full page →

দায়ূদকে সিক্লগে ফের পাঠানো হয় PPBeng 502

কিন্তু পলেষ্টীয় অধিপতিরা ক্রোধান্বিত ভাবে বলতে লাগলেন, “তুমি তাহাকে ফিরাইয়া পাঠাইয়া দাও; সে তোমার নিরূপিত আপন স্থানে ফিরিয়া যাউক, আমাদের সহিত যুদ্ধে না আইসুক, পাছে সে যুদ্ধে আমাদের বিপক্ষ হয়; কেননা এই সব লোকের মুন্ড ছাড়া আর কিসে সে আপন কর্তাকে প্রসন্ন করিবে? একি সেই দায়ূদ নয়, যাহার বিষয়ে লোকরা নাচিয়া নাচিয়া পরস্পর গাহিত, ‘শৌল বধিলেন সহস্র সহস্র, আর দায়ূদ বধিলেন অযুত অযুত?’ ” তারা বিশ্বাস করতে পারল না যে দায়ূদ তার আপন লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন। যুদ্ধের চুড়ান্ত মুহূর্তে শৌলের সমস্ত সৈন্যের চাইতে তিনিই পলেষ্টীয়দের প্রচুর ক্ষতি করতে পারেন । PPBeng 502.1

আখীশ দায়ূদকে ডেকে বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, তুমি সরল লোক,...কেননা তোমার আসিবার দিন অবধি অদ্য পর্যন্ত আমি তোমার কোন দোষ পাই নাই, তথাচ ভূপালগণ তোমার উপরে তুষ্ট নন। অতএব এখন কুশলে ফিরিয়া যাও, পলেষ্টীয়দের ভূপালগণের দৃষ্টিতে যাহা মন্দ তাহা করিও না।” এই ভাবে দায়ূদ যে জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন তা ছিড়ে ফেলা হল । PPBeng 502.2

তিন দিন ভ্রমণের পর দায়ূদ ও তার ছয়শ’ সাক্ষীরা প্যালেষ্টাইনে তাদের বাটী সিব্লগে উপস্থিত হলেন। কিন্তু তাদের নজরে এল এক ধ্বংসের দৃশ্য। তাদের রাজ্য আক্রমণের জন্য অমালেকীয়েরা প্রতিশোধ নিয়েছে; যখন শহর অরক্ষিত ছিল তখন তারা আকস্মিক আক্রমণ চালিয়ে শহরটি লুট করেছে ও পুড়িয়ে দিয়েছে; আর সকল শিশুদের ও স্ত্রীলোকদের ধরে নিয়ে গিয়েছে। PPBeng 502.3

ভয়ে ও বিস্ময়ে হতবাক্ হয়ে দায়ূদ ও তার লোকেরা এই ধ্বংস যজ্ঞের দিকে তাকিয়ে রইলেন। পরে এই ধ্বংসাত্মক অবস্থার পূর্ণ অনুভূতি যখন তাদের মধ্যে ফিরে এল, তখন এই যুদ্ধে ভীত যোদ্ধারা “উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিতে লাগিলেন, শেষে কাঁদিতে তাহাদের আর শক্তি রহিল না ।” PPBeng 502.4

বিশ্বাসের যে দুর্বলতার জন্য দায়ূদ ঈশ্বর ও তাঁর লোকদের শত্রুদের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তার জন্য এখানে আবারও তিনি তিরস্কৃত হলেন। অমালেকীয়দের আক্রমণ করে দায়ূদ তাদের ক্রোধের সঞ্চার করেছিলেন। তথাপি শত্রুদের মধ্যে থেকেও নিরাপত্তার পূর্ণ আস্থা রেখে তিনি শহরটি অরক্ষিত রেখে চলে গিয়েছিলেন। দুঃখে ও ক্রোধে উন্মাদ হয়ে সৈন্যরা তাদের নেতাকে পাথর মারতে উদ্যত হল। PPBeng 502.5