Go to full page →

যাকোব তার পূর্বের বেথেলের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন PPBeng 138

বেথেলে তার প্রথম আগমন ও কি ভাবে রাতে স্বপ্নের মধ্যে ঈশ্বর তার কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন, সে সব কাহিনী গভীর আবেগের সহিত যাকোব পুনরাবৃত্তি করলেন। তার নিজের হৃদয় নরম হয়ে আসল; তার সন্তানেরাও এক পরাভুতকারী শক্তির স্পর্শ অনুভব করল। বেথেলে উপস্থিত হয়ে ঈশ্বরের প্রার্থনায় যোগ দেবার জন্য একটি কার্য্যকর পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি তাদের প্রস্তুত করলেন। “তাহাতে তাহারা নিজেদের হস্তগত ইতর দেবতা ও কর্ণকুন্ডল সকল যাকোবকে দিল, এবং তিনি ঐ সকল শিখিমের নিকটবর্তী এলা বৃক্ষের তলে পুঁতিয়া রাখিলেন।” PPBeng 138.3

ঈশ্বর ঐ দেশের অধিবাসীদের মনে এক ভয় ঢুকিয়ে দিলেন, তাতে তারা শিখিমের হত্যার কোন প্রতিশোধই নেবার চেষ্টা নিল না। ভ্রমণকারীরা অক্ষত অবস্থায় বেথেল পৌঁছালেন। আবার এখানে ঈশ্বর যাকোবের সামনে উপস্থিত হয়ে তার সহিত তার চুক্তিকৃত প্রতিজ্ঞা নবায়ন করলেন। PPBeng 138.4

বেথেল হতে হিব্রোনের দূরত্ব ছিল মাত্র দু'দিনের পথ, কিন্তু রাহেলের মৃত্যুতে যাকোব অত্যন্ত দুঃখ পেলেন। তার জন্য তাকে দু'বার সাত বসর করে চৌদ্দ বসর শ্রম দিতে হয়েছিল । ঐ প্রেম অনেক গভীর ও স্থায়ী ছিল। PPBeng 138.5

মৃত্যুর পূর্বে রাহেল তার দ্বিতীয় ছেলের জন্ম দিয়েছিল। তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় সে ছেলেটির নাম রেখেছিল বিনোনী, “আমার কষ্টের পুত্র” । কিন্তু তার পিতা তার নাম দিলেন বিন্যামীন, “দক্ষিণ হস্তের পুত্র” অথবা “আমার শক্তি” । PPBeng 139.1

অবশেষে যাকোব তার যাত্রা শেষ করলেন। “হিব্রোনের নিকটবর্তী মমি নামক যে স্থানে...ইস্হাক প্রবাস করিয়াছিলেন, সেই স্থানে যাকোব আপন পিতা ইস্হাকের নিকটে পৌঁছিলেন।” এখানে তিনি পিতার শেষ দিনগুলিতে তার সাথে থাকলেন। তার দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত ছেলের যত্ন ও মনোযোগ অচল ও অন্ধ ইস্হাকের একাকীত্ব ও বিরহকে কিছুটা লাঘব করল । PPBeng 139.2

তাদের পিতার মৃত্যু শয্যায় যাকোব ও এষৌ পরস্পর সাক্ষাৎ করলেন। বড় ভাইয়ের মনোভাব অনেক পরিবর্তীত হয়ে গিয়েছিল। যাকোব জ্যেষ্ঠাধিকারের স্বর্গীয় আশীর্বাদেই তৃপ্ত ছিলেন, এবং এষৌ একমাত্র যে উত্তরাধিকারকে চাইত ও মূল্য দিত তাদের পিতার সমস্ত সম্পত্তি, ইস্হাক বড় ভাইকে দিয়ে দিলেন। আর শত্রু নয়, দুই ভাই একে অন্যের কাছ থেকে বিদায় নিলেন, এবং এষৌ সেয়ীর পর্বতে চলে গেলেন। যাকোব যে সমস্ত উত্তম জিনিস চেয়েছিলেন ঈশ্বর যিনি অনুগ্রহের আঁকর তাকে তা দিলেন এবং উপরন্তু পৃথিবীর ঐশ্বর্য্যও দিয়েছিলেন। ইস্হাকের প্রতি ঈশ্বরের যে লক্ষ্য ছিল সেই লক্ষ্য অনুসারেই দুই ভাই পৃথক হয়ে গেলেন। যেহেতু দুই ভাই ধর্মীয় বিশ্বাসে অনেক পার্থক্য রাখতেন, এই জন্য তাদের পৃথক পৃথক বাস করাই ঠিক ছিল। PPBeng 139.3

এষৌ ও যাকোব উভয়ই ঈশ্বরের আদেশ মেনে চলতে ও তার অনুগ্রহ লাভ করতে পারতেন। কিন্তু দুই ভাই দুই পথে চলেছিলেন এবং তাদের পথ আরো অধিক ভিন্ন মুখী হতে থাকবে । PPBeng 139.4

ঈশ্বর এমন কোন স্বেচ্ছাচারী মনোনয়ন করেন নি যাতে করে এষৌকে পরিত্রাণের আশীর্বাদ হতে দূরে রাখা হয়েছিল। নিজস্ব মনোনয়ন ছাড়া অন্য কোন মনোনয়ন দ্বারা কেউ ধ্বংস হতে যাচ্ছে না। ঈশ্বর তার বাক্যে সেই সকল শর্ত নিরুপণ করে দিয়েছেন যা দ্বারা প্রত্যেক আত্মা সর্বসময়ের জন্য অনন্ত জীবন মনোনীত করতে পারে....আর সে শর্ত হল খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মাধ্যমে তার আজ্ঞাসমূহের প্রতি বাধ্য থাকা । ঈশ্বর তার আজ্ঞার সহিত মিল রেখে একটি চরিত্র মনোনীত করেছেন, আর যে কেহ তার চাহিদার মান পর্য্যন্ত পৌছায় সে সেই মহিমাময় রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। মানুষের শেষ পরিত্রাণ সম্বন্ধেও বলা চলে যে ঈশ্বরের বাক্যের মাধ্যমে ঐটিই হলো একমাত্র মনোনয়ন পদ্ধতি । PPBeng 139.5

প্রত্যেক আত্মাকেই মনোনীত করা হয়েছে যেন সে ধর্ম পরিধান করে বিশ্বাসের যুদ্ধ করবে এবং ভয় ও কম্পনের মাধ্যমে নিজ পরিত্রাণ পাবার জন্য কাজ করবে। তাকে মনোনীত করা হয়েছে যেন সে প্রার্থনা ও ধ্যানে সতর্ক থাকে, ঈশ্বরের বাক্য অনুসন্ধান করে, প্রলোভন হতে দূরে থাকে, সর্বদা বিশ্বাসে স্থির রাখে, এবং সম্পূর্ণ ভাবে ঈশ্বরের মুখনিসৃত বাক্যের প্রতি বাধ্য থাকে। পরিত্রাণের বন্দোবস্ত সকলেই বিনামূল্যে গ্রহণ করতে পারে; কিন্তু এর ফল তারাই ভোগ করবে যারা এর শর্ত মেনে চলেছে। PPBeng 140.1

এষৌ চুক্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুগ্রহকে ঘৃণা করেছে। তার নিজস্ব স্বাধীন ইচ্ছায়ই সে ঈশ্বরের লোক থেকে পৃথক হয়ে পড়ে। যাকোব বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রাপ্ত উত্তরাধিকার মনোনীত করেন। তিনি কৌশল, বিশ্বাস ঘাতকতা ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েও এটা লাভ করতে চেয়েছেন; কিন্তু ঈশ্বর তার পাপ নিজে থেকে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন। যাকোব কখনো তার লক্ষ্য ভ্রষ্ট হন নি অথবা তার মনোনয়ন পরিত্যাগ করেন নি। সেই রাতের কুস্তির পরে যাকোব একজন ভিন্ন ব্যক্তিতে পরিণত হন। আত্ম-বিশ্বাস উপড়ে ফেলা হয়েছিল। তখন হতে তার জীবন চাতুর্য্য ও ছলনার পরিবর্তে সরলতা ও সত্যবাদীতা দ্বারা পরিচালিত ছিল। চরিত্রের নীচ বৃত্তিসমূহ অগ্নি দ্বারা ভষ্মীভূত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়; খাঁটি সোনাকে ততক্ষণ পরিষ্কার করা হতে থাকে যতক্ষণ অব্রাহাম ও ইস্হাকের বিশ্বাস যাকোবের মধ্যেও পূর্ণরূপে উজ্জ্বল হয়ে উঠে। PPBeng 140.2

যাকোবের পাপ এবং এর পরবর্তী ঘটনা চক্রের তিক্ত ফল তার ছেলেদের চরিত্রে প্রকাশ পায়। সন্তানদের মধ্যে প্রচুর ত্রুটি দেখা দেয়। বহু বিবাহের ফল গৃহে বিদ্যমান ছিল । এই ভয়ংকর মন্দ জিনিসটি প্রেমের উনুইকে শুষ্ক করে ফেলে, আর এর প্রভাব সবচেয়ে পবিত্র বন্ধনকে দুর্বল করে দেয়। মায়েদের পারস্পরিক হিংসা পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি করেছিল; আর সন্তানেরা কলহপ্রিয় ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণে অধৈর্য্য হয়ে উঠেছিল। আর পিতার জীবন দুশ্চিন্তা ও দুঃখ দ্বারা অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল । PPBeng 140.3

কিন্তু সন্তানদের মধ্যে একজন ছিল যার চরিত্র অন্য সকলের চরিত্র থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন, সে ছিল রাহেলের বড় ছেলে, যোষেফ, যার ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য্য তার অভ্যন্তরীণ মনের ও দিনের সৌন্দর্য্যের প্রতিফলন ছিল। পবিত্র, কর্মঠ, এবং আনন্দিত ছেলেটি নৈতিক একাগ্রতা ও দৃঢ়তার প্রমাণ দিত। সে তার পিতার উপদেশ শুনত এবং ঈশ্বরের বাধ্য থাকতে ভালবাসত । পরবর্তীকালে মিসরে যে সকল চারিত্রিক গুণ তাকে সম্মানিত করেছিল- নম্রতা, বাধ্যতা ও সত্যবাদীতা- তার সবই প্রথম থেকেই তার চরিত্রে প্রকাশ পাচ্ছিল। যেহেতু তার মা মারা গিয়েছিলেন তাই তার আকর্ষণ তার পিতার প্রতি অত্যধিক ছিল । তার বৃদ্ধ বয়সের এই সন্তানের প্রতি যাকোবের ভালবাসা প্রবল ছিল। তিনি “সকল পুত্র অপেক্ষা তাহাকে অধিক ভালবাসিতেন । PPBeng 140.4

কিন্তু তার স্নেহ সমস্যা ও দুঃখের কারণ হল। যাকোব নির্বোধের মত যোষেফের প্রতি অধিক স্নেহ প্রকাশ করতেন, ফলে অন্যান্য ছেলেদের মনে ঈর্ষা সৃষ্টি হল। যোষেফ খুব শান্ত ভাবে তাদের সহিত প্রতিবাদ করতে চেষ্টা করতেন কিন্তু তাতে তাদের ঘৃণা ও মনোকষ্ট আরও প্রবল হত। তিনি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তাদের পাপের কাজ সহ্য করতে পারতেন না, তাই তার পিতার নিকট তুলে ধরতেন। PPBeng 141.1

গভীর আবেগের সহিত যাকোব তাদের অনুযোগ করতেন যেন তারা তার দুর্ণামের কারণ না হয়, আর সর্বোপরি ঈশ্বরের ব্যবস্থার অবমাননা করে তার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন না করে । তাদের দুষ্টামী ধরা পড়ায় তারা অপমানিত বোধ করত আর মনে হত যেন যুবকেরা অনুতপ্ত হয়েছে, কিন্তু আসলে তারা তাদের অনুভূতি গোপন করত যা ধরা পড়ার ফলে আরো তিক্ত হয়ে উঠত PPBeng 141.2

যোষেফকে দেয়া তার পিতার একটি খুব দামী কোট, যা সাধারণতঃ সম্মানিত ব্যক্তিরা পরতেন, তাদের মনে সন্দেহ জাগাল যে তিনি তাদের বড় সন্তানদের বাদ দিয়ে রাহেলের ছেলে যোষেফকেই জ্যেষ্ঠাধিকার দান করবেন । PPBeng 141.3

একদিন ছেলেটি তাদের সে যে একটি স্বপ্ন দেখেছিল তার বর্ণনা দিল । “দেখ, আমরা ক্ষেত্রে আঁটি বাঁধিতেছিলাম, আর দেখ, আমার আঁটি উঠিয়া দাঁড়াইয়া রহিল, এবং দেখ, তোমাদের আঁটি সকল আমার আঁটিকে চারিদিকে ঘেরিয়া তাহার কাছে প্রণিপাত করিল ।” PPBeng 141.4

তার ভাইয়েরা চিৎকার করে বলল, “তুই কি বাস্তবিক আমাদের রাজা হইবি? আমাদের উপরে বাস্তবিক কর্তৃত্ব করিবি?” PPBeng 141.5

তার অল্প পরেই সে আর একটি স্বপ্ন দেখল এবং তাও তাদের বলল: “দেখ, সূর্য্য, চন্দ্র ও একাদশ নক্ষত্র আমাকে প্রণিপাত করিল । তার পিতা তখন উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি তিরস্কারের সুরে বললেন, “আমি, তোমার মাতা ও তোমার ভ্রাতৃগণ, আমরা কি বাস্তবিক তোমার কাছে ভূমিতে প্রণিপাত করিতে আসিব?” যদিও আপাত ভাবে তিনি কঠোর স্বরে কথা বললেন, তথাপি যাকোব বিশ্বাস করলেন যে সদাপ্রভু যোষেফকে ভবিষ্য দেখাচ্ছেন । PPBeng 142.1

ছেলেটি যখন তার ভাইদের সামনে দাঁড়িয়েছিল, তখন তার চেহারা প্রেরণার আত্মার ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। তারা তার প্রশংসা না করে থাকতে পারল না, কিন্তু তার যে পবিত্রতা তাদের পাপকে তিরস্কার করত, তারা তা ঘৃণা করত । PPBeng 142.2

পশুপালের চরাণী ভূমির জন্য ভাইদের এক স্থান হতে অন্য স্থানে যেতে হত। যে ঘটনা বর্ণনা করা হল তার অব্যবহিত পরেই তারা শিখিমে গেল বেশ কিছুদিন পর্য্যন্ত কোন সংবাদ না পেয়ে পিতা তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলেন কেননা তারা অতীতে শিখিমীয়দের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করেছিল। সুতরাং তাদের খোঁজার জন্য তিনি যোষেফকে পাঠাইলেন। যদি যাকোব যোষেফের প্রতি তার অন্যান্য ছেলেদের মনোভাব সম্বন্ধে অবহিত থাকতেন তবে তিনি তাকে একাকী তাদের কাছে পাঠাতেন না । PPBeng 142.3

আনন্দিত চিত্তে যোষেফ পিতার নিকট হতে বিদায় নিলেন, কিন্তু তাদের পুনরায় সাক্ষাৎ হওয়ার পূর্বে কি ঘটবে তা বৃদ্ধ অথবা যুবক কেহই স্বপ্নেও ভাবতে পারলেন না। যখন যোষেফ শিখিমে পৌঁছালেন তখন তার ভাইয়েরা বা তাদের পশুপাল কিছুই সেখানে ছিল না। তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করার ফলে তাকে দোথনে যাওয়ার নির্দেশ মিল। পিতার দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য নিজের ক্লান্তি ভুলে গিয়ে সে যে ভাইদের ভালবাসত তাদের সন্ধানে দ্রুত চলল । PPBeng 142.4

তার ভাইয়েরা তাকে আসতে দেখল; কিন্তু কত দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে সে তাদের সহিত দেখা করতে এসেছে, বা তার ক্লান্তি ও ক্ষুধা অথবা তাদের আতিথ্য ও ভ্রাতৃপ্রেমের প্রতি তার দাবী এর কোন কিছুই তার প্রতি তাদের তিক্ততার অবসান করতে সক্ষম হল না। তার প্রতি তাদের পিতার স্নেহের প্রতীক কোটটি দেখে তারা ক্রোধে জ্বলে উঠল। “ঐ দেখ, স্বপ্নদর্শক মহাশয় আসিতেছেন।” প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ স্পৃহা তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করছিল। তারা বলাবলি করল, “এখন আইস আমরা উহাকে বধ করিয়া একটা গর্তে ফেলিয়া দিই; পরে বলিব, কোন হিংস্র জন্তু তাহাকে খাইয়া ফেলিয়াছে; তাহাতে দেখিব, উহার স্বপ্নের কি হয়।” PPBeng 142.5

কিন্তু রূবেণ আপন ভাইকে হত্যা করা হতে বিরত থাকতে চাইল এবং প্রস্তাব করল যে যোষেফকে জীবন্ত একটি গর্তে ফেলে দেয়া হোক যাতে সেখানে মরে যায়; এই ভাবে সে মনে করেছিল যে গোপনে তাকে উদ্ধার করে তাদের পিতার কাছে পাঠিয়ে দেবে। সকলকে তার পরিকল্পনার সহিত মতৈক্যে পৌছাতে রাজী করানোর পর রূবেণ এই ভেবে স্থান ত্যাগ করল যে হয়ত তার আসল উদ্দেশ্য ওরা আবিষ্কার করে ফেলবে। PPBeng 143.1

বিপদের কোন সম্ভাবনার কোন সন্দেহ না করে যোষেফ আসলেন। কিন্তু স্বাভাবিক শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরিবর্তে যখন সে ক্রুদ্ধ ও প্রতিশোধমূলক আচরণ লক্ষ্য করল তখন সে ভীত হয়ে পড়ল। তাকে ধরে তার কোট খুলে ফেলা হল, ভীতি প্রদর্শন ও বিদ্রূপাত্মক কথা বার্তায় একটি মারাত্মক উদ্দেশ্য প্রকাশিত হয়ে পড়ল। তার আকুল অনুরোধ উপেক্ষিত হল। ঐ ক্রোধান্ধ ব্যক্তিরা তাকে টেনে-হিচড়ে একটি গর্তের কাছে নিয়ে এল এবং ঐখানে মৃত্যুবরণ করার জন্য তাকে ঐ গর্তে ফেলে দিল । PPBeng 143.2