যখন প্রশাসক তাদের সঙ্গে আবার সাক্ষা করলেন তখন তারা তাকে উপহার দিলেন এবং সসম্মানে “তাঁহার সাক্ষাতে প্রণিপাত করিলেন।” আবার তার মনে তার স্বপ্নের কথা উদয় হল, এবং তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের যে বৃদ্ধ পিতার কথা বলিয়াছিলে, তিনি ভাল আছেন তো? তিনি কি এখনও জীবিত আছেন?” উত্তর হল, “আপনার দাস, আমাদের পিতা কুশলে আছে,” এবং তারা আবারও প্রণিপাত করলেন। তখন তার চোখ বিন্যামীনের উপর পড়ল, এবং তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের যে ছোট ভাইয়ের কথা আমাকে বলিয়াছিলে, সে কি এই?...“বস, ঈশ্বর তোমার প্রতি অনুগ্রহ করুন। ” আর আবেগে আপ্লুত হয়ে তিনি আর কিছুই বলতে পারলেন না। “আর আপন কুঠরীতে প্রবেশ করিয়া সেখানে রোদন করিলেন।” PPBeng 157.1
নিজকে সম্বরণ করার পর, তিনি ফিরে এলেন। জাতীভেদ প্রথার নিয়ম অনুসারে মিস্ত্রীয়রা অন্য কোন কোন জাতীর সাথে একত্রে খেতে পারত না। অতএব, যাকোবের ছেলেরা পৃথক খেতে বসলেন, আর প্রশাসক তার উঁচু পদের জন্য একাকী পৃথক বসলেন। অন্যান্য মিস্ত্রীয়রা আর এক টেবিলে বসলেন । যখন সকলকে বসানো হলো তখন ভাইয়েরা অবাক্ হয়ে দেখলেন যে তাদের বয়স অনুসারে সঠিক ভাবে বসানো হয়েছে। যোষেফ “নিজের সম্মুখ হইতে খাদ্য তুলিয়া তাঁহাদিগকে পরিবেশন করাইলেন,” কিন্তু বিন্যামীনকে তাদের চেয়ে পাঁচগুণ অধিক পরিবেশন করালেন। তার প্রতি যে ঈর্ষা ও ঘৃণা প্রকাশ করা হত তা বিন্যামীনের প্রতি করা হয় কিনা তা তিনি যাচাই করতে চাইলেন। তখনও মনে এ ধারণা রেখে যে যোষেফ তাদের ভাষা বুঝেন না, তারা নির্দ্বিধায় নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করলেন; তাতে যোষেফের মনোভাব বোঝার সুযোগ হল। তবুও তিনি তাদের আরো পরীক্ষা করতে চাইলেন। তাদের বিদায় যাত্রা শুরু করার আগে তিনি আদেশ দিলেন যে তার রূপার পানপাত্রটি সবচেয়ে ছোট জনের বস্তায় গোপনে দিয়ে দেয়া হয় । PPBeng 157.2