Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents

মণ্ডলীর জন্য উপদেশ

 - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First

    সন্তান-সন্ততিগণের সংখ্যা সম্বন্ধে উপদেশ

    সন্তানেরা সদাপ্রভুদত্ত অধিকার, এবং আমরা তাঁহার সম্পত্তি রক্ষার বিষয়ে দায়ী । “এই দেখ, আমি ও সেই সন্তানগণ, যাহাদিগকে সদাপ্রভু আমাকে দিয়াছেন,” এই কথা আনন্দ সহকারে বলিতে বলিতে যে পর্য্যন্ত না তাঁহারা ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হন, তাবৎ প্রেমে, বিশ্বাসে ও প্রার্থনা সহকারে মাতাপিতা তাঁহাদের গৃহ-কার্য্য সম্পন্ন করিতে থাকুন ।CCh 390.2

    মাতা ও পিতা বুদ্ধি ও বিবেক অনুযায়ী কার্য্য করিবেন ও তাঁহারা এমন ভাবে জীবন যাপন করিবেন, যেন প্রত্যেকটী শিশু সুশিক্ষিত হইতে পারে, এবং মাতা যেন তাঁহার ক্ষুদ্র শিশুগণকে দূতগণের সঙ্গলাভে সুনিয়ন্ত্রিত করিবার নিমিত্ত তাঁহার মানসিক শক্তি নিয়োজিত করিতে সময় ও বল প্রাপ্ত হন, ইহাই ঈশ্বরের ইচ্ছা । তাঁহার সন্তানগণ যেন পরিবারের ও সমাজের আশীর্ব্বাদ স্বরূপ হইতে পারে, তজজন্য ঈশ্বর-ভয়ে ও তাঁহার প্রেমে স্বীয় দায়িত্ব ও কর্ত্তব্য সুচারুরূপে সম্পন্ন করিবার নিমিত্ত মাতার সাহসের প্রয়োজন ।CCh 391.1

    স্বামী ও পিতার এই সকল বিষয় বিবেচনা করিয়া দেখা কর্ত্তব্য, নতুবা স্ত্রী ও তাঁহার সন্তানগণের মাতা অতিরিক্ত কার্য্য-ভারে ভারাক্রান্তা হইয়া নৈরাশ্যে অতিভূতা হইয়া পড়িবেন । যে অবস্থায় পতিত হইলে তাঁহার বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র শিশুর সুশিক্ষায় ন্যায়তঃ ব্যাঘাত ঘটে, তাঁহার সন্তানগণের মাতা যেন সেই অবস্থায় পতিত না হন, স্বামীর তৎপ্রতি দৃষ্টি রাখা কর্ত্তব্য ।CCh 391.2

    বহু মাতাপিতা আছেন, যাঁহারা বৃহৎ পরিবারের প্রতি ন্যায় বিচার রক্ষা করিতে পারিবেন কিনা, ইহা বিবেচনা না করিয়া এমন সকল নিঃসহায় ক্ষুদ্র শিশু দ্বারা তাঁহাদের গৃহগুলি পূর্ণ করেন, যাহাদের লালন-পালন ও শিক্ষাদীক্ষার জন্য সম্পূর্ণরূপে মাতাপিতার উপরেই নির্ভর করিতে হয় । ইহা কেবল মাতার প্রতি নহে, কিন্তু তাঁহার সন্তানগণের ও সমাজের প্রতি এক ভীষণ অন্যায় কার্য্য।CCh 391.3

    বৎসরের পর বৎসর মাতার কোলে শিশু থাকিবে, ইহা তাঁহার প্রতি এক মহা অন্যায় বিচার । ইহার ফলে সামাজিক আমোদ-আহলাদ হ্রাস পায় এবং কখন-কখন ইহা একেবারেই বিলুপ্ত হইয়া পারিবারিক দুঃখ-দুর্দ্দশা বাড়াইয়া তুলে । যে লালন-পালন, শিক্ষাদীক্ষা ও সুখ স্বাচ্ছন্দ্য সন্তানগণকে দান করা মাতাপিতার অবশ্য কর্ত্তব্য বলিয়া বিবেচিত হওয়া কর্ত্তব্য, ইহা তাহাদিগকে সেই সকল হইতে বঞ্চিত করে । সন্তানগণের ভরণপোষণের কি বন্দোবস্ত করা যাইবে, মাতাপিতাগণের তাহা ধীরভাবে বিবেচনা করিয়া দেখা কর্ত্তব্য । অন্যের ভার স্বরূপ হইবার জন্য জগতে সন্তানাদি আনয়ন করিবার অধিকার তাঁহাদের নাই ।CCh 391.4

    শিশুর অদৃষ্ট সম্বন্ধে কতই না অল্প বিবেচনা করা হইয়া থাকে । ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তির জন্যই কেবল চিন্তা করা হইয়া থাকে, আর ইহাতে স্ত্রী ও মাতার উপরে এরূপ গুরুভার আনীত হয় যে, তদ্দ্বারা তাঁহার জীবনীশক্তি হ্রাস পায় ও আধ্যাত্মিক শক্তি ক্ষীণ হইয়া যায় । ভগ্ন স্বাস্থ্যে ও হতাশ প্রাণে তিনি এরূপ ক্ষুদ্র দলে পরিবেষ্টিত হইয়া পড়েন, যাহাদিগের তিনি উপযুক্ত যত্ন লইতে পারেন না । যে সকল উপদেশ তাহাদের প্রাপ্ত হওয়া কর্ত্তব্য, তাহা প্রাপ্ত না হওয়ায় তাহারা ঈশ্বরের অবমাননাকারী হইয়া উঠে এবং তাহাদের নিজেদের চরিত্রের ভ্রষ্টতা তাহারা অন্যের মধ্যে সংক্রমিত করে, আর এইরূপে এমন এক সৈন্য-দল গঠিত হয়, যাহাদিগকে শয়তান তাহার ইচ্ছা মত ব্যবহার করে ।6AH 159-164.CCh 392.1