Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents

মণ্ডলীর জন্য উপদেশ

 - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First

    বিস্মৃত দর্শন

    ১৮৯০ খৃষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে নিউ ইয়র্কের সালামান্ কা নামক স্থানে কতিপয় সভা হইতেছিল; ঐ সভায় বৃহৎ জনতার নিকট উপদেশ দিতে দিতে মিসেস্ হোয়াইট্ অতিশয় দুর্ব্বল হইয়া পড়েন, কারন ঐ সহরে আসিবার সময় তাঁহার ভয়ানক ঠাণ্ডা লাগে। তাহাতে এক দিন কোন একটি সভার পরে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ ও নিরাশ হইয়া নিজের কক্ষে ফিরিয়া আসিয়া আপন আত্মাকে ঈশ্বরের হস্তে ঢালিয়া দিবার বিষয় চিন্তা করিতে এবং স্বাস্থ্য ও বল লাবের জন্য ঈশ্বরের অনুগ্রহ ভিক্ষা করিতে থাকেন। চেয়ারের পার্শ্বে নতজানু হইবার পর কি ঘটিয়াছিল, তাহা তিনি নিজের কথায় বর্ণনা করেন- “মৃদু রজত দিপ্তিতে সমুদয় কক্ষটি যখন পূর্ণ বলিয়া মনে হইতেছিল, তখন আমি একটি শব্দও উচ্চারণ করি নাই। আর এই সময় আমার হতাশার ও নৈরাশ্যর ব্যথাও চালিয়া যায়। আমি সান্ত্বনায় ও আশায় পরিপূর্ণ হই- খ্রীষ্টের শান্তি পূর্ণরূপে লাভ করি।”CCh 51.1

    তৎপর তাঁহাকে একটি দর্শন দেওয়া হয়। দর্শনের পর, তিনি আর নিদ্রা যাইতে, অথবা বিশ্রাম করিতে ইচ্ছা করিলেন না। কারন তিনি সুস্থ হইয়াছিলেন এবং বিশ্রাম উপভোগ করিয়াছিলেন।CCh 51.2

    প্রাতঃকালে একটি যে স্থানে হইবে, তিনি কি সেই স্থানে যাইতে পারিবেন, অথবা ব্যাটেল ক্রিকে তাহার যে বাড়ী আছে, সেই স্থানে যাইতে হইবে? ভার-প্রাপ্ত কায্যকারী এল্ডার এ, টি, রবিন্সন্ এবং মিসেস্ হোয়াইটের পুত্র এল্ডার উইলিয়াম হোয়াইট্, মিসেস্ হোয়াইটের নিকট হইতে এই বিষয়ের উত্তর আনিবার জন্য তাঁহার কক্ষে গমন করিয়া দেখিলেন, তিনি সুস্থ হইয়া পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া সভাই যাইবার জন্য প্রস্তুত হইয়া বসিয়া আছেন। তিনি তাঁহার সুস্থতার বিষয় এবং ঐ দর্শনের বিষয় তাঁহাদিগকে জানাইলেন। তিনি কহিলেন, “গতরাত্রে আমার নিকটে যাহা প্রকাশিত হইয়াছিল, আমি তাহা তমাদিগকে জানাইতে চাই। দর্শনে আমার মনে হইতেছিল, আমি যেন ব্যাটেল ক্রিকে গিয়াছি, আর বার্ত্তাবাহক দূত আমাকে কহিলেন, “আমার পশ্চাতে আইস।” ইহার পর তিনি ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন, কারণ দর্শনটি তিনি আর স্মরণে আনিতে পারিলেন না। ইহা বলিবার জন্য দুইবার তিনি চেষ্টা করিলেন, কিন্তু দর্শনে কি দেখান হইয়াছে, তাহা তিনি স্মরণেই আনিতে পারিলেন না। তাঁহাকে কি দেখান হইছিল, তাহা তিনি কিছু দিন পরে লিখিয়া ছিলেন। ধর্ম্মে স্বাধীনতা বলিয়া আমাদের একটি পত্রিকা বাহির হইত, তৎকালে এই পত্রিকার নাম দেওয়া হইয়াছল, “দি আমেরিকান সেন্টিলেন” (The American Sentinel)। এই পত্রিকার পরিকল্পনা সম্বন্ধেই উক্ত দর্শনটি দেওয়া হইয়াছিল।CCh 51.3

    “রাত্রিকালে, আমি কয়েকটী পরামর্শ সভায় উপস্থিত থাকিয়া প্রাভাবশালী লোকদের বারংবার এই কথা বলিতে শুনিলাম যে, আমেরিকান সেন্টিনেল নাম পত্রিকার প্ঙতি যদি ” সেভেন্থ — ডে- এ্যাডভেন্টিষ্ট” শব্দ কয়েকটী তুলিয়া দেওয়া হয় এবং বিশ্রামবার সম্বন্ধে যদি কিছুই না বলা হয়, তাহা হইলে জগতের প্রখ্যাতনামা ব্যক্তিগণ উহার পরিপোষক হইবেন, আর ঐ পত্রিকাটী জনপ্রিয় হইয়া বৃহত্তর কার্য্য সাধন করিতে পারিবে। ইহা আপাততঃ অতিশয় প্রীতিকর বলিয়া মনে হইতেছিল।”CCh 52.1

    “আমি তাহাদের মুখমণ্ডল উজজ্বল দেখিলাম; তাঁহারা ঐ সেন্টিনেল পত্রিকাটীকে জনপ্রিয় করিবার জন্য নিয়মাবলী প্রস্তুত করিতে রত হইল। সমস্ত ব্যাপার এমন লোকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইয়াছিল, যাহাদের মনের ও আত্মার নিভৃত কক্ষে সত্যের প্রয়োজন ছিল।” ইহা সুস্পষ্ট যে, তিনি কতিপয় লোককে এই পত্রিকার সম্পাদকীয় নিয়মাদি সম্মন্ধে আলোচনা করিতে দেখিয়াছিলেন। ১৮৯১ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসের জেনারেল কনফারেন্সে প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় কার্য্যকারিগণের নিকট উপদেশ দিবার নিমিত্ত মিসেস্ হোয়াইট্কে আনুরোধ করা হয়। বিশ্রামবার অপরাহ্ণে তিনি শাস্ত্রের এই পদ লইয়া উপদেশ দেনঃ- “তমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজজ্বল হউক, যেন তাঁহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।” সমুদয় উপদেশই তিনি সেভেন্থ-ডে-এ্যাডভেন্টিষ্টগণকে তাহাদের বিশ্বাসের বিশেষ লক্ষণগুলি ধরিয়া থাকিতে আনুরোধ করিয়াছেন। তিনি সালামন্কায় যে দর্শন পাইয়াছিলেন, এই সভায় সেই দর্শনটী বলিবার জন্য তিন বার চেষ্টা করেন, কিন্তু প্রত্যেক বারেই তিনি বাধাপ্রাপ্ত হন। কারণ দর্শনের ঘটনাগুলি তিনি ভুলিয়া যান। অবশেষে তিনি বলেন, “পরে আমি আরও বলিব।” তিনি প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুরাইয়া ফিরাইয়া উপদেশ দেন, পরে সুন্দর ভাবে উহা শেষ করিয়া সভা ভঙ্গ করেন। তিনি দর্শনটী স্মরণে আনিতে পারিলেন না, ইহা সভাস্থ সকলেই লক্ষ্য করিয়াছিলেন।CCh 52.2

    জেনারেল কনফারেন্সর প্রেসিডেন্ট যখন তাঁহার নিকট্ আসিয়া জিজ্ঞসা করেন যে, সকালবেলার সভাটী তিনি চালাইবেন কি না, তখন তিনি উত্তর দিলেন, “না, আমি ক্লান্ত আছি, আমি আমার সাক্ষ্য দিয়াছি। ভোরের সভার জন্য আপনাকে অবশ্যই অন্য বন্দোবস্ত করিতে হইবে।” তদনুযায়ী অন্য বন্দোবস্ত করা হইল।CCh 53.1

    মিসেস্ হোয়াইট্ গৃহে প্রত্যাবর্তন করিয়া স্বীয় পরিজনবর্গকে কহিলেন যে, প্রাতঃকালের সভাতে তিনি যোগদান করিবেন না। কারণ তিনি অত্যন্ত ক্লান্ত, আর এজন্য তিনি পূর্ণ বিশ্রাম উপভোগ করিবেন। রবিবার প্রভাত পর্যন্ত তিনি নিদ্রা যাইবেন, এইরূপ বন্দোবস্ত করা হইল।CCh 53.2

    ঐ রাত্রে, কনফারেন্স বৈঠক শেষ হইবার পরে, রিভিউ এন্ড হেরাল্ড গৃহের কোন এক অফিসে ক্ষুদ্র একদল লোক সভার জন্য সমবেত হইলেন। আমেরিকান সেন্টিনেল (American Sentinel) পত্রিকা যাঁহারা প্রকাশ করিতেন, পাব্লিশিং হউসের সেই প্রতিনিধিগণ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং ইহাদের সহিত রিলিজিয়স্ লিবার্টি এসোসিয়েশনর প্রতিনিধিগণও উপস্থিত ছিলেন। তাঁহারা একটী বিরক্তিকর প্রশ্নের- আমেরিকান সেন্টিনেল পত্রিকার সম্পাদকীয় নিয়মপ্রণালীর বিষয় আলোচনা করিবার জন্য সমবেত হইয়াছিলেন। এই সময় দরজায় তালা বন্ধ ছিল, তাঁহারা সকলে একমত হইয়া বলিলেন যে, যে পর্যন্ত না প্রশ্নটীর সুমীমাংসা হয়, তাবৎ তাঁহারা দরজার তালা খুলিবেন না।CCh 53.3

    রবিবার ভোর ৩টার কিছু পুর্ব্বে সভাটী অচল অবস্থায় ভঙ্গ হয়। রিলিজিয়স্ লিবার্টির (Religious Liberty) লোকেরা এই সুনিশ্চত বাক্য বলেন যে, প্যাসেফিক্ প্রেস্ যদি তাঁহাদের দাবীতে সম্মত না হন এবং “সেভেন্থ- ডে- এ্যাডভেন্টিষ্ট” ও “শাব্বাথ” শব্দ উক্ত পত্রিকার পঙতি হইতে তুলিয়া না দেন, তবে তাঁহারা রিলিজিয়স্ লিবার্টি এসোসিয়েশনের পত্রিকা বলিয়া উহা আর ব্যাবহার করিবেন না। ইহার অর্থ হইল,- ঐ পত্রিকা খানিকে একেবারে মারিয়া ফেলা। পরে তাঁহারা দরজার তালা খুলিয়া আপন আপন কক্ষে গিয়া নিদ্রাভিভূত হইলেন।CCh 54.1

    কিন্তু পরমেশ্বর যিনি কখনও তন্দ্রা কিংবা নিদ্রা জান না, তিনি রাত্র ৩ টার সময়ে এলেন হোয়াইটের কক্ষে তাঁহার বার্ত্তাবাহক দূতকে পাঠাইয়া দিলেন। তাঁহাকে নিদ্রা হিইতে জাগরিত করিয়া বলা হইল যে, ভোর পাঁচটার সময়ে কার্য্যকারিগণের সভায় তাঁহার যাইতেই হইবে এবং সালামান্কায় তাঁহাকে যাহা দেখান হইয়াছিল, তাহার বিবরণী যে পত্রিকায় লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন, তাহা লইয়া গেলেন। দৃশ্যগুলি যতই সুস্পষ্টরূপে তাঁহার মানসপটে উদিত হইতে লাগিল, তিনি ইহার সহিত তত অধিক যোজনা করেলেন।CCh 54.2

    তাম্বুর মধ্যে পার্থনা সমাপন করিয়া পুরোহিতগণ যখনই উঠিতে ছিলেন, তখনই মিসেস্ হোয়াইট্কে এক বাণ্ডেল পাণ্ডুলিপি বগলের নীচে করিয়া দরজা দিয়া ঢুকিতে দেখা গেল। জেনারেল কন্ফারেন্সের প্রেসিডেন্ট তখন এই বক্তা ছিলেন; তিনি মিসেস্ হোয়াইট্কে সম্বোধন করিয়া কহিলেন- “সিষ্টার হোয়াইট্, আপনাকে দেখিয়া আমরা বড়ই সুখী। আমাদের জন্য কি আপনারা কোন বার্ত্তা আছে?CCh 54.3

    তিনি কহিলেন, “হাঁ নিশ্চয়ই আছে”- এই বলিয়া সম্মুখ ভাগে অগ্রসর হইয়া আসিলেন। পূর্ব্বে দিনে কথাগুলি যে স্থানে ফেলিয়া রাখিয়াছিলেন, পরে তিনি সেই স্থান হইতে বলিতে আরম্ভ করিলেন। তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন যে, অদ্য রাত্র ৩ টার সময়ে তাঁহাকে নিদ্রা হইতে জাগরিত করিয়া ভোর সাড়ে পাঁচটার সময়ে কার্য্যকারিগণের যে সভা হইবে, তাহাতে যোগদান করিয়া সালামান্কায় যাহা দেখান হইয়াছে, তাহা বর্ননা করিতে বলা হইয়াছে।CCh 55.1

    তিনি কহিলেন, “দর্শনে আমি যেন ব্যাটেলক্রিকের রিভিউ এন্ড হেরাল্ড অফিসে নীত হইয়াছিলাম, আর বার্ত্তাবাহক দূত আমাকে আদেশ করিয়াছিলেন, ‘আমার পশ্চাতে আইস’। একদল লোক যে কক্ষে বসিয়া ব্যগ্রভাবে কোন একটী বিষয়ের আলোচনা করিতেছিলেন, আমি সেই কক্ষে নীত হইলাম। লোকদের অশেষ উদ্যম দৃষ্ট হইল, কিন্তু উহা জ্ঞান প্রসূত উদ্যম নহে।” আমেরিকান সেন্টিনেলর (American Sentinel) নিয়ম-প্রণালী সম্বন্ধে তাঁহারা কি ভাবে আলোচনা করিতেছিলেন, তাহা তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন। তিনি কহিলেন, “আমি দেখিলাম লোকদের মধ্যে এক ব্যক্তি সেন্টিনেলর এক কপি হাতে লইয়া তাহার মাথার ঊর্ধে ধরিয়া বলিতেছে, ‘বিশ্রামবার ও দ্বিতীয় আগমন সর্ম্পকীয় প্রবন্ধ গুলি এই পত্রিকা হইতে বাদ না দিলে, আমরা ইহা রিলিজিয়স লিবার্টি এসোসিয়েশনের পত্রিকা বলিয়া আর ব্যবহার করিতে পারি না।” এক মাস পূর্ব্বে দর্শনে যে সভা দেখান হইয়াছিল, তদ্বিষয়ে বর্ননা করিয়া এবং ঐ প্রত্যাদেশকে ভিত্তি করিয়া পরামর্শ দিয়া, এলেন হোয়াইট্ প্রায় এক ঘণ্টা পর্য্যন্ত কথা বলেলেন। পরে তিনি আসন উপবিষ্ট হইলেন।CCh 55.2

    জেনারেল কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট এই বিষয় কি চিন্তা করিবেন, তাহা বুঝিতে পারিলেন না। কারণ তিনি ঐরূপ সভার কথা কখনও শুনেন নাই। কিন্তু এই বিষয় বুঝাইয়া দিবার নিমিত্ত তাঁহাদের বেশীক্ষণ অপেক্ষা করিতে হয় নাই; যেহেতু কক্ষের পশ্চাদ্দিক হইতে একব্যক্তি উঠিয়া বলিতে লাগিলেন- “গত রাত্রে আমিই সেই সভায় উপস্থিত ছিলাম।”CCh 55.3

    “গত রাত্রে !” সিষ্টার হোয়াইট্ জিজ্ঞাসা করিলেন, “গত রাত্রে?” আমাকে যখন দর্শনে ইহা দেখান হইয়াছিল, আমি মনে করিয়াছিলাম, ঐ সভা কয়েক মাস পূর্ব্বে বসিয়াছিল।”CCh 56.1

    তিনি বলিলেন’ “গত রাত্রে আমি ঐ সভায় উপস্থিত ছিলাম, এবং আমিই পত্রিকাটী আমার মস্তকের উর্দ্ধে ধরিয়া রাখিয়া ইহাতে লিখিত প্রবন্ধগুলির বিষয় সমালোচনা করিয়াছিলাম। আমে দুঃখের সহিত বলিতেছি যে, আমি ভুল পথে ছিলাম; কিন্তু আমি এক্ষণে ঠিক্ পথে চলিবার জন্য কৃত-সংকল্প হইয়াছি।” এই কথা বলিয়া তিনি বসিয়া পড়িলেন। অপর এক ব্যক্তি কথা বলিবার জন্য উঠিয়া দাঁড়াইলেন। ইনি ছিলেন, রিলিজিয়স লিবার্টি এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট। তাঁহার কথা গুলি লক্ষ্য করুনঃ- “আমি ঐ সভায় ছিলাম। গত রাত্রে, কন্ফারেন্স শেষ হইবার পর তালা বন্ধ করতঃ অদ্যকার আলোচনার বিষয় লইয়া সমালোচনা করিতে প্রবৃত্ত হইয়া রাত্র ৩ টা প্রর্য্যন্ত সেই কক্ষে অবস্থান করিলাম। সেই স্থানে কি কি ঘটিয়াছিল এবং কক্ষে উপস্থিত প্রত্যেকের ব্যক্তিগত মনোভাব কিরূপ ছিল, তাহা বর্ণনা করিতে গিয়া সিষ্টার হোয়াইট্ যেরূপ সঠিক ও নির্ভুল বর্ণনা দান করিয়াছেন, আমি সেরূপ পারিব না। এক্ষনে আমি দেখিতে পাইতেছি যে, আমি ভুলের মধ্যে ছিলাম এবং আমি যে ভাব দেখাইয়াছিলাম, তাহা ঠিক্ নহে। অদ্য প্রাতে যে জ্যোতি প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতে আমি স্বীকার করি যে, আমি ভুলের মধ্যে ছিলাম।”CCh 56.2

    অন্যেরাও ঐ দিন সাক্ষ্য, দিলেন। পূর্ব্ব রাত্রিতে যাঁহারা সভায় উপস্থিত ছিলেন, তাঁহাদের প্রত্যেকেই দণ্ডামান হইয়া এই সাক্ষ্য দিলেন যে, এলেন হোয়াইট্ ঐ সভার বিষয় এবং কক্ষে উপস্থিত প্রত্যেকের মনোভাবের বিষয় সঠিক বর্ণনা দান করিয়াছেন। ঐ রবিবার প্রাতে এই সভা শেষ হইবার পূর্ব্বে রিলিজিয়স্ লিবার্টির লোকেরা একত্র হইয়া ৫ ঘণ্টা পূর্ব্বে যাহা কিছু সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন, তাহা বাতিল করিয়া দিলেন।CCh 56.3

    মিসেস্ হোয়াইট্কে যদি বাধা দেওয়া না হইত, আর তিনি যদি বিশ্রামবার অপরাহ্নেই ঐ দর্শন করিতেন, তাহা হইলে ঐ বার্ত্তাদ্বারা ঈশ্বরের মনস্কল্পনা সিদ্ধ হইত না, কারণ তখন ঐ সভার অধিবেশন হয় নাই।CCh 57.1

    যেমন করিয়াই হোক্, বিশ্রামদিনের অপরাহ্নে যে সাধারণ উপদেশ দেওয়া হইয়াছিল, লোকেরা তাহা কার্য্যে প্রয়োগ করে নাই; কারণ তাঁহারা মনে করিয়াছিল, অন্যদের অপেক্ষা তাহারা বেশী জানে। অধুনা যেমন, তৎকালেও হয়তো তেমনি কেহ কেহ তর্কবিতর্ক করিয়া বলিয়াছিলেন, “সিষ্টার হোয়াইট্ হয়তো বুখিতে পারেন নাই “অথবা” আমরা এক্ষণে এক ভিন্ন যুগে বাস করিতেছি।” অথবা “বহুবৎসর পূর্ব্বে ঐ রূপ উপদেশ খাটিত, কিন্তু এখন আর উহা খাটে না।” ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে শয়তান যেমন ঐ লোকদিগকে ভুলাইয়াছিল, ঠিক তেমনি সে এই কালে আমাদেরও কানে কানে কথা বলে; সে কালের চিন্তা, আর এই চিন্তা, একই চিন্তা। ঈশ্বর নিজের সময়ে নিজের ইচ্ছামত, সুস্পষ্টরূপে জানাইয়াছিলেন যে ইহা তাঁহারই কার্য্য; তিনিই ইহা চালাইতেছেন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করিতেছেন; চাকার উপরে (বা সর্ব্ব বিষয়ের উপরেই) তাঁহার হাত আছে। ইহা দেখাইবার নিমিত্ত তিনি বিষয়গুলিকে প্রায়শঃই চরমে উঠিতে দেন। পরে তিনি দেখায়াছেন যে, ইস্রায়েলের মধ্যে একজন ঈশ্বর আছেন।”CCh 57.2