Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents

মণ্ডলীর জন্য উপদেশ

 - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First

    আহারে নিয়মানুবর্ত্তিতা

    নিয়মিত আহারের পর পাকস্থলীকে পাঁচ ঘণ্টা বিশ্রাম দিতে হইবে। পরবর্ত্তী আহারের নির্দ্দিষ্ট সময় না আসা পর্য্যন্ত পাকস্থলীতে কণামাত্র খাদ্যও প্রবেশ করান উচিত নহে। দুই আহারের এই মধ্যবর্ত্তী কালটীতে পাকস্থলী স্বীয় পরিপাক কার্য্য সাধন করিবে, তাহাতে ইহা পরবর্ত্তী আহারের সময় অধিক খাদ্য গ্রহণের পক্ষে উপযোগী হইবে। 17CD 179;CCh 539.2

    আহারে নিয়মানুবর্ত্তিতা যত্ন সহকারে রক্ষা করিতে হইবে। দুই আহারের মধ্যবর্ত্তী সময়ে কিছুই ভক্ষণ করিতে হইবে না, কোন মিষ্টান্ন বা মিঠাই, বাদাম, ফল, কিংবা কোন প্রকারের কোন খাদ্যই না। আহারের নিয়মানুবর্ত্তীতা রক্ষা না করিলে পরিপাক যন্ত্রের সুস্থবস্থা থাকে না, ফলে স্বাস্থ্যভঙ্গ হয় ও মনে প্রফুল্লতা থাকে না। তাহাতে সন্তানসন্ততিগণ আইসে; তাহাদের বুভক্ষা এমন খাদ্যের আকাঙ্ক্ষা করে, যাহা তাহাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর। 18MH 384;CCh 539.3

    পাকস্থলী এবং দেহের অন্যান্য যন্ত্র যেন পূর্ণ বিশ্রাম উপভোগ করিতে পারে, তজজন্য, বিশ্রামার্থে আমরা যখন শয়ন করি, তৎ-পূর্ব্বে পাকস্থলীর পরিপাক কার্য্য একেবারে শেষ হইয়া যাওয়া বিধেয়। কারণ যাঁহারা বসিয়া বসিয়া কার্য্য করেন, অধিক রাত্রে আহার তাঁহাদের পক্ষে বিশেষ ক্ষতিকর।CCh 539.4

    অনেক ক্ষেত্রে দুর্ব্বলতার জন্য খাদ্য গ্রহণ করিবার আকাঙ্ক্ষা জন্মে, কারণ পরিপাকযন্ত্রগুলির দিবা ভাগে অত্যধিক খাটিতে হয়। একবার খাদ্য গ্রহণের পর পরিপাক যন্ত্রগুলির বিশ্রামের প্রয়োজন। দুই আহারের মধ্যবর্ত্তী সময়ের ব্যবধান অন্ততঃ পাঁচ ছয় ঘণ্টা হওয়া আবশ্যক। পরীক্ষা করিয়া অধিকাংশ লোকেই দেখিতে পাইবেন যে, দৈনিক তিন বার অপেক্ষা দুইবার আহার করা অধিকতর উত্তম। 19MH 304;CCh 540.1

    প্রতিদিন কেবলমাত্র দুইবার আহার করিবার অভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে সাধারণতঃ উপকারীই দেখা যায়; তথাপি কোন কোন কারণ বশতঃ তৃতীয়বার আহার করাও আবশ্যক হইতে পারে। যদি একান্তই ইহা আবশ্যক হয়, তবে উক্ত তৃতীয় আহারটি খুব লঘু ও সহজ পাচ্য হওরা বিধেয়। 20MH 321;CCh 540.2

    ছাত্র ও ছাত্রিগণ যখন শারীরিক ও মানসিক এই উভয় বিধ খাটুনি খাটে, তখন তৃতীয় বার আহারের বাধা অনেকাংশে কাটিয়া যায়। এই তৃতীয় আহারটী শাক্সব্জী বিহীন, যেমন- ফল ও রুটি, কিন্তু সাদাসিধে ও পুষ্টিকর হওয়া আবশ্যক। 21CD 178;CCh 540.3

    অতি উষ্ণ কিংবা অতি ঠাণ্ডা খাদ্য গ্রহণ করা বিধেয় নহে। খাদ্যদ্রব্য ঠাণ্ডা হইলে পরিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন হইবার পূর্ব্বে ইহাকে গরম করিবার নিমিত্ত পাকস্থলীর প্রধান শক্তি ক্ষয় হইয়া যায়। ঠাণ্ডা পানীয়ও ঐ একই করণে ক্ষতিকর; আবার অবাধ গরম পানীয়ও দুর্ব্বলতা আনয়ন করে। বস্তুতঃ আহারের সময়ে অধিক তরল পদার্থ গ্রহণ করিলে খাদ্য পরিপাকে অধিকতর বিঘ্ন ঘটে, কারণ পরিপাক ক্রিয়া আরম্ভ হইবার পূর্ব্বেই তরলপদার্থ শোষিত হওয়া একান্ত আবশ্যক। অধিকমাত্রায় লবন খাইনেব না, পিক্‌ল বা কাসুন্দি এবং গরম মসলাযুক্ত খাদ্য বজর্জন করিবেন, প্রচুর পরিমাণে ফল খাইবেন, ঠা হইলে প্রদাহের দরূণ আহারের সময়ে পানীয়ের জন্য এত যে আকাঙ্ক্ষা দেখা যায়, তাহা বহুলাংশে কমিয়া যাইবে। ধীরে ধীরে আহার করিতে হইবে, এবং খাদ্যদ্রব্য সম্পূর্ণরূপে চিবাইয়া খাইতে হইবে। খাদ্যদ্রব্যের সহিত যেন উপযুক্তরূপে লালা মিশ্রিত হইতে পারে এবং পাচকরসের কার্য্য যেন সুচারুরূপে সম্পন্ন হইতে পারে, তজজন্য ইহা আবশ্যক। 22MH 305, 306;CCh 540.4