পঞ্চম অধ্যায়
আত্ন-সমর্পণ |(CONSERATION)
ঈশ্বরের অঙ্গীকার এই যে ,” তোমরা আমার অন্বেষন করিয়া আমাকে পাইবে ; কারন তোমরা সর্ব্বান্ত:করনে আমার অন্বেষন করিবে “(যির ২৯:১৩ )।SC 42.1
ঈশ্বরের নিকটে সমগ্র হৃদয় অর্পণ করিতে হইবে ; তাহা না হইলে তাঁহার সাদৃশ্য ফিরিয়া পাইবার জন্য আমাদের মধ্যে যে পরিবর্ত্তন সাধিত হওয়া কর্ত্তব্য তাঁহা কখনও সাধিত হইতে পারিবে না । স্বভাবত আমরা ঈশ্বর হইতে পৃথক্ হইয়া পড়িয়াছি। “তোমরা আপন আপন অপরাধে ও পাপেমৃত ছিলে”(ইফি ২:১); “সমুদয় মস্তক ব্যথিত ও সমুদয় হৃদয় দুব্বল হইয়াছে,” “কোন স্থানে স্বাস্থ্য নাই ” (যিশা ১:৫,৬);-পবত্র আত্মা এইরূপ বাক্যে আমাদের অবস্থা বর্ননা করিয়াছেন । আমারা শয়তানের ফাদে দৃঢ়রূপে আবদ্ধ হইয়াছি; তাহর ইচ্ছা সাধনার্থে তাহার দ্বারা বন্দী হইয়া রহিয়াছি (২তীম ২:২৬) ঈশ্বর আমাদিগকে সুস্থ ও মুক্ত করিতে চাহেন কিন্তু ইহার কারনে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্ত্তন ও আমাদের সমগ্র প্রকৃতি নবীনীকৃত হওয়ার প্রয়োজন বলিয়া তাঁহার নিকটে আমদের পূর্ণ ভাবে আত্ম সমর্পণ করিতে হইবে। SC 42.2
নিজের সহিত সংগ্রাম বা আত্ম সংগ্রাম করাই পৃথীবিতে সর্ব্বপেক্ষা কঠিন যুদ্ধ ।আত্ত সমর্পণ করিতে ঈশ্বরের ইচ্ছার সম্মুখে সমুদয় উৎসর্গ করিতে, বিশেষ সংগ্রামের প্রয়োজন; কিন্তু আত্মার শুচিতা নবীভুত করিবার পুর্ব্বে উহাকে ঈশ্বরের অধিন করিতে হইবে ।SC 44.1
ঈশ্বরের শাসন কখনও অন্ধ বশ্যতা ও যুক্তিহীন প্রভূতের উপরে স্থাপিত নহে যদিও শয়তান সকলকে ঐরূপ ভাবেই বুঝাইতে চেষ্টা করিয়া থাকে ।উহা জ্ঞান ও বিবেকের উপর প্রতিষ্ঠিত সদাপ্রভু তাঁহার সৃষ্ট জীবগনকে আহ্বান ক্রিয়া বলিয়াছিলেন “আইস, আমারা উত্তর প্রত্যুত্তর করি ” (যিশা ১ :১০) ঈশ্বর কখন তাঁহার সৃষ্ট জীবগনের ইচ্ছা শক্তির উপরে প্রভুত্ব করেন না। স্বেচ্ছায় ও বুদ্ধি সহকারে অর্পিত না হইলে তিনি কাহার বাস্যতা গ্রহন করেন না । বাধ্যতা মুলক আত্ম সমর্পণ কখন মনঃ ও চরিত্রের পূর্ণ বিকাশ সাধিত হইতে পারে না । উহা শুধু মানুষকে বিচার বুদ্ধি বিহীন কলের পুতুল করিয়া ফেলে। ঈশ্বরের কখন এরূপ উদ্দেশ্য নহে ।তাঁহর সৃষ্টি শক্তির শ্রেষ্ট নিদশন মানব জাতি যেন যত দূর সম্ভব বিকাশ লাভ করিতে পারে ইহাই তাহার অভিপ্রায়। তিনি আমাদের সম্মুখে আশীর্ব্বাদে উচ্চতম আদর্শ স্থাপন করিয়াছেন এবং তাঁহার ইচ্ছা এই যে আমরা যেন তাঁহার করুনা বলে সেই স্থানে উপনিত হইতে পারি। তাঁহার নিকটে আত্ম সমর্পণ করিবার নিমিও তিনি আমাদিগকে আহবান করিতেছেন,যেন তিনি আমাদের মধ্যে তাঁহার ইচ্ছা সাধন করিতে পারেন। ঈশ্বরের প্রিয়তম পুত্রগনের অপূর্ব্ব স্বাধীনতার অংশী হইবার জন্য আমরা পাপের শৃঙ্খল হইতে মুক্ত হইব কিনা , তাহা মনোনীত করা সম্পূর্ণরূপে আমাদের উপর নির্ভর করিতেছে ।SC 44.2
ঈশ্বরের নিকটে আত্মসমর্পণ করিবের সময় আমরা আব্যশ্য যে যে বিষয় আমাদিগকে তাঁহার নিকট হইতে বিছিন্ন করিয়া রাখিতে পারে সেই সমুদয় একেবারে ত্যাগ করিব । তাই ত্রাণকর্ত্তা বলিতেছেন , তোমাদের মধ্যে যে কেহ আপনার সর্ব্বস্ব ত্যাগ না করে,সে আমার শীষ্য হইতে পারে না (লূক ১৪:৩৩)।যাহা কিছু হৃদয়কে ঈশ্বর হইতে বিপথে চালিত করিবে, তাহাই পরিত্যাগ করিতে হইবে । অনেকেই অর্থ দেবতার উপাসনা করিয়া থাকে । অর্থের নিমিও প্রেম বা ধন লালসা , সোনার শিকলের ন্যায় তাহাদিগকে শয়তানের সহিত বাধিয়া রাখিয়াছে আর একদল লোক সুখ্যাতি ও পথিব সন্মানের নিমিও লোলুপ ।অন্য একদল আবার স্বার্থপূর্ণ আরামের জীবন ও সর্ব্বপ্রকার দায়িত্ব হইতে মুক্তি লাভ করিতে চাহে ।কিন্তু এই সমুদয় গোলাম তীর শৃঙ্খল ভাঙ্গিয়া ফেলিতে হইবে ।আমরা কখন অর্ধেক সদাপ্রভুর অর্ধেক পৃথিবীর হইতে পারি না একেবারে প্রভুর না হইলে ঈশ্বরের সন্তান হওয়া যায় না। আবার এইরূপ কেহ কেহ আছে যাহার মুখে ঈশ্বরের সেবাকারী বলিয়া ঘোষণা করে অথচ তাঁহার ব্যবস্থা মানিবার জন্য সচ্চরিত্র গঠন ও মুক্তি লাভ করিবার জন্য তাঁহারা নিজ নিজ শক্তির উপর নির্ভর করে ।তাহাদের হৃদয় কখন খ্রীষ্টের প্রেমে কোন গভীর অনুভুতি দ্বারা বিচলিত হয় না। কিন্তু শুধু স্বর্গ লাভ করিবার উদ্দেশ্যে ঈশ্বর নিদিষ্ট খ্রীষ্টিয় জীবনের কর্ত্তব্য সুমুহ পালন করিতে চাহে ।এরূপ ধর্ম্মের কোনই মূল্য নাই । খ্রীষ্ট যখন হৃদয়ে বাস করেন, তখন আত্মা তাঁহার প্রেমে,তাহার সহভাগিতার আনন্দে এরূপ ভরপুর হইয়া যাইবে যে, উহা তাঁহার সহিত একেবারে সংলগ্ন বা জড়িত হইবে এবং তাঁহার চিন্তায় বিভোর হইয়া আপনার অস্তিত্ব ভুলিয়া যাইবে। খ্রীষ্টের প্রতি প্রেম, কার্যের নিমিও উৎসাহ প্রদান করিবে। যাহারা ঈশ্বরের প্রেমের আকর্ষণ বিশেষ ভাবে বোধ করে , তাহারা কখন এরূপ প্রশ্ন করে না যে, কমপক্ষে কতটুকু দান করিলে ঈশ্বরের প্রয়োজন সিদ্ধ হইবে ;তাহারা কখনও নিম্নতম আদর্শের বিষয়ে জিজ্ঞাসা না করিয়া তাহাদের ত্রানকর্ত্তার ইচ্ছা সহিত সম্পূর্ণ সঙ্গতি সাধনের প্রতি লক্ষ্য করে আন্তরিক ব্যাকুলতার সহিত তাহারা সমস্তই উৎসর্গ করে এবং তাহাদের সন্ধানের বস্তুর অনুরূপ আগ্রহ দেখাইয়া থাকে। এই প্রকার গভীর প্রেম ব্যতীত খ্রীষ্টীয় সেবক হওয়া শুধু নীরস ধর্ম্ম নিষ্ঠা এবং দুর্ব্বহ দাস্যবৃওি মাত্র। SC 45.1
খ্রীষ্টের উদ্দেশে সমুদয় সমর্পণ করিলে কি মহান্ ত্যাগ দেখান হইবে বলিয়া মনে কর ? তুমি একবর নিজকে একবার এই প্রশ্ন করিয়া দেখ,“খ্রীষ্ট আমার জন্য কি দিয়াছেন ? ” আমাদের মুক্তির জন্য ঈশ্বর—পুত্র-জীবন, প্রেম ও বেদনা —সমুদয় দান করিয়াছেন। এত মহান্ প্রেমের আযোগ্য পাত্র হইয়া ,আমাদের কি তাঁহার নিকট হইতে আমাদের হৃদয় দূরে সরাইয়া রাখা কর্ত্তব্য ? জীবনের প্রতি মহুরতে আমরা তাঁহার অনুগ্রহের আশীর্ব্বাদ সমুহ ভোগ করিতেছে এবং এই কারনেই দুঃখ ও অজ্ঞানতার যে গভীর কূপ হইতে তাহার কৃপায় রক্ষা পাইয়াছি এই ক্ষনে সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারনা করাও সম্ভব নহে আমাদের পাপরাশি যাহাকে বিদ্ধ করিয়াছে তাঁহর পানে দৃষ্টিপাত করিয়া কখন কি আমরা তাহার প্রেম ও আত্নত্যাগ উপেক্ষা করিতে পারি ?SC 46.1
মহিমা-কুমারের অসীম অপমানের বিষয়ে চিন্তা করিয়া আমরা কি কখন সংগ্রাম ও গৌরবহানির মধ্য দিয়া জীবনে প্রবেশ করিতে হইবে বলিয়া বিরক্তি প্রকাশ করিতে পারি ? অনেকে অহঙ্কারে পূর্ণ হইয়া এইরূপ প্রশ্ন তুলিয়া থাকে যে, “ঈশ্বর আমাকে গ্রহন করিয়াছেন এই আশ্বাস পাইবার পূর্ব্বে কেন আমি অনুতাপ ও দীনতা স্বীকার করিব ? যাহারা এইরূপ প্রশ্ন করে তাহাদিগকে আমি খীষ্টের দিকে তাকাইতে বলি । তিনি নিস্পাপ, এমন কি তাহা অপেক্ষা বেশী , তিনি স্বর্গের কুমার ছিলেন; কিন্তু তিনি মানুষের নিমিও সমগ্র মানবজাতির পাপভার বহন করিলেন ।” তিনি অধর্মীদের সহিত গনিত হইলেন ; আর তিনিই অনেকের পাপ- ভার তুলিয়া লইয়াছেন, এবং অধর্ম্মীদের জন্য অনুরোধ করিতেছেন” (যিশা ৫৩:১২) ।SC 47.1
কিন্তু সকল দান করিবার সময়ে আমরা কি ত্যাগ করিয়া থাকি ? যীশু আপন রক্ত দ্বারা শুচিকৃত এবং তাঁহার অতুল প্রেম দারা পরিত্রাণ লাভ করিবার জন্য একটি পাপ- কলুষিত হৃদয় । তথাপি মানুষ সমুদয় ত্যাগ করা, কত কঠিন বলিয়া মনে করে ! এই বিষয় সুনিতে ও লিখিতে আমার লজ্জা বোধ হইয়া থাকে ।SC 47.2
যাহা রাখিয়া দিলে আমাদের মঙ্গল হইবে ,এরূপ কোন বস্তু যে আমারা ত্যাগ করি ,ঈশ্বর কখনও তাহা চাহেন না । তাঁহারা সকল কার্য্যেই তিনি তাঁহার সন্তানগণের মঙ্গলের প্রতি লক্ষ রাখিয়াছেন আমার ইচ্ছা, যাহারা খ্রীষ্টকে মনোনীত করে নাই, তাঁহারা সকলে যেন এই কথাটা বুঝিতে পারে যে ,তাঁহারা আপনাদের জন্য যাহা খুঁজিতেছে , তাহা অপেক্ষা ঈশ্বর যাহা দান করিতে চাহেন তাহা সর্ব্ববিষয়ে শ্রেষ্ঠ। মানুষ যখন ঈশ্বরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চিন্তা ও কার্য্য করে, তখন সে আপন আত্মার প্রতি বিষম অন্যায় ও অত্যাচার করিয়া থাকে। যিনি সর্ব্বোওম বিষয় জানেন , যিনি তাঁহার সৃষ্ট জীবগণের মঙ্গল বিধান করেন, তাঁহার নিষিদ্ধ পথে চলিয়া কখনও প্রকৃত আনন্দলাভ করা যায় না ।আদেশ- লঙ্ঘনের পথে চলিলে দুঃখ ও বিনাশ পাইতে হইবে।SC 47.3
ঈশ্বর তাঁহার সন্তানগণের দুঃখ দেখিয়া সন্তুষ্ট হন, এরূপ চিন্তা পোষণ করা বিষম ভুল । মানুষের সুখের নিমিত্ত সমুদয় স্বর্গ অনুরাগী। আমাদের স্বর্গস্থ পিতার কোন সৃষ্ট জীবের নিকটেই আনন্দের দ্বার রুদ্ধ নহে। যাহা দ্বারা বেদনা ও নৈরাশ্য আসিয়া থাকে, যাহা আমাদের সুখ ও স্বর্গের দ্বার রুদ্ধ করিয়া ফেলে, স্বর্গীয় বিধান আমাদিগকে সেই সকল প্রবৃওি ত্যাগ করিতে বলিতেছে জগতের ত্রাণকর্ত্তা মানুষের সমুদয় ত্রুটি অভাব ও দুর্ব্বলতা সহিত ঠিক যে রূপ সে রহিয়াছে ,সেইরূপ অবস্থায় তাহাকে গ্রহন করিয়া থাকেন কিন্তু তিনি শুধুই যে পাপ হইতে শুচি এবং আপন রক্ত দ্বারা মুক্তি দান করিবেন তাহাই নহে ,কিন্তু যাহারা তাঁহার যোঁয়ালি স্কন্ধে লইতে ও ভার বহন করিতে অভিলাষী ,তাহাদের প্রানের বাসনা পূর্ণ করিবেন ।যাহারা তাঁহার নিকটে জীবন —খাদ্যর জন্য আসিবে ।তাহাদিগকে শান্তি ও বিশ্রাম দান করাই তাঁহার উদ্দেশ্য অবাধ্য বাক্তিগন কখনও যে স্থান পাইতে পারে না, পরম শান্তির সেই উচ্চতম শিখর লাভ করিতে আমাদিগকে চালিত করিবার জন্য যে সমুদয় কর্ত্তব্য সম্প্রাদন করা প্রয়োজন ঈশ্বর আমাদের দ্বারা সুসম্পন্ন দেখিতে চান । আমাদের অন্তরে গৌরবের আশা খ্রীষ্ট গড়িয়া উঠিলেই,আমরা জীবনের ও আত্মার প্রকৃত আনন্দলাভ করিতে পারি ।SC 47.4
অনেকে আবার প্রশ্ন করিতেছে —” কিরূপে আমি ঈশ্বরের নিকটে আত্ম সমর্পন করিব ?” তুমি তাঁহার নিকটে আত্ম সমর্পণ করিতে চাও ,কিন্তু তোমার নৈতিক শক্তি দুর্ব্বল তুমি দ্ধিধায় ও সন্দেহে বন্দী এবং তোমার পাপপূর্ণ জীবনের কু অভ্যাস গুলি দ্বারা চালিত। তোমার প্রতিজ্ঞারাশি ও সঙ্কল্পমুহ বালুকা নিম্মিত রজ্জুর ন্যায় শক্তিহীন ।তুমি তোমার চিন্তারাশি ,মানসিক ভাব ও আবেগ সমূহ দমন করিতে পার না । যে সকল প্রতিজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়াছ, যে সকল প্রতিজ্ঞায় বঞ্চিত হইয়াছ ,সেই সমুদয় জ্ঞান তোমার আপন সরলতায় বিশ্বাস দুর্ব্বল করিয়া ফেলিয়াছে এবং ঈশ্বর তোমাকে গ্রহন করিতে পারেন না ,এইরূপ বোধ জন্মাইয়া দিয়াছেন কিন্তু তোমার হতাশ হইবার কারন নাই ।এই নে তোমার প্রকৃত ইচ্ছা শক্তি কি তাহাই বুঝিতে পারা অবশ্যক। নির্দ্ধারন বা মনোনয়নের শক্তিই , মানুষের প্রকৃতি চালিত করে । ইচ্ছা শক্তির যথার্থ কার্য্যের উপর সমুদয় ব্যাপার নির্ভর করে। ঈশ্বর মানুসদিগকে মনোনয়ন করিবার বা বাছিয়া লইবার শক্তি দিয়াছেন ; তাহারা উহা ইচ্ছামত প্রয়োগ করিতে পারে । তুমি তোমার হৃদয়ের পরিবর্ত্তন করিতে পার না, তুমি নিজের চেষ্টায় তোমার মনোভাবসমূহ ঈশ্বরকে দান করিতে পার না কিন্তু তুমি তাঁহার সেবা করিবে —এইরূপ ইচ্ছা বাছিয়া লইতে পার । তোমার ইচ্ছা শক্তি তাহাকে দান করিতে পার, তাহা হইলে তিনি তাঁহার আপন পছন্দ মত তোমাতে ইচ্ছা ও কার্য্য করিবার প্রেরনা দান করিবেন । এই প্রকারে তোমার সম্পূর্ণ প্রকৃতি খ্রীষ্টের আত্মার কওৃত্বাধীন আনীত হইবে ,তোমার মনোভাব সমূহ তাঁহাতেই কেন্দ্রীভূত হইবে, তোমার চিন্তারাশি তাঁহার সহিত সুসঙ্গত থাকিবে।SC 48.1
সীমা ছাড়িয়া না যাওয়া পর্য্যন্ত ,সাধুতা ও শুচিতার বাসনা উত্তম বটে ;কিন্তু যদি তোমার বাসনা কার্য্যকরী না হয় তবে উহাতে কোনই লাভ নাই। অনেকে খ্রীষ্টীয়ান হইবার শুধু আশা ও কামনা থাকিয়াই শেষে বিনাস প্রাপ্ত হইবে তাহারা ঈশ্বরে আত্ন-সমর্পণ করিবার সময় পর্য্যন্ত আর পৌছিতে পারে না তাহারা এখনই খ্রীষ্টীয়ান হইবার বাসনা মনোনীত করিতে পারে না।SC 49.1
ইচ্ছাশক্তির যথার্থ চালনা দ্বারা তোমার জীবনে সম্পূর্ণ পরিবর্ত্তন সাধিত হইতে খ্রীষ্টের নিকটে নিজ ইচ্ছা সমর্পণ করিয়া তুমি এরূপ এক মহাশক্তির সহিত সংযুক্ত হইলে, যাহা পৃথিবীর সমূদয় রাজশক্তি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।তোমাকে দৃঢ় রূপে ধরিয়া রাখিবার জন্য, তুমি উদ্ধ হইতে শক্তি লাভ করিবে এবং এইরূপে ঈশ্বরের নিকট প্রতিনিয়ত আত্মসমর্পণের ফলে । নূতন জীবন, এমন কি বিশ্বাসের জীবন যাপন করিতে সমর্থ হইবে SC 49.2