Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents

সুষম শিক্ষা

 - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First
    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents

    ৬ - ভাববাদিদের বিদ্যালয়

    “তাহারা তােমার চরণে বসিল; এই রূপে তাহারা
    তােমার বাক্য হইতে শিক্ষা লাভ করিবে।”

    ইস্রায়েলের যে কোন স্থানে ঈশ্বরের শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল সেখানেই ঐ শিক্ষার ফলশ্রুতি তার আদিকতার বিষয় বহন। করেছে। কিন্তু অনেক অনেক পরিবারে স্বর্গ থেকে দেয়া প্রশিক্ষণ এবং চরিত্র সমভাবে পরিলক্ষিত হয়নি। ঈশ্বরের পরিকল্পনা আংশিক এবং অসম্পূর্ণভাবে পূর্ণ হয়েছিল। সদাপ্রভুর নির্দেশের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং অবিশ্বাসের কারণে ইস্রায়েল সন্তানগণকে বহুবিধ প্রলােভন ঘিরে রেখেছিল। এবং তাদের অল্প লােকই তার প্রতিরােধ করতে পেরেছিল। কনানে বসতিকালে “তাহারা সদাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে জাতিগণকে বিনষ্ট করিল না ; বরং তাহারা পৌত্তলিকদের সহিত মিশ্রিত হইল এবং উহাদের ক্রিয়া সকল শিক্ষা করিল; আর উহারা প্রতিমাগণের সেবা করিল; আর সে সকল তাহাদের ফাদ হইয়া উঠিল।” “তাহারা তাঁহার নিয়মেও বিশ্বস্ত রহিল না। কিন্তু তিনি স্নেহময়; তাই অপরাধ ক্ষমা করিলেন, ধ্বংস করিলেন না, অনেকবার আপন ক্রোধ সম্বরণ করিলেন, আপনার সমস্ত কোপ উদ্দীপিত করিলেন না। তিনি স্মরণ করিলেন যে, তাহারা মাংস মাত্র, বায়ুস্বরূপ, যাহা রহিয়া গেলে আর ফিরিয়া আইসে না।” গীতসংহিতা ১০৬:৩৪-৩৬; ৭৮:৩৭-৩৯। ইস্রায়েলে বাবা-মায়েরা ঈশ্বরের ইচ্ছাপূরণে এবং তাদের সন্তান-সন্ততিদের প্রতি কর্তব্য পালনে নীরস এবং শিথিল হয়ে পড়ল। ঘরে অবিশ্বস্ততা, বাইরে পরমভক্তিহীনতার প্রভাবের ফলে, অনেক ইব্রীয় তরুণ, এমন শিক্ষা পেল যা ঈশ্বরের পরিকল্পনা বহির্ভূত। তারা পৌত্তলিকদের জীবনধারা শিক্ষা করল।EdBen 40.1

    এই অধিকতর মন্দতার মােকাবিলা করার জন্য ঈশ্বর বাবা-মাদের কাছে শিক্ষার অন্যতম উপায় উদ্ভাবন করলেন। আদিকালে ঈশ্বর শিক্ষক হিসেবে ভাববাদিদের নিযুক্ত করেছিলেন। ভাববাদিগণ ঈশ্বর হতে সরাসরি যে অনুপ্রাণিত বাক্য পেতেন, তারা লােকদের তা-ই দিতেন। কিন্তু তাদেরও নাম দেওয়া হয়েছিল, যারা সরাসরি ভাবে অনুপ্রাণিত না, তাদের ঈশ্বর আহ্বান করেছিলেন যেন তারা ঈশ্বরের নির্দেশ অনুসারে কাজ করে। এই ধরণের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য, শমূয়েল ভাববাদী, সদাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে, ভাববাদিদের বিদ্যালয় স্থাপন করলেন।EdBen 40.2

    এ সব বিদ্যালয় ব্যাপক ভ্রষ্টতার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে যেন যুবক-যুবতিদের মানসিক এবং আধ্যাত্মিক শ্রীবৃদ্ধি লাভ হয়, এবং লােকদের সুসজ্জিত করবে যেন তারা ঈশ্বর ভয়শীল নেতা এবং পরামর্শদাতা রূপে জাতির উন্নতি সাধন করতে পারে। এই জন্য শমূয়েল সৎ, প্রত্যুপন্নমতি, এবং পড়য়া যুবকদের ডাকলেন। এদের ভাববাদিদের পুত্র বলে আখ্যা দেওয়া হত। যেমন তারা ঈশ্বরের বাক্য এবং কাজ পর্যালােচনা করত, তাদের মন ও আত্মার শক্তি সঞ্জীবিত হত, এবং ছাত্রগণ স্বর্গ থেকে জ্ঞান লাভ করত। শিক্ষক কেবল ঐশ্বরিক সত্যে পারদর্শীতা লাভ করেন নি, কিন্তু তারা ঈশ্বরের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক উপভােগ করেছেন এবং তারা আত্মার বিশেষ সমৃদ্ধি লাভ করেছেন। তাদের বিদ্যা এবং ধর্মানুরাগের কারণে লােকে তাদের শ্রদ্ধা করত। শমূয়েলের সময়ে স্থাপিত দুটি বিদ্যালয়, একটি রামাতে, ভাববাদীর নিজ বাড়িতে, এবং অপরটি ছিল কিরিয়ৎ-যিয়ারীমে । পরে আরও বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিল।EdBen 41.1

    ছাত্ররা ক্ষেতে, খামারে কাজ করে এবং দৈহিক শ্রমকাজে নিযুক্ত থেকে তাদের পড়াশুনার খরচ চালাত। ইস্রায়েলে এই সব কাজে কারাে সম্মানের হানি হত না, বরং ছেলে-মেয়েদের ব্যবহারিক কাজ হতে বিরত রাখা ছিল পাপ। বাবা-মা ধনী হােক কি গরীব হােক, প্রত্যেক যুবককে কোন না কোন কাজ শিক্ষা করতে হবে। এমন কি তাকে পবিত্র দায়িত্ব পালনও শিক্ষা করতে হবে, ব্যবহারিক জীবনে তা সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হত। শিক্ষকগণ অনেকেই দৈহিক পরিশ্রমের দ্বারা তাদের ভরণ-পােষণ যােগাড় করতেন।EdBen 41.2

    বিদ্যালয়ে এবং বাড়িতে অধিকাংশ শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল মৌখিক; কিন্তু যুবগণ ইব্রীয় ভাষা পড়তে শিক্ষা করেছিলেন, এবং তাদের সামনে পুরাতন নিয়মের জড়ানাে পুস্তক/পাণ্ডুলিপি অধ্যয়ন করার সুযােগও ছিল। এই সব বিদ্যালয়ে তাদের অধ্যয়নের প্রধান বিষয়গুলাে ছিল মােশির মাধ্যমে দেয়া নির্দেশ অনুসারে ঈশ্বরের ব্যবস্থা, ধর্মীয় ইতিহাস ও গান। বাজনা, এবং কবিতা। ধর্মীয় ইতিহাসে যিহােবার পদচিহ্নাবলীর উপরে গুরুত্ব আরওপ করা হয়েছিল। ধর্মধামের সেবাকাজে মাধ্যমে মহা সত্যটি তুলে ধরা হত, এবং এই সব পদ্ধতির যে কেন্দ্রিয় বিষয় বিশ্বাসে আঁকড়ে ধরত তা ছিল ঈশ্বরের মেষশাবক; যিনি জগতের পাপভার তুলে নেবেন। এক গভীর অনুরক্তির আত্মা পােষণ করা হয়েছিল। কেবল ছাত্রগণকে প্রার্থনার কাজই শিক্ষা দেওয়া হয় নি; কিন্তু তাদেরকে প্রার্থনা করতে, কিভাবে তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে আসতে হয়, কিভাবে তার, আত্মার শিক্ষা বুঝতে এবং পালন করতে হয়, তাও শিক্ষা দেয়া হত। ঈশ্বরের ধনাগার হতে পবিত্র জ্ঞান নতুন ও পুরাতন বিষয়সমূহ আনয়ন করেছিল, এবং ভবিষ্যদ্বাণী ও পবিত্র সঙ্গীতের মধ্যে ঈশ্বরের আত্ম প্রকাশিত হয়েছিলEdBen 41.3

    এই বিদ্যালয়গুলাে ধার্মিকতার উন্নতিবর্ধনের জন্য একটি অতীব ফলপ্রসূ উপায় ছিল যা একটি জাতিকে উন্নত করে।” হিতােপদেশ ১৪:৩৪। এই বিস্ময়কর উন্নতিসাধনের ভিত্তি স্থাপনে তাদের সাহায্য মােটেই সামান্য নয় যা দায়ূদ এবং শলােমনের রাজত্বকে প্রসিদ্ধ করেছিল ।EdBen 42.1

    ভাববাদিদের বিদ্যালয়ে যে নীতিমালা শিক্ষা দেওয়া হত, তা ছিল একই নীতি যা দায়ূদের চরিত্র ও জীবনকে গঠন ও মার্জিত করেছিল । ঈশ্বরের বাক্যই ছিল তার নির্দেশদাতা। তিনি বলেন, “তুমি আপন নির্দেশমালা আদেশ করিয়াছ ... আমি তােমার বিধিকলাপ পালন করিব।” গীতসংহিতা ১১৯:১০৪-১১২। এই জন্যই যখন সদাপ্রভু তাকে তার তারুণ্যে সিংহাসনে আরােহণ করার জন্য মনােনীত করেছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন, “সে আমার মনের মত লােক।” প্রেরিত ১৩:২২।EdBen 42.2

    শলোমনের প্রথম জীবনেও ঈশ্বরের শিক্ষা পদ্ধতির ফলাফল দেখা যায়। শলােমন তার যৌবনকালে দায়ূদের মতই মনােনয়ন করেছিলেন। পার্থিব সব ভালাে বিষয়ের উপরে তিনি ঈশ্বরের কাছে জ্ঞান এবং সুবুদ্ধির আত্মা চেয়েছিলেন। আর তিনি সদাপ্রভুর কাছে যা চেয়েছিলেন, সদাপ্রভু তাকে কেবল তা-ই দেন নি, অধিকন্তু তিনি যা চান নি, তিনি তাকে তাও দিলেন- ধনরত্ব ও সম্মান। তার বুদ্ধির ক্ষমতা, তার জ্ঞানের প্রসারতা, তার রাজত্বের মহিমা, পৃথিবীর আশ্চর্য বিষয় বলে গণ্য হয়েছিল।EdBen 42.3

    দায়ূদ ও শলােমনের রাজত্বকালে ইস্রায়েল তার মহত্বের সর্বোচ্চ শিখরে পৌছে। যে প্রতিজ্ঞা অব্রাহামের কাছে করা হয়েছিল এবং যা মােশির মাধ্যমে পুনরুক্তি করা হয়েছিল, তার পূর্ণতা লাভ হল: “এই যে সমস্ত আজ্ঞা আমি তােমাদিগকে দিতেছি, তােমরা যদি যত্নপূর্বক তাহা পালন করিয়া তােমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম কর, তাঁহার সমস্ত পথে চল, ও তাহাতে আসক্ত থাক; তবে সদাপ্রভু তােমাদের সম্মুখ হইতে এই সমস্ত জাতিকে অধিকারচ্যুত করিবেন; এবং তােমরা আপনাদের হইতে বৃহৎ ও বলবান জাতিদের উত্তরাধিকারী হইবে। তােমাদের পা যে যে স্থানে পড়িবে, সেই সেই স্থান তােমাদের হইবে; প্রান্তর ও লিবানােন অবধি, নদী অর্থাৎ ফরাৎ নদী অবধি পশ্চিম সমুদ্র পর্যন্ত তােমাদের সীমা হইবে । তােমাদের সম্মুখে কেহই দাড়াইতে পারিবে না; তােমরা যে দেশে পাদবিক্ষেপ করিবে সেই দেশের সর্বত্র তােমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন বাক্যানসারে তােমাদের হইতে লােকদের ভয় ও ত্রাস উপস্থিত করিবেন।” দ্বিতীয় বিবরণ ১১:২২-২৫।EdBen 42.4

    কিন্তু এই উন্নতির মাঝে বিপদও ওঁৎ পেতে ছিল। দায়ূদের পরবর্তী বছরের অপরাধ সমূহ, যদিও তিনি মনের সরলতার সঙ্গে অনুতপ্ত হয়ে স্বীকার করেছিলেন এবং ভীষণ শাস্তি পেয়েছিলেন, তবুও তা লােকদের ঈশ্বরের ব্যবস্থা লঙ্ঘনে সাহসী করে তুলেছিল। আর শলােমনের জীবন, কোন এক সকালে মস্তবড় প্রতিজ্ঞার পর, ধর্মোদ্রোহীতায় অন্ধকারাচ্ছন্ন। হয়েছিল। রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের বাসনা এবং আত্ম-অতিরঞ্জন, পৌত্তলিক জাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনে উৎসাহী করে তুলল। সততা জলাঞ্জলি দিয়ে, নৈতিক দায়িত্ব বিসর্জন দিয়ে তর্শীষের রৌপ্য এবং অফীরের স্বর্ণের দিকে মন পড়ল। পৌত্তলিকদের সঙ্গে মেলামেশা এবং পৌত্তলিক স্ত্রীদের বিয়েই তার বিশ্বাসকে ভ্রষ্ট করে দিল। ঈশ্বর তাঁর প্রজাদের নিরাপত্তার জন্য যে বেড়া তৈরি করেছেন, তা ছিন্ন হল, এবং শলােমন মিথ্যা দেবগণের উপাসনা করলেন। জৈতুন পর্বতের শিখরে যিহােবার মন্দিরে পৌত্তলিক দেবগণের সেবার উদ্দেশ্যে বিশাল মূর্তি তৈরি করা হল। যেমন তিনি ঈশ্বরের প্রতি তার শ্রদ্ধা জলাঞ্জলি বিসর্জন দিলেন, শলােমন নিজের উপর তার প্রভুত্বও হারিয়ে ফেললেন। তার সূক্ষ্ম অনুভূতি। খর্ব হল। তার যৌবনকালের বিবেক, বুদ্ধিপূর্ণ, বিবেচনার আত্মার পরিবর্তন ঘটল। অহঙ্কার, উচ্চাভিলাস, অপব্যয়িতা ও অসংযম নিষ্ঠুরতা, এবং অন্যায় দাবির ফল উৎপাদন করল। যিনি ছিলেন এক জন ন্যায়বান, ধৈর্যশীল, এবং ঈশ্বর ভয়শীল শাসক, তিনি এখন প্রজাপীড়ক এবং তাড়নাকারী। যিনি মন্দির উৎসর্গ কালে তার লােকদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন যেন, তারা সদাপ্রভুর কাছে তাদের অবিভক্ত হৃদয় দান করে, তিনি এখন হলেন প্রলুব্ধকারী। শলােমন নিজের অসমাদর করলেন, ইস্রায়েলের অসম্মান করলেন, এবং ঈশ্বরেরও অসমাদর করলেনEdBen 43.1

    তিনি যে জাতির গর্ব তারাই আজ তার অনুগামী হল। যদিও তিনি পরে অনুশােচনা করেছিলেন, তথাপি তিনি মন্দ বীজ বপন করেছিলেন, যার ফসল তাকে চয়ন করতে হয়েছিল। ঈশ্বর ইস্রায়েলের জন্য যে নীতিমালা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা তাদের জীবনের সর্বপথে, অন্য সব জাতি হতে তাদের আলাদা থাকতে সাহায্য করবে। এই বৈশিষ্ট্য, যা একটি বিশেষ সুযােগ এবং আশীর্বাদ স্বরূপ গ্রহণ করা উচিত ছিল, তা তারা অবজ্ঞা করল। সাদাসিধে ভাব এবং আত্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তারা সর্বোচ্চ উৎসর্গ সাধনের লক্ষ্যে পৌছাতে পারত, কিন্তু তার বিনিময়ে তারা পৌত্তলিকদের মিথ্যা জাকজমক এবং আত্ম-অসংযমের অন্বেষণ করল । “অন্য সকল জাতিগণের ন্যায় (১ শমূয়েল ৮:৫) হওয়াই ছিল তাদের উচ্চ আকাঙ্খ ঈশ্বরের শিক্ষা পদ্ধতি একপাশে রেখে দেয়া হল, তার ক্ষমতা বর্জিত হল।EdBen 44.1

    ইস্রায়েল ঈশ্বরের পথ অস্বীকার করে মানুষের পথ মনােনয়ন করল, এই ছিল তাদের পতনের সূত্রপাত। দেখা গেল, তারা যাদের পথ অনুসরণ করার মনস্থ করেছিল, তারা তাদের হাতের শিকার হল।EdBen 44.2

    একটি জাতি হিসেবে ইস্রায়েল তাদের জন্য ঈশ্বরের দেওয়া সুযােগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হল । তারা তার উদ্দেশ্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করল না, তার কাজের প্রতি সহযােগিতা প্রদর্শন করল না। কিন্তু যদিও তারা তাঁর নিকট হতে পৃথক হবার মনস্থ করে থাকে, তথাপি যারা তাতে নির্ভর করবে, তাদের জন্য তাঁর উদ্দেশ্য অপরিবর্তনীয়ই থেকে যাবে। “ঈশ্বর যাহা কিছু করেন, তাহা চিরস্থায়ী।” উপদেশক ৩:১৪।EdBen 44.3

    যেহেতু বিভিন্ন যুগে মানব জাতির অভাব পূরণের জন্য, ঈশ্বরের ক্ষমতার উৎকর্ষ সাধন এবং ক্ষমা প্রকাশের বিভিন্ন ধাপ রয়েছে, এ কারণ ঈশ্বরের কাজ সর্বকালে একই রয়ে গেছে। শিক্ষক একই রয়েছেন। ঈশ্বরের চরিত্রের এবং তার পরিকল্পনা একই রূপ। তাতে অবস্থান্তর কিম্বা পরিবর্তনজনিত ছায়া হতে পারে না।” যাকোব ১:১৭।EdBen 44.4

    ইস্রায়েলের অভিজ্ঞতা আমাদের শিক্ষার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা রয়েছে। এই সকল তাহাদের প্রতি দৃষ্টান্ত রূপে ঘটিয়াছিল, এবং আমাদেরই চেনার জন্য লিখিত হইল; আমাদের, যাহাদের উপর যুগকলাপের অন্ত আসিয়া পড়িয়াছে।” ১ করিন্থীয় ১০:১১। যেমন পুরাকালীন ইস্রায়েলের উপর ছিল, তেমনি আমাদের আনুগত্য এবং বিশ্বস্ততার উপরেও স্রষ্টার শিক্ষা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নির্ভর করে। ঈশ্বরের বাক্যের নীতিমালার প্রতি আনুগত্য আমাদের নিকটে মহা আশীর্বাদ। আনয়ন করে, যেমন ইহা ইব্রীয়দের নিকটে আনয়ন করেছিল।EdBen 45.1

    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents