Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents

যুবক যুবতিদের প্রতি বার্তা

 - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First

    সেবার মধ্যে প্রকৃত চালিকা শক্তি

    অনেক মানুষ আছেন যারা খ্রীষ্টের সঙ্গে একাত্ম নয় তবুও খ্রীষ্টিয়ান বলে দাবী করে থাকে। তাদের প্রাত্যহিক জীবন, তাদের মনােভাব সাক্ষ্য দেয় যে তাদের অন্তরে খ্রীষ্টের কোন কিছুই গঠিত হয় নি, গৌরবের কোন আশা গঠিত হয় নি। তাদের উপর নির্ভর করা যায় না, তাদের উপরে বিশ্বাস রাখা যায় না। তারা তাদের সেবামূলক প্রচেষ্টার পরিমাণ কমিয়ে আনার জন্য চিন্তিত থাকে, এবং একই সময় উচ্চ বেতন দাবী করে। “দাস” নামটি সকল মানুষের জন্য প্রযােজ্য; কারণ আমরা সবাই দাস, আর আমরা কোন ছাঁচ দ্বারা গঠিত তা দেখা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে। এই ছাঁচ কি অবিশ্বস্ততার, না-কি বিশ্বস্ততার?MYPBen 220.2

    সাধারণ ভাবে দাসদের প্রবণতা কি এমন হয় যে তারা যতটা অধিক সম্ভব ততটা করে? বরং তাদের মধ্যে সাধারণ প্রবণতা কি এই নয় যে কাজটি যতটা তাড়াতাড়ি করা যায়, যতটা সম্ভব সহজে করা যায়, এবং যত কম মূল্যে সর্বাধিক বেতন তারা অর্জন করতে পারে তারা তাই করে? ব্যাপারটি কখনও এমন হয় না যে পরিতােষিক যা-ই পাই না কেন কাজটি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে করব । যারা খ্রীষ্টের দাস হতে চায় তাদের প্রেরিত পৌলের করণীয় সেই আদেশটি ভুলে গেলে চলবে না, “দাসেরা, তােমরা যেমন খীষ্টের আজ্ঞাবহ, তেমনি ভয় ও কম্প সহকারে, তােমাদের অন্তঃকরণের সরলতায়, মাংস অনুযায়ী আপন আপন প্রভুদের আজ্ঞাবহ হও; মনুষ্যের তুষ্টিকরের ন্যায় চাক্ষুষ সেবা না করিয়া, বরং খ্রীষ্টের দাসের ন্যায় প্রাণের সহিত ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করিতেছ বলিয়া, মনুষ্যের সেবা নয়, বরং প্রভুরই সেবা করিতেছ বলিয়া, প্রণয় ভাবেই দাস্যকর্ম কর; জানিও, কোন সৎকর্ম করিলে প্রত্যেক ব্যক্তি, সে দাস হউক কি স্বাধীন হউক, প্রভু হইতে তাহার ফল পাইবে।” ইফিষীয় ৬:৫-৮।MYPBen 221.1

    যারা “চক্ষুর-সেবক হিসেবে কাজে প্রবেশ করে, তারা মানুষ এবং ঈশ্বরের দূতদের অনুসন্ধানে কাছে তাদের কাজ দ্বারা উতরে যেতে পারবে না। কোন কাজে কৃতকার্য হওয়ার জন্য যে বিষয়টি একান্ত প্রয়ােজন তা হল খ্রীষ্ট সম্পর্কিত জ্ঞান; কারণ এই জ্ঞানই আপনাকে কোনটি ঠিক সেই বিষয়ে সুস্থ নীতিমালা দান করবে, মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা দান করবে, নিঃস্বার্থ মনােভাব দান করবে, যেভাবে আমরা আমাদের ত্রাণকর্তাকে সেবা করতে পারি। আমরা যেখানে থাকি না কেন, তা হতে পারে আমাদের রান্নঘরে, কোন কর্মশালায়, কোন প্রকাশনা অফিসে, কোন স্বাস্থ্য নিবাসে, মহাবিদ্যালয়ে, অথবা প্রভুর দ্রাক্ষাক্ষেত্রের যেখানেই আমাদের অবস্থান হউক না কেন, আমাদের সমস্ত কাজ বিশ্বস্ততা, অর্থনীতি, যত্নবান হওন, এবং পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিচার বিশ্লেষণ দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হওয়া প্রয়ােজন। “যে অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত, সে অধিক বিষয়েও বিশ্বস্ত: এবং যে অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত নয়, সে অধিক বিষয়েও বিশ্বস্ত নয়।” রিভিউ অ্যান্ড হেরাল্ড, সেপ্টেম্বর ২২, ১৮৯১।MYPBen 221.2