ক্রুশে-বিদ্ধ ত্রাণকর্তা খ্রীষ্টের অনন্তজীবন দান করিবার শক্তি আছে, জগতের লোকদিগকে তাহা জানাইয়া দিতে হইবে । তাহাদিগকে দেখাইয়া দিতে হইবে যে, প্রকাশিত শক্তিতে নূতন নিয়ম যেমন সুসমাচার, নিদর্শনে ও ছায়ার পুরাতন নিয়মও ঠিক্ সেই একই সুসমাচার । নূতন নিয়মে কোন নূতন ধর্ম্মের বিষয় নাই, পুরাতন নিয়মেও এমন কোন ধর্ম্মের উল্লেখ নাই, যাহা নুতঙ্কে বাতিল করিয়া দেয় । নূতন বিষয়, পুরাতন নিয়মের উন্নতি ও প্রকাশ মাত্র । CCh 290.1
হেবল খ্রীষ্টে বিশ্বাসী ছিলেন ; পিতর ও পৌল যেমন, তিনিও ঠিক্ তেমনি, খ্রীষ্টের শক্তিতে মুক্তি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । প্রিয় শিষ্য যোহন যেমন, হনোকও ঠিক্ তেমনি, খ্রীষ্টের এক জন প্রতিনিধি ছিলেন । হনোক ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিতেন এবং তিনি আর রহিলেন না, কারণ ঈশ্বর তাঁহাকে লোকান্তরে লইয়া গেলেন । তাঁহারই নিকট খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন বার্ত্তা দত্ত হইয়াছিল । “আর আদম অবধি সপ্তম পুরুষ যে হনোক, তিনিও এই লোকদের উদ্দেশে এই ভাববাণী বলিয়াছেন, দেখ, প্রভু আপন অযুত অযুত পবিত্র লোকের সহিত আসিলেন, যেন সকলের বিচার করেন ।” (যিহূদা ১৪ পদ ।) হনোক কর্ত্তক প্রচারিত বার্ত্তাটী ও তাঁহার রুপান্তরগ্রহণ এবং স্বর্গারোহণ তৎকালীন লোকদের নিকট একটী নিঃসন্দিগ্ন আলোচ্য বিষয় ছিল । এই বিষয়গুলি এমন একটী আলোচ্য বিষয় ছিল যে, মথূশেলহ এবং নোহও সপরাক্রমে দেখাইতে পারিতেন যে, যাহারা ধার্ম্মিক তাহারা রূপান্তরিত হইয়া স্বর্গারোহণ করিবে । CCh 290.2
যে ঈশ্বর হনোকের সহিত গমনাগমন করিতেন, তিনি ছিলেন, আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্ট । তিনি এক্ষণে যেমন, তৎকালেও তেমনি জগতের দীপ্তি ছিলেন । জীবনের পথের বিষয় শিক্ষাদানার্থে তৎকালীন লোকেরা শিক্ষক বিহীন ছিল না ; কারণ নোহ ও হনোক খ্রীষ্টীয়ান ছিলেন । লেবীয় পুস্তকে সুসমাচার দত্ত হইয়াছে বিধি ব্যবস্থা দ্বারা । তৎকালে যেমন, এখনও তেমনি নিঃসন্দিগ্নরূপে উহা পালনীয় । এই বাক্যের গুরুত্ব উপলব্দি করা আমাদের পক্ষে কত আবশ্যক ! CCh 290.3
জিজ্ঞাসা করা হইয়া থাকে : — মণ্ডলীর আধ্যাত্মিক অবস্থা এত হীন কেন ? উত্তর এই: — “আমরা আমাদের মনকে ঈশ্বরের বাক্য হইতে দূরে সরিয়া যাইতে দেই । দেহের জন্য যেমন খাদ্য, আত্মার জন্য তেমনি যদি ঈশ্বরের বাক্য ভক্ষণ করা হইত, যদি ইহার আদর ও সম্মান করা হইত, তাহা হইলে পুনঃ পুনঃ এত অধিক সাক্ষ্যকলাপের কোনই প্রয়োজন হইত না । শাস্রের সরল উক্তিগুলিই সাদরে গৃহীত ও পালিত হইত ।156T 392, 393. CCh 291.1