জাগতিক কার্য্য-নির্ব্বাহে অনেকেই অনিপুণ । তাহাদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নাই বলিয়াই শয়তান সুযোগ লইয়া থাকে । যাহাদের এইরূপ অবস্থা, কার্য্যভার সম্বন্ধে তাহাদের অজ্ঞ থাকা বিধেয় নহে । তাহারা যে ভ্রাতৃগণের বিচারে আস্থা রাখিতে পারে, পরিকল্পনানুযায়ী কার্য্য করিবার পূর্ব্বে, সেই ভ্রাতৃগণের পরামর্শ নতশিরে গ্রহণ করা কর্ত্তব্য । এই পদটীর দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হইল, যথাঃ- “তোমরা পরস্পর একজন অন্যের ভার বহন কর ।” (গালাতীয় ৬:২) । অনেকে আছে, যে পর্য্যন্ত না তাহারা নিজেদের মতলব অনুযায়ী চলিয়া বিপন্ন হইয়া পরে, তাবৎ তাহারা মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী পরামর্শ দাতাগণের পরামর্শ গ্রহণ করিতে নতি স্বীকার করে না । কিন্তু অসুবিধার মধ্যে পড়িলে, তখনি তাহারা তাহাদের ভ্রাতৃগণের পরামর্শের ও ন্যায্য বিচারের আবশ্যকতা দেখিতে পায় ; কিন্তু প্রথমাবস্থায় যেরূপ ছিল, এখন তাহা অপেক্ষা অবস্থা কত সঙ্গীন ও বোঝা ভারী হইয়া পড়িল । যদি এড়ান সম্ভব হয়, তবে ভ্রাতৃগণের কখনই আইনের আশ্রয়ে যাওয়া উচিত নহে ; কারণ এইরুপে তাহারা নিজেদিগকে ফাঁদে ফেলিবার ও বিপন্ন করিবার নিমিত্ত শত্রুকে মহা সুযোগ দান করে । এজন্য কতকটা ক্ষতি স্বীকার করিয়াও বরং আপোষ নিষ্পত্তি করা বিধেয় । CCh 296.1
আমি দেখিতে পাইলাম যে, অবিশ্বাসীগণের জামিন হওয়ার নিমিত্ত ঈশ্বর আমাদের ভ্রাতৃগণের উপরে বড়ই অসন্তুষ্ট । নিম্নলিখিত পদগুলির প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হইলঃ-“যাহারা হস্তে তালি দেয় ও ঋণের জামিন হয়, তাহাদের মধ্যে তুমি একজন হইও না ।” ( হিতোপদেশ ২২:২৬ ) । “যে অপরের জামিন হয়, সে নিশ্চয় ক্লেশ পায় ; কিন্তু যে জামিনের কর্ম্ম ঘৃণা করে, সে নিরাপদ ।” ( হিতোপদেশ ১১:১৫ ) । তাহারা অবিশ্বস্ত দেওয়ান ! যাহা অন্যের, তাহাদের স্বর্গীয় পিতার,-তৎসম্বন্ধে তাহারা প্রতিজ্ঞা করে ; এবং শয়তান ইহা তাহাদের হস্ত হইতে ছিনাইয়া লইবার জন্য তাহার সন্তান-সন্ততিগণকে সাহায্য করিতে প্রস্তুত থাকে । অবিশ্বাসিগণের সহিত অংশীদার হওয়া শাব্বাথপালনকারিগণের কর্ত্তব্য নহে । ঈশ্বরের লোকেরা অপরিচিত লোকদের কথায় অতিমাত্র বিশ্বাস করে ও তাহাদের পরামর্শ ও উপদেশ গ্রহণ করে; কিন্তু এরুপ করা আদৌ কর্ত্তব্য নহে । ঈশ্বরের লোকদিগকে বিপন্ন করিবার নিমিত্ত শত্রু তাহাদিগকে তাহার প্রতিনিধি হিসাবে ব্যবহার করে ও তাহাদের মধ্য দিয়া কার্য্য করে ।71T 200, 201. CCh 296.2