ধর্ম্মমূলনীতিতে বিশ্বাস কত প্রগাঢ় তাহা পরীক্ষা করিয়া দেখিবার সময় যখন উপস্থিত হয়, তখন প্রত্যেক খ্রীষ্টীয়ানের কি করা কর্ত্তব্য ? অনুকরণ যোগ্য দৃঢ়তা সহকারে ও সরলভাবে তাহার বলা কর্ত্তব্য, “আমি একজন ধর্ম্মভিরু খ্রীষ্টীয়ান, সপ্তাহের সপ্তমদিনকে বাইবেল অনুযায়ী বিশ্রামদিন বলিয়া বিশ্বাস করি। আমাদের বিশ্বাস ও মূলনীতি গুলি পরস্পর বিপরীত দিকে চলে। আমরা একত্রে বাস করিয়া সুখী হইতে পারি না, কারন আমি যদি ঈশ্বরের ইচ্ছার অধিকতর পূর্ণ জ্ঞান লাভ করিতে প্রয়াস পাই, তবে আমি জগতের কাছে উত্তরোত্তর বিসদৃশ হইব এবং সর্ব বিষয়ে খ্রীষ্টের সদৃশ হইয়া উঠিব। তুমি যদি খ্রীষ্টে কোন কমনীয়তা , সত্যে কোন আকর্ষণ ক্রমাগত দেখিতে না পাও, তবে তুমি জগৎকে প্রেম করিবে, যাহাকে আমি প্রেম করিতে পারি না। আবার আমি যখন ঈশ্বরের বিষয় সমূহকে ভালবাসিব, তুমি সেগুলি ভালবাসিতে পারিবে না। আধ্যাত্মিক বিষয় সমূহকে আধ্যাত্মিক ভাবে বিচার করা হয়। আমার উপরে ঈশ্বরের যে সকল দাবী-দাওয়া আছে, আধ্যাত্মিক দৃষ্টি ভিন্ন তুমি তাহা দেখিতে পাইবে না, অথবা আমি যে গুরুর সেবা করি, তাহার প্রতি আমার যে বাদ্ধবাধকতা আছে, তাহা তুমি বুঝিতে পারিবে না ; অতএব তুমি মনে করিবে যে ধর্ম্মকর্ম্মের জন্য আমি তোমাকে উপেক্ষা করি । আর ইহাতে তুমি সুখি হইতে পারিবে না ; আমি ঈশ্বরের প্রতি যে অনুরাগ প্রদর্শন করি, তাহা দেখিয়া তোমার ঈর্ষ্যা হইবে, তাহাতে আমার ধর্ম্ম-বিশ্বাসে আমার একার-ই পড়িয়া থাকিতে হইবে। তোমার মতের যখন পরিবর্ত্তন হইবে, ঈশ্বরের দাবিদাওয়ার প্রতি যখন তুমি মনোনিবেশ করিবে, এবং আমার ত্রানকর্ত্তাকে প্রেম করিতে শিখিবে, তখন আমাদের সম্বন্ধ নূতন ভাবে স্থাপিত হইতে পারে। CCh 348.2
বিশ্বাসী তাহার বিবেকের প্রেরণা অনুযায়ী খ্রীষ্টের নিমিত্ত এইরুপে এক ত্যাগ স্বীকার করে ; আর এতদ্দ্বার সে দেখায় যে, অনন্ত জীবন হারান অপেক্ষা, উহা লাভ করা তাহার পক্ষে অনেক মূল্যবান। সে মনে করে যে, যে ব্যক্তি যীশু অপেক্ষা জগতৎকে অধিক পছন্দ করে এবং যে কেহ খ্রীষ্টের ক্রুশ হইতে তাহাকে দূরে সরাইয়া লইয়া যাইবে, সারা জীবনের তরে তাহার সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া অপেক্ষা, বরং তাহার অবিবাহিত থাকাই ভাল হইবে। CCh 349.1