কথাবার্ত্তায় খ্রীষ্টীয়ানের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা কর্ত্তব্য। অপ্রিয় কোন সংবাদ কোন বন্ধুর নিকট হইতে কস্মিঙ্কালেও অপরের নিকটে প্রকাশ করা কর্ত্তব্য নহে; বিশেষত; যদি জানা থাকে যে, তাহাদের পরস্পরের মধ্যে মিল নাই। এই বন্ধুটীর বিষয় কিংবা ঐ ব্যাপারটীর বিষয় — তুমি যখন ভালরূপে জান, কিন্তু অন্যে ইহার কিছুই জানে না, তখন ইহার সম্বন্ধে সঙ্কেতে কিছু বলা বা ইঙ্গিতে উল্লেখ করা নিষ্ঠুরতার কার্য্য। এইরূপ ইঙ্গিত সুদূর প্রসারী; এবং ঘটনাটী অতিরঞ্জিত না করিয়া সরলভাবে বর্ণনা করিলে মনে যে মধুর ছবি অঙ্কিত হইত, এইরূপ ইঙ্গিতের ফলে তদপেক্ষা অধিকতর অপ্রিয় মনোভাবের সৃষ্টি হইয়া থাকে। এই সকল বিষয়ের দ্বারা খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর কী ক্ষতিই না সহ্য করিতে হইয়াছে। মণ্ডলীর সভ্যগণের অসঙ্গত ও অসতর্ক জীবন যাপনের ফলে মণ্ডলী জলের ন্যায় দুর্ব্বল হইয়া পড়িয়াছে। একই মণ্ডলীর সভ্যগণের মধ্য হইতে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস লপ পাইয়া গিয়াছে, তথাপি অপরাধী ব্যক্তি কোন ক্ষতি করিতে সঙ্কল্প করে নাই। কথাবার্ত্তার বিসয়-মনোনয়নে জ্ঞানের অভাব প্রযুক্ত বহু অনিষ্ট সাধিত হইতেছে। CCh 441.1
আধ্যাত্মিক ও ঐশ্বরিক বিষয় সমূহ লইয়া কথাবার্ত্তা বলা উচিৎ; কিন্তু বর্ত্তমানে ইহা বিপরীত চলিতেছে। পরস্পরের সহিত মেলামেশায় খ্রীষ্টীয়ান বন্ধুগণ যদি তাহাদের সময়টুকু প্রধানতঃ মনের ও হৃদয়ের উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্ত যাপন করেন, তবে পরিণামে কোন অনুশোচনা আসিবেনা; আর তাঁহারা সুমধুর তৃপ্তি সহকারে তাঁহাদের সাক্ষাতের বিষয় পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিতে পারেন। কিন্তু ঐ মুহুর্ত্তগুলি যদি ছ্যাবলামিতে ও অসার গল্পগুজবে ব্যয় করা হয়, এবং ঐ অমূল্য সহয় যদি অন্যর চরিত্র ও জীবন বিশ্লেষণে ক্ষেপণ করা হয়, তবে ঐ বন্ধু-সংসর্গ মন্দের আদিকারণ হইয়া দাঁড়াইবে এবং আপনার প্রভাব মৃত্যু হইতে মৃতু পর্য্যন্ত গন্ধ বিস্তার করিবে।12T 186, 187; CCh 441.2