আমরা পরিণামের নিকটবর্ত্তী । আমাকে দেখান হইয়াছে যে, দেশে ইতঃপূর্ব্বেই প্রতিশোধাত্নক বিচার আরম্ভ হইয়াছে । যে সকল ঘটনা ঘটিতে উদ্যত, সদাপ্রভু আমাদিগকে তৎসম্পর্কে চেতনা দান করি- য়াছেন । তদীয় বাক্য হইতে জ্যোতি বিকীর্ণ হইতেছে ; তথাপি অন্ধকার জগৎকে, ঘোর তিমির লোকদিগকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছে । “যখন তাহারা বলে শান্তি ও অভয়, তখনই তাহাদের নিকট আকস্মিক বিনাশ উপস্থিত হয়………আর তাহারা কোন ক্রমে এড়াইতে পারিবে না । 65T 99; CCh 651.2
সদাপ্রভু পৃথিবী হইতে তাঁহার প্রতিবন্ধকতা অপসারিত করিতেছেন, শীঘ্রই জগতে মৃত্যু ও বিনাশ, পাপের প্রাবল্য ও নিষ্ঠুরতা এবং যে সকল ধনবান ও দরিদ্রদিগের বিরুদ্ধে নিজেদিগকে উন্নত করিয়াছে, তাহাদের বিরুদ্ধে মন্দকার্য্য চলিতে থাকিবে । যাহারা ঈশ্বরের সংরক্ষণের বাহিরে, তাহারা কোন স্থানে বা কোন অবস্থায় নিরাপদ থকিতে পারিবে না । হত ও আহত করণার্থে মানবীয় প্রতিনিধিগণকে সুশিক্ষিত করা হইতেছে এবং তাহাদের আবিষ্কারক শক্তিকে মহাশক্তিশালী যন্ত্রে খাটান যাইতেছে । 78T 50; CCh 652.1
দেশে ঈশ্বরের দণ্ড আসিয়া পড়িয়াছে । যুদ্ধ ও যুদ্ধের জনরব, অগ্নিকাণ্ড ও প্লাবন দ্বারা বিনাশ সুস্পষ্টরূপে বলিয়া দিতেছে যে, সঙ্কটকাল যাহা শেষকাল পর্য্যন্ত ক্রমাগত বাড়িয়াই চলিবে, তাহা একেবারে সন্নিকট । CCh 652.2
শীঘ্রই জাতিগণের মধ্যে ভয়াবহ সঙ্কট উপস্থিত হইবে ; — যীশু না আসা পর্য্যন্ত এই সঙ্কট নির্বৃত্ত হইবে না । যিনি স্বর্গে আপন সিংহাসন স্থাপন করিয়াছেন এবং যাঁহার রাজ্য কর্তৃত্ব করে সমস্তের উপরে, তাঁহার সেবা এরূপ ঘনিষ্ঠ ভাবে করা আমাদের কর্ত্তব্য, যেরূপ আমরা পূর্ব্বে কখনও করি নাই । ঈশ্বর স্বীয় প্রজাবৃন্দকে ভুলিয়া যান নাই, এবং আমাদের শক্তি নির্ভর করে, তাঁহাকে বিসমৃত না হওয়ার উপর । 83TT 286. CCh 652.3