আমাদের এই জগতে, ত্রাণকর্ত্তার পুনরাগমনের আর অধিক বিলম্ব নাই— প্রত্যেক বার্ত্তার মৌলিক গৎ ইহাই হউক। CCh 663.3
ঈশ্বরের সংযতকারী-আত্মা এমন কি এখনই পৃথিবী হইতে প্রত্যাহার করা হইতেছে । প্রবল ঘুর্ণিবায়ু, মহাঝটিকা ও ঝড়বৃষ্টি, অগ্নি-কাণ্ড ও প্লাবন, সমুদ্রে ও স্থলে দুর্দ্দৈব,— একটার পর একটা, অতিদ্রুত সংঘটিত হইতেছে । বিজ্ঞান ইহার কারণ নির্ণয় করিবার চেষ্টা করিতেছে । আমাদের চতুর্দ্দিকে চিহ্নের পর চিহ্ন প্রতিফলিত হইয়া ঈশ্বরের পুত্রের আগমন সন্নিকট, এই সত্য ঘটনা জানাইয়া দিতেছে ভিন্ন আর কিছুই নহে । ঈশ্বরের দাসগণ যে পর্য্যন্ত না মুদ্রাঙ্কিত হন, তাবৎ প্রহরী দূতগণ চারিবায়ু কেন প্রবাহিত হইতে দিবেন না, তাহা লোকেরা বুঝিতে পারিবে না, কিন্তু ঈশ্বর যখন তাঁহার দূতগণকে চারি বায়ু ছাড়িয়া দিতে বলিবেন, তখন সংগ্রামের এমন এক বীভৎস দৃশ্য দেখা যাইবে, যাহা ভাষায় বর্ণনা করা দুঃসাধ্য । CCh 664.1
যবনিকা উত্তোলিত হইলে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্য বুঝা গেলে, এবং ধ্বংসোম্মুখ পৃথিবীর উপরে ঈশ্বরের দণ্ডাজ্ঞা পতিত হইতে উদ্যত ইহা জানা গেলে, নিজের অবস্থা দেখিতে পাইলে, আপনি আপনার নিজের ও আপনার সহমানবগণের আত্মার নিমিত্ত ভীত ও কম্পিত হইতেন । হৃদয়-বিদারক মনস্তাপের ব্যাকুল প্রার্থনা স্বর্গে উত্থিত হইত । আপনার আধ্যাত্মিক অন্ধতা ও ধর্ম্মভ্রষ্টতা স্বীকার করিয়া আপনি বারাণ্ডার ও বেদির মধ্যস্থানে রোদন করিতেন । 66T 406, 408; CCh 664.2