স্বর্গে ঈশ্বরই সর্ব্বে-সর্ব্বা । তথায় পবিত্রতার একচ্ছত্র কর্তৃত্ব ; ঈশ্বরের সহিত সিদ্ধ ঐক্যে বাঁধা দিতে পারে, তথায় এমন কোন প্রতিবন্ধকতাই নাই । আমরা যদি যথার্থই তথাকার যাত্রী হই, তবে এই পৃথিবীতেই আমাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের আত্মা বাস করিবেন । কিন্তু স্বর্গীয় বিষয়সমূহ অনুধ্যানে আমরা যদি এক্ষণে কোনই আনন্দ উপভোগ না করি, ঐশ্বরিক জ্ঞানান্বেষণে আমাদের যদি কোনই অনুরাগ না থাকে, খ্রীষ্টের মধুর স্বভাব সন্দর্শনে মন যদি আনন্দে উৎফুল্ল না হয়, আমাদের জন্য পবিত্রতার যদি কোন আকর্ষণই না থাকে, তবে আমরা আই বিষয়ে স্থির নিশ্চিত হইতে পারি যে, আমাদের স্বর্গের আশা একেবারেই বৃথা । CCh 667.2
খ্রীষ্টীয়ানের মনে অবিরত এই উচ্চ লক্ষ্য থাকা আবশ্যক যে, আমি সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের ইচ্ছানুযায়ী জিবন যাপন করিব । সে ঈশ্বরের বিষয়, যীশুর বিষয়, যাহারা খ্রীষ্টকে প্রেম করে, তাহাদের কথা বলিতে ভাল বাসিবে । মানব যখন ঈশ্বরের ধন্য আশায় উৎফুল্ল থাকিবে, তখন, এই সকল প্রসঙ্গের চিন্তাকে প্রেরিত পৌল “ভাবী যুগের নানা পরাক্রমের রসাস্বাদন” বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন । CCh 668.1
ঠিক্ আমাদেরই সম্মুখে মহান্ সংগ্রামের শেষ যুদ্ধ বাঁধিয়া যাইতে উদ্যত । এই সময়ে “মিথ্যার সমস্ত পরাক্রম অ নানা চিহ্ন অ অদ্ভুত লক্ষণ সহকারে......... এবং ......... অধার্স্মিকতার সমস্ত প্রতারণা সহকারে” শয়তান ঈশ্বরের স্বভাবের বিষয় মিথ্যা বর্ণনা দান করিবে, যেন যদি সম্ভব হয়, তবে সে এমন কি মনোনীতদিগকেও “ভুলাইতে” পারে । ঈশ্বর হইতে অবিরত দীপ্তির পর দীপ্তি প্রাপ্ত হওয়া কোন কালে কোন লোকদের যদি একান্ত আবশ্যক ছিল, তবে এখনই সেই লোকদের আবশ্যক যাহাদিগকে ঈশ্বর এই সঙ্কট-কালে তাঁহার পবিত্র ব্যবস্থার রক্ষক হিসাবে এবং জগতের সম্মুখে তাঁহার স্বভাব-প্রকাশ্যরূপে আহ্বান করিয়াছেন । যাহাদিগের হস্তে এই পবিত্র কার্য্যের ভার ন্যস্ত করা হইয়াছে, তাহারা যে সত্যগুলি বিশ্বাস করে বলিয়া স্বীকার করে, সেই সকল সত্যের দ্বারাই তাহাদের পবিত্র, উন্নত অ সঞ্জীবিত হইয়া আবশ্যক । 115T 745, 746; CCh 668.2