Go to full page →

মাতৃ-পিতৃহীনদের গৃহ MHBen 188

যদি মাতৃ-পিতৃহীন সন্তানদের নিমিত্ত পরিবারগুলোর মধ্যে গৃহের ব্যবস্থা করার জন্য করণীয় কাজ করা যেত, তারপরেও অনেকে থেকে যেত যাদের সেবা-যত্ন ও তত্ত্বাবধানের প্রয়োজনে। তাদের অনেকেই মন্দের একটা উত্তরাধিকার স্বরূপ হয়েছে। তারা সম্ভাবনাহীন অসুন্দর বিকৃত, কিন্তু তারা খ্রীষ্টের রক্তে কৃত, এবং তাঁর দৃষ্টিতে, তারা আমাদের নিজেদের ছোট সন্তান-সন্ততিদের তুল্য। যদি তাদের দিকে একখানি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া না হয়, তবে তারা মূর্খতা ও অজ্ঞানতার মধ্যে বেড়ে ওঠবে এবং জঘন্য অন্যায় এবং অপরাধের মধ্যে পরিচালিত হবে। এই সব শিশুদের অনেকেই অনাথাশ্রমের কার্যের মাধ্যমে রক্ষা পাবে। MHBen 188.4

এরূপ প্রতিষ্ঠানগুলো হবে অতীব কার্যকর, একটা খ্রীষ্টান হোমের পরিকল্পনা অনুসারে এটা হবে সম্ভাব্য একটা আদর্শ অনাথাশ্রম। বিশাল স্থাপনা এক স্থানে বহুসংখ্যক শিশু জমা না করে বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ভাল হবে। বড় টাউনে না হয়ে পল্লী এলাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়োজন করলে চাষাবাদ ও বাগিচার জন্য কিছু জায়গা থাকলে, যেখানে ছেলেমেয়েদের প্রকৃতির কাছাকাছি আনা যাবে, এবং যেখানে তাদেরকে শ্রম-শিল্পে প্রশিক্ষণ দেয়া যাবে। এরূপ একটা অনাথাশ্রমের দায়িত্বশীল নরনারীরা হবেন উদার চিত্ত, সুশিক্ষিত, এবং আত্ম-ত্যাগী; যারা খ্রীষ্টের প্রেমে কর্মদায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং যারা তাঁর স্বার্থে ছোট ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দেবে। এরূপ তত্ত্বাবধানের অধীনে অনেক গৃহহীন এবং অবহেলিত শিশুরা সমাজের ব্যবহারিক সভ্য-সভ্যারূপে প্রস্তুত হতে পারে, খ্রীষ্টের নিকটে তারা স্বয়ং খ্রীষ্টের নিকটে সমাদরের পাত্র হতে পারে এবং বিনিময়ে অন্যদেরও সাহায্য করতে পারে। MHBen 189.1