প্রকৃতি ঈশ্বরের সৃষ্ট বস্তু, স্বয়ং ঈশ্বর না। প্রকৃতির বস্রু সকল ঈশ্বরের চরিত্র এবং শক্তির একটা প্রকাশ মাত্র; তবে আমরা প্রকৃতিকে ঈশ্বর হিসেবে দেখব না। মনুষ্যের শৈল্পিক দক্ষতা অতি সৌন্দর্যে ভরপুর বস্তু ক্সতরী করতে সক্ষম, যা চক্ষুর চমক লাগায়, এবং ঐ সকল বস্তু আমাদের কাছে ওর রূপকারের কথা ভাবায়; কিন্তু ঐ নির্মিত বস্তুটাই ওর নির্মাতা না। সৃষ্ট বস্তু না বরং ওর স্রষ্টাই মর্যাদা পাবার যোগ্য। তাই যেহেতু প্রকৃতি ঈশ্বরের ভাবনাগুলোর একটা বহির্প্রকাশ, সেহেতু সকল মহিমা সেই প্রকৃতির ঈশ্বরের, প্রকৃতির না। MHBen 389.2
“আইস আমরা প্রণিপাত করি, প্রণত হই,
আমাদের নির্মাতা সদাপ্রভুর সাক্ষাতে জানু পাতি।” MHBen 389.3
(গীত ৯৫:৬)।
“পৃথিবীর গভীর স্থান সকল তাঁহার হস্তগত,
পর্বতগণের চূড়া সকলও তাঁহারই।
সমুদ্র তাঁহার, তিনিই তা নির্মাণ করিয়াছেন,
তাঁহারই হস্ত শুষ্কভূমি গঠন করিয়াছে। MHBen 389.4
(গীত ৯৫:৪, ৫) ।
“তাঁহার অন্বেষণ কর, যিনি কৃত্তিকা ও মৃগশীর্ষ নির্মাণ করিয়াছেন,
যিনি মৃত্যুছায়াকে প্রভাতে পরিণত করেন,
যিনি দিনকে রাত্রির ন্যায় অন্ধকারময় করেন।” MHBen 389.5
(আমোষ ৫:৮)।
“তিনি পর্বতগণের নির্মাতা ও বায়ুর সৃষ্টিকর্তা;
তিনি মানুষের নিকটে তাঁহার চিন্তাপ্রকাশ করেন।” MHBen 390.1
(আমোষ ৪:১৩)।
“তিনি আকাশে আপন উচ্চ কক্ষ সকল নির্মাণ করিয়াছেন,
পৃথিবীর ঊর্দ্ধে আপন চন্দ্রাতপ
স্থাপন করিয়াছেন।” MHBen 390.2
(আমোষ ৯:৬)।
“তিনি সমুদ্রের জলসমূহকে ডাকিয়া স্থলের উপরে
স্থলের উপরে ঢালিয়া দেন; সদাপ্রভু তাঁহার নাম।” MHBen 390.3
(আমোষ ৯:৬)।