Go to full page →

শিষ্যদের কাছে প্রকাশিত MHBen 397

আসুন আমরা ক্রুশারোপণের পূর্বের রাত্রিতে ওপরের কুঠরীতে কথিত খ্রীষ্টের বাক্য অধ্যয়ন করি। তিনি তাঁর পরীক্ষা এবং বিচারের মুহূর্তের নিকটবর্তী হ‪চ্ছিলেন, এবং তিনি তাঁর শিষ্যদের সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করছিলেন, যারা সা‫ঘাতিকভাবে পরীক্ষিত ও বিচারিত হবেন। ‬ MHBen 397.3

“তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক,” তিনি বললেন- ” তোমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস কর, আমাতেও বিশ্বাস কর। আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে; যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম। আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাই।... MHBen 397.4

” থোমা তাঁহাকে বলিলেন, প্রভু, আপনি কোথায় যাইতেছেন, তাহা আমরা জানি না, পথ কিসে জানিব? যীশু তাহাকে বলিলেন, আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না। যদি তোমরা আমাকে জানিতে, তবে পিতাকেও জানিতে, এখন অবধি তাঁহাকে জানিতেছ এবং দেখিয়াছ।...” MHBen 397.5

“প্রভু, পিতাকে আমাদের দেখাউন, তাহাই আমাদের যথেষ্ট। যীশু তাহাকে বলিলেন, ফিলিপ, এতদিন আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি, তথাপি তুমি আমাকে কি জান না? যে আমাকে দেখিয়াছে, সে পিতাকে দেখিয়াছে; তুমি কেমন করিয়া বলিতেছ, পিতাকে আমাদের দেখাউন? তুমি কি বিশ্বাস কর না যে, আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমাতে আছেন? আমি তোমাদের যে সকল কথা বলি, তা আপনা হইতে বলি না, কিন্তু পিতা আমাতে থাকিয়া আপনার কার্য্য সকল সাধন করেন।”(যোহন ১৪:১-১০)। MHBen 397.6

শিষ্যরা তখনো ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কি তা বুঝে উঠতে পারে না। তাঁর অধিকাংশ শিক্ষা অন্ধকারেই রয়ে গিয়েছিল। খ্রীষ্ট চেয়েছিলেন যেন ঈশ্বর সম্পর্কে তাদের একটা পরিষ্কার ধারণা থাকে। “আমি উপমা দ্বারা এই সব বিষয় তোমাদিগকে বলিলাম, এমন সময় আসিতেছে, যখন তোমাদিগকে আর উপমা দিয়া বলিব না, কিন্তু স্পষ্টরূপে পিতার বিষয় জানাইব।”(যোহন ১৬:২৫)। MHBen 398.1

পঞ্চাশত্তমির দিনে যখন, শিষ্যদের ওপর পবিত্র আত্মার বর্ষণ হলো, তখন তারা আরও পূর্ণরূপে, দৃষ্টান্তের মাধ্যমে খ্রীষ্টের কথিত সত্য বুঝতে পেরেছিল। যে সব শিক্ষা তাদের কাছে একটা রহস্য স্বরূপ ছিল তা এখন পরিষ্কার হয়ে দেখা দিল। কিন্তু তখনও শিষ্যরা সম্পুর্ণরূপে খ্রীষ্টের প্রতিজ্ঞার পূর্ণতা লাভ করতে পারেনি। তারা ঈশ্বর সম্পর্কে সকল জ্ঞান লাভ করেছিল যা তারা সহ্য করতে পারবে, কিন্তু প্রতিজ্ঞার সব পূর্ণতা যা খ্রীষ্ট পিতার সম্পর্কে দেখিয়েছিলেন তা সম্মুখে রয়ে গেছে। অদ্যও ঐরূপ। ঈশ্বর সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান আংশিক এবং অসম্পূর্ণ। যখন বিবাদ সমাপ্ত হবে, এবং মানব খ্রীষ্ট যীশু ও তাঁর পিতার সম্মুখে তার বিশ্বস্ত কার্যকারীদের স্বীকৃতি দান করবেন, যারা একটা পাপময় বিশ্বে তার পক্ষে সত্য সাক্ষ্য বহন করেছেন, তারা পরিষ্কার রূপে বুঝতে পারবে এখন তাদের নিকটে কি রহস্য রয়েছে। MHBen 398.2

খ্রীষ্ট তাঁর সঙ্গে স্বর্গীয় বিচারালয়ে তাঁর মহিমান্বিত মানবত্ব নিয়ে নিয়েছেন। যারা তাঁকে গ্রহণ করে তাদের তিনি ঈশ্বরের সন্তান-সন্ততি হবার ক্ষমতা প্রদান করেন, যেন অবশেষে ঈশ্বর তাঁর আপনার বলে গ্রহণ করেন, যেন তারা যুগ যুগ ব্যাপি তাঁর সঙ্গে বসবাস করতে পারে। যদি এই জীবনে তারা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত হয় তবে তারা অবশেষে “তাঁর মুখ দর্শন করিবে; এবং তাঁর নাম তাহাদের ললাটে থাকিবে।”(প্রকা ২২:৪) স্বর্গে ঈশ্বরের মুখ দর্শন ছাড়া আর কি সুখের বিষয় হতে পারে? খ্রীষ্টের অনুগ্রহে ঈশ্বরের মুখের প্রতি দৃষ্টিপাত করা ব্যতিরেকে মহত্ত্বর আর কি হতে পারে? MHBen 398.3