Go to full page →

ঐশ্বরিক নিগূঢ় রহস্যের অন্বেষণ: MHBen 407

“নিগূঢ় বিষয় সকল আমাদের ঈশ্বর-সদাপ্রভুর অধিকার; কিন্তু প্রকাশিত বিষয় সকল আমাদের ও যুগে যুগে আমাদের সন্তানদের অধিকার।”(দ্বিতীয় বিবরণ ২৯:২৯), ঈশ্বর তাঁর নিজের সম্পর্কে যে প্রকাশ প্রাপ্তি যা তিনি তাঁর বাক্যের মধ্যে প্রদান করেন, তা আমাদের অধ্যয়নের বিষয়। আমরা তা বুঝবার নিমিত্ত অন্বেষণ করতে পারি। কিন্তু তার বাইরে যা রয়েছে, তা আমাদের ধ্যানের বিষয় নয়। সর্বো‪চ্চ বুদ্ধি ‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬ প্রয়োগ করে ক্লান্ত, ব্যর্থ হতে হবে কিন্তু ঈশ্বরের প্রকৃতি অনুমান করা সম্ভব হবে না। এই সমস্যা আমাদের নিষ্পত্তি করার বিষয় নয়। কোন মানব মন ঈশ্বরকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে না। কেউই ঈশ-প্রকৃতি কল্পনা করতে পারে না। এখানে নীরবতাই একমাত্র ভাষা। অসীম জ্ঞানী ব্যক্তিই আলোচনার ঊর্ধ্বে। MHBen 407.4

এমনকি পরিত্রাণ পরিকল্পনা স্থাপনের সময়েও দূতগণকে পরামর্শ সভায় অংশগ্রহণে অনুমতি প্রদান করা হয় নি। আর মানবজাতি পরাৎপরের নিগূঢ় রহস্যের মধ্যে অনাহূত ছিল। ছোট শিশুরা যেমন ঈশ্বর সম্পর্কে অজ্ঞ, তদ্রূপ আমরাও অজ্ঞ, কিন্তু ছোট শিশুরা যেমন, আমরাও তদ্রূপ ঈশ্বরকে প্রেম করতে ও তাঁর আজ্ঞাবহ হতে পারি। তাঁর প্রকৃতি সম্পর্কে কল্পনা না করে চল্ আমরা তার কথিত বাক্যের প্রতি মনোযোগ প্রদান করি- MHBen 408.1

“তুমি কি অনুসন্ধান দ্বারা ঈশ্বরকে পাইতে পার?
সর্বশক্তিমানের সম্পূর্ণ তত্ত পাইতে পার?
সেই তত্ত গগণবৎ উ‪চ্চ; তুমি কি করিতে পার?
‬‬‬‬ পাতাল অপেক্ষাও অগাধ; তুমি কি জানিতে পার?
পৃথিবী হইতেও তাহার পরিমাণ দীর্ঘ,
সমুদ্র হইতেও তাহার পরিসর অধিক।” MHBen 408.2

- (ইয়োব ১১:৭-৯)।

“কিন্তু প্রজ্ঞা কোথায় পাওয়া যায়?
সুবিবেচনার স্থানই বা কোথায়?
মনুষ্য তাহার মূল্য জানে না,
জীবিতদের দেশে তাহা পাওয়া যায় না।
জলধি বলে, তাহা আমাতে নাই;
সমুদ্র বলে, তা আমার কাছে নাই।
তাহা উত্তম সুবর্ণ দ্বারাও প্রাপ্ত হওয়া যায় না,
তাহার মূল্য বলিয়া রৌপ্যও তৌল করা যায় না।
ওফীরের সুবর্ণ তাহার সমতুল্য নয়
বহুমূল্য গোমেদক ও নীলকান্তমণিও নয়। স্বর্ণ ও কাচ তাহার সমান হইতে পারে না,
তাহার পরিবর্তে কাঞ্চনের পাত্র দত্ত হইবে না।
তাহার কাছে প্রবাল ও স্ফটিকের নাম করা যায় না
পদ্মরাগমণির মূল্য অপেক্ষাও প্রজ্ঞার মূল্য অধিক
কুশদেশীয় পীতমণিও তাহার সমান নয়;
নির্মল সুবর্ণও তাহার সমতুল্য হয় না।
অতএব প্রজ্ঞা কোথা হইতে আইসে?
সুবিবেচনার স্থানই বা কোথায়?...।”

MHBen 408.3

“বিনাশ ও মৃত্যু বলে,
আমরা স্বকর্ণে তাহার কীর্তি শুনিয়াছি।
ঈশ্বরই তাহার পথ জানেন;
তিনিই তাহার স্থান জ্ঞাত আছেন।”

” কেননা তিনি পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্তদেখেন
সমস্ত আকাশমণ্ডলের অধঃস্থানে তাঁহার দৃষ্টি যায়।...
তিনি যখন বায়ুর গুরুত্ব নিরূপণ করিলেন
যখন পরিমাণ দ্বারা জল পরিমিত করিলেন;
যখন তিনি বৃষ্টির নিয়ম নিরূপণ করিলেন,
বিদ্যুৎ ও মেঘগর্জনের পথ স্থির করিলেন,
তখন প্রজ্ঞাকে দেখিলেন ও প্রচার করিলেন,
তাহা স্থাপন করিলেন, তাহার সন্ধানও করিলেন;
আর তিনি মনুষ্যকে বলিলেন, দেখ, প্রভুর ভয় প্রজ্ঞা,
দুষ্ক্রিয়া হইতে সরিয়া যাওয়াই সুবিবেচনা।” MHBen 409.1

- (ইয়োব ২৮:১২-২৮)।

পৃথিবীর কোণে অন্বেষণ করে অথবা ঈশ্বরের সত্ত্বার গূঢ় রহস্যের মধ্যে প্রবেশ করে জ্ঞান পাওয়া যাবে না। বরং নম্রভাবে তাঁর আনন্দিত মনে প্রদত্ত প্রকাশ প্রাপ্তি গ্রহণ এবং আমাদের জীবন তাঁর ই‪ছায় সমর্পণের দ্বারা তা পাওয়া যায়।‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬ MHBen 409.2