Go to full page →

প্রকৃতির রহস্যঃ MHBen 410

সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিরাও প্রকৃতির মাঝে প্রকাশিত যিহোবাকে বুঝতে পারে না। ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণা অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে জ্ঞানের সাগর ঐ সবের উত্তর দিতে পারে না। আমাদের উত্তর দেবার জন্য ঐ সব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয় নি, কিন্তু ঈশ্বরের গভীর রহস্যের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের জন্য এবং আমাদেরকে শিক্ষা দেবার নিমিত্ত যে আমাদের জ্ঞান সীমিত; এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চারদিকে অনেক কিছু রয়েছে, যা সসীম সত্ত্বাগণের বোধের অগম্য। MHBen 410.1

নাস্তিক এবং সন্দেহবাদী ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে চায় না, কেননা তারা অসীম বুঝতে পারে না যদ্বারা তিনি আপনাকে প্রকাশ করেন। কিন্তু ঈশ্বর যা থেকে নিজেকে প্রকাশ করেন না, তা থেকে নয়, কিন্তু আমাদের সীমিত জ্ঞানের নিকটে যা প্রকাশ করেছেন, তা থেকেই তাঁকে বুঝতে হবে। ঐশ্বরিক প্রকাশ এবং প্রকৃতির মাঝে, ঈশ্বর নিগূঢ় রহস্য রেখেছেন আমাদের বিশ্বাসকে নির্দেশ বা আদেশ করার জন্য। এটা ঐরূপ হতেই হবে। আমরা অন্বেষণ করি যার প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি যা চিরদিন শিক্ষা লাভ করি, তথাপি এর পেছনে একটা অসীমত্ত্ব থেকেই যায়- MHBen 410.2

“কে আপন করতলে জলরাশি মাপিয়াছে,
বিঘত দিয়া আকাশমণ্ডলপরিমাণ করিয়াছে,
পৃথিবীর ধূলা পালিতে ভরিয়াছে,
পাল-াতে পর্বতগণকে, ও
নিক্তিতে উপপর্বতগণকে তৌল করিয়াছে?
কে সদাপ্রভুর আত্মার পরিমাণ করিয়াছে?
কিম্বা তাঁহার মন্ত্রী হইয়া তাঁহাকে শিক্ষা দিয়াছে?”...

“দেখ, জাতিগণ কলসের একটি জলবিন্দু তুল্য,
আর পাল্লাতে লগ্ন ধূমিকণার ন্যায় গণ্য:
দেখ, তিনি দ্বীপ সকলকে একটি পরামাণুর ন্যায় তুলেন।
আর জ্বাল দিবার নিমিত্তে লিবানোনে,
হোমবলির নিমিত্ত তাহার জন্ত সকলে কূলায় না।
তাহার সম্মুখে সমস্ত জাতি অবস্তবৎ,
তিনি তাহাদিগকে অসার ও শূন্য জ্ঞান করেন। “তবে তোমরা কাহার সহিত ঈশ্বরের তুলনা দিবে?
তার সদৃশ বলিয়া কি প্রকার মূর্তি উপস্থিত করিবে?...
তোমরা কি জ্ঞাত হও নাই? তোমরা কি শুন নাই?
আদি অবধি কি তোমাদিগকে সংবাদ দেওয়া হয় নাই?
পৃথিবীর পত্তনাবধি তোমরা কি বুঝ নাই?
তিনিই পৃথিবীর সীমাচক্রের উপরে উপবিষ্ট;
তন্নিবাসিগণ ফড়িঙ্গস্বরূপ; তিনি চন্দ্রাতপের ন্যায় আকাশমণ্ডলবিস্তার করেন,
বাসতাম্বুর ন্যায় তা টাঙ্গাইয়া দেন।...

“অতএব তোমরা কাহার সহিত আমার উপমা দিবে
যে আমি তাহার সদৃশ হইব?
ইহা পবিত্রতম কহেন।
ঊর্ধ্ব দিকে চক্ষু তুলিয়া দেখ,
ঐ সকলের সৃষ্টি কে করিয়াছে?
তিনি বাহিনীর ন্যায় সংখ্যানুসারে তাহাদিগকে বাহির করিয়া আনেন;
সকলের নাম ধরিয়া তাহাদিগকে আহ্বান করেন;
তাহার সামর্থ্যরে আধিক্য ও শক্তির প্রাবল্য প্রযুক্ত
তাহাদের একটাও অনুপস্থিত থাকে না।

“হে যাকোব, তুমি কেন কহিতেছ, হে ইস্রায়েল,
আমার পথ সদাপ্রভু হইতে লুক্কায়িত,
আমার বিচার আমার ঈশ্বর হইতে সরিয়াছে?
তুমি কি জ্ঞাত হও নাই?
তুমি কি শুন নাই?
অনাদি অনন্তঈশ্বর, সদাপ্রভু,
পৃথিবীর প্রান্ত সকলের সৃষ্টিকর্তা
ক্লান্ত হন না, শ্রান্ত হন না;
তাহার বুদ্ধির অনুসন্ধান করা যায় না।” MHBen 410.3

- (যিশা ৪০:১২-২৮)।