Go to full page →

তাঁর কাজে নিরুৎসাহ MHBen 113

অবশ্য চিকিৎসক যত দক্ষ ও বিশ্বস্ত হোন্ না কেন তার অভিজ্ঞতায় দৃশ্যমান নিরুৎসাহ ও পরাজয় থাকতে পারে। তার কাজে তিনি যে সফলতা দেখতে চান বস্তুতঃপক্ষে তা প্রায়ই সফল হয় না। রোগীদের অসুস্থতা দূর হতে পারে কিন্তু তাতে তাদের কিম্বা পৃথিবীর প্রকৃতপক্ষে কোন উপকার হয় না। অনেকে সুস্থতা লাভ করে কেবল সেই কাজেই লিপ্ত হতে থাকে যে কারণে তাদের এ রোগ হয়েছিল। আগের মত একই উদ্দীপনা নিয়ে আত্ম-অভিলাষ ও নির্বোধের কাজে নিমজ্জিত হয়। তাদের নিমিত্ত চিকিৎসকের সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা যেন সম্পূর্ণ বৃথা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। MHBen 113.3

যীশুর একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তথাপিও একটা যাতনাক্লিষ্ট আত্মার জন্যও তিনি তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। যে দশজন কুষ্ঠরোগী সুস্থ হয়েছিল তাদের মধ্যে মাত্র একজনই এই দানকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করেছিল, আর সে ছিল একজন ভিনদেশী শমরিয়া দেশের লোক। আর ঐ একজনের স্বার্থে যীশু দশজনকে সুস্থ করেছিলেন। পরিত্রাণকর্তা অপেক্ষা চিকিৎসক যদি ভাল ফল বা কৃতজ্ঞতা লাভ না-ও করেন, তবে মহান চিকিৎসকের কাছ থেকে তাকে শিক্ষা লাভ করতে হবে। যীশুর বিষয়ে লেখা আছে, “তিনি নিস্তেজ হইবেন না, নিরুৎসাহ হইবেন না, তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন।”(যিশাইয় ৪২:৪; ৫৩:১১)। MHBen 114.1

যদি একটি মাত্র আত্মা তাঁর আশির্বাদের সুসংবাদ গ্রহণ করত, যীশু কেবল ঐ একটি আত্মার মুক্তি কল্পেই তাঁর পরিশ্রম, অপমান, নতিস্বীকার ও তাঁর লজ্জাষ্কর মৃত্যুও ভোগ করতেন। যদি আমাদের ‘শ্রমের ফলে’মাত্র একজন মানুষও উন্নতর জীবন যাপন করে এবং উন্নীত হয়, আর প্রভুর দরবারে ধার্মিকগণিত হয়ে উজ্জ্বল সূর্যের ন্যায় হয়, তবে কি আনন্দ করবার মত কারণ থাকে না? MHBen 114.2