যুব-যুবতিদের দেখাতে হবে যে তারা তাদের জীবনে যা ইচ্ছে তাই করার জন্য স্বাধীন নয়। এখন তাদের আস্থা স্থাপনের দিন, এবং পরবর্তী কালে তাদের বােঝাপড়ার দিন আসবে। ঈশ্বরের মূল্যবান উপহারগুলোর প্রতি লঘ। ব্যবহারের জন্য তিনি তাদের নির্দোষ বলে গ্রহণ করবেন না; জগতের ত্রাণকর্তা তাদের জন্য অসীম মূল্য দিয়েছেন, এবং তাদের জীবন এবং মেধা বা তালন্ত তারই অধিকারভুক্ত; আর ঈশ্বর যে সমস্ত মূলধন তাদের কাছে গচ্ছিত রেখেছিলেন সেগুলাে তারা বিশ্বস্ততা ধনাধ্যক্ষের মত ব্যবহার করেছেন না-কি অবিশ্বস্ত ধনাধ্যক্ষের মত ব্যবহার করেছেন তার উপর ভিত্তি করে অবশেষে তাদের শেষ বিচার করা হবে। তাদের শিক্ষা দিতে হবে যে তাদের যে কোন উপায় থেকে পাওয়া সম্পত্তি এবং সর্ব প্রকার সুযােগ-সুবিধার চেয়ে মহত্তর বিষয় হল স্বর্গীয় বিষয় ও তাদের প্রতি ঈশ্বরের দেয়া দায়-দায়িত্ব পালন, এবং সেগুলােই তাদের বেশি বেশি করা প্রযােজন। এভাবে যুবক-যুবতিরা যদি সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাদের কর্তব্য পালন করে, এবং তাদের নিজেদের জীবনের প্রতি প্রদত্ত গচ্ছিত সম্পদের গুরুত্ব অনুভব করতে করতে বড় হয়, তবে তারা ক্ষতিকর আমােদ-প্রমােদের ঘূর্ণাবর্তের মধ্যে এবং অপরাধ করতে ঝাপিয়ে পড়তে দ্বিধা করবে যা আমাদের যুগে সম্ভাবনাময় বহু যুবক-যুবতি খুব সহজেই লুফে নেয়। —রিভিউ অ্যান্ড হেরাল্ড, ডিসেম্বর ১৩, ১৮৮১। MYPBen 226.2