Go to full page →

সংস্কার প্রয়ােজনীয় MYPBen 348

আমরা লক্ষ করি যে একটি মন্দ আত্মা অবিচলিতভাবে মণ্ডলীর মধ্যে অবস্থান করছে যে ঈশ্বরের বাক্যকে দোষারােপ করে। যারা কর্তৃত্বাধীন আছেন। এই ব্যাপারে তাদের করণীয় কি? যে ক্ষেত্রে ঈশ্বরের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে কিন্তু মণ্ডলীর অধিকাংশ সদস্য-সদস্যা জমকালাে পােশাক-পরিচ্ছদের হুকুম মেনে চলার পক্ষপাতী সে ক্ষেত্রে মণ্ডলীর প্রভাব যে রকম হওয়া উচিৎ সেই রকম কি হয়? যখন আমরা এই সমস্ত জিনিসগুলােকে আমাদের মধ্যে প্রশ্রয় দেই তখন কিভাবে আমরা পবিত্র আত্মার উপস্থিতি এবং সহায়তা প্রত্যাশা করতে পারি? স্বঘােষিত খ্রীষ্টের অনুসারীরা যখন খ্রীষ্টের শিক্ষামালাকে এক পাশে সরিয়ে রাখে তখন কি আমরা নীরব থাকতে পারি? যাদের ঈশ্বরের মণ্ডলীর ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে এই সমস্ত বিষয়গুলাে তাদের জন্য মর্ম বেদনা ও মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে আসে। আমার খ্রীষ্টিয় বােনেরা নিজেরাই কি খােলা মনে এবং প্রার্থনা সহকারে এই বিষয়গুলাের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন না ? তারা কি ঈশ্বরের বাক্য দ্বারা পরিচালিত হওয়ার জন্য অন্বেষণ করবেন না? জাগতিক ফ্যাশানের আদলে পােশাক তৈরিতে যে বাড়তি সময় ব্যয় হয় সেই সময়টুকু বাইবেল পাঠ করে এবং অন্তরের গভীরে তা ধ্যান করে কাটানাে উচিৎ। অযথা অলঙ্কার বিভূষিত আভরণ প্রস্তুত করে সময় নষ্ট করার চেয়ে মন্দ কাজ আর নেই, সেই সময়টুকু স্বর্ণ অপেক্ষা মূল্যবানরূপে গড়ে তােলা যায় যদি তা সঠিক নিয়ম-নীতি সম্পর্কিত জ্ঞান অন্বেষণে এবং খাঁটি পােশাক-পরিচ্ছদ নির্মাণে ব্যয় করা যায় । আমার হৃদয় ব্যথায় ভরে ওঠে যখন দেখি যুবতিরা নিজেদের খ্রীষ্টের অনুসারী বলে ঘােষণা করে অথচ তারা সুনির্দিষ্টভাবে তার চরিত্র ও তার ইচ্ছা উপেক্ষা করে। এই যুবতিরা তুচ্ছ বহিরাবরণ দ্বারা বিভূষিত করে নিজেদের তুষ্ট করেছে। উজ্জল চাকচিক্যময় সুতা ও পাথরের তৈরি জাগতিক উপস্থাপন তাদের কাছে অনন্তকালীন সম্পদ অপেক্ষা অধিক মূল্যবান। যে মানসিক শক্তি চিন্তা ও অধ্যয়নের মাধ্যমে অধিকতর উন্নতি করা যেত, তা মিথ্যা নিষ্ক্রিয়তায় ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতি অনুরাগের দ্বারা ভুগে থাকে, কারণ বাহ্যিক বেশ-ভূষণকে আত্মিক সৌন্দর্য, অথবা মানসিক শক্তি অপেক্ষা অধিক সামাজিক প্রতিপত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। MYPBen 348.1