Go to full page →

মহান শিক্ষক খ্রীষ্ট MYPBen 163

খ্রীষ্ট ছিলেন জগতের জ্যোতি। তিনি ছিলেন সর্ব জ্ঞানের প্রশ্রবণ । তিনি অশিক্ষিত ধীবরদের শিক্ষা দিতে সক্ষম যেন তিনি তাদেরকে যে উচ্চ পদে আহ্বান করবেন তা তারা গ্রহণ করতে পারে। সত্যের যে শিক্ষা এই বি লােকদেরকে দেওয়া হয়েছিল তা ছিল মহা গুরুত্বপূর্ণ। তারা জগতকে। কম্পান্বিত করবে। এই নম্র-লোেকদের তার সঙ্গে যুক্ত করা ছিল একটি সাধারণ ব্যাপার; কিন্তু এটি ছিল ভয়াবহ ফলপ্রসূ ঘটনা। তাদের কথা এবং তাদের কাজ ছিল বিশ্বে আমূল পরিবর্তন আনয়ন করা । MYPBen 163.3

যীশু শিক্ষাকে তুচ্ছ করেন নি। মনের সর্বোচ্চ কৃষ্টি, যদি প্রেম এবং ঈশ্বর ভয়ের মাধ্যমে পবিত্ৰীকৃত হয় তবে তার পূর্ণ অনুমােদন লাভ করে। খ্রীষ্ট কর্তৃক মনােনীত বিম্র ব্যক্তিগণ, স্বর্গের মহিমার দ্বারা পরিমার্জিত হবার জন্য তাঁর সঙ্গে তিন বছর যাবৎ ছিলেন । খ্রীষ্ট ছিলেন জগতের সর্ব শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। MYPBen 164.1

ঈশ্বর যুবক-যুবতিদেরকে তাদের তালন্ত এবং আবেগের সম্পদ সহ গ্রহণ করবেন, যদি তারা তার কাছে উৎসর্গীকৃত হয়। তারা বুদ্ধিসত্ত্বার সর্বশিখরে পৌছাবে; এবং যদি ধর্মীয় নীতি দ্বারা সমতাপূর্ণ হয়, খ্রীষ্ট স্বর্গ হতে যে কাজ সম্পন্ন করতে এসেছিলেন তারা সেই কাজ সম্পন্ন করবেন, এবং এরূপে প্রভুর সঙ্গে তারা সহ-কার্যকারী হবে। MYPBen 164.2

আমাদের কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের, কেবল বিজ্ঞানের জ্ঞান নয়, কিন্তু বাস্তব গুণাবলি অর্জন ও চর্চার- যা তাকে বিশুদ্ধ চরিত্র প্রদান করবে-মূল্যবান সুযােগ রয়েছে। তারা ঈশ্বরের দায়িত্বপূর্ণ নৈতিক প্রতিনিধি। ঐশ্বর্যের তালন্ত, অবস্থান স্থল এবং ঈশ্বরের বুদ্ধি মানুষকে তার জ্ঞান সম্পন্ন উৎকর্ষ সাধনের জন্য দেওয়া হয়। এ সব বিভিন্ন পরিচালিত সম্পত্তি তিনি পরিচিত দাসগণের শক্তি এবং দক্ষতা অনুসারে তাঁর প্রতিটি কাজের জন্য অনুপাত হারে বিতরণ করেছেন । -“ Review and Herald, June 21, 1877. MYPBen 164.3