যাহারা খ্রীষ্টকে একজন ব্যক্তিগত ত্রাণ কর্তারূপে গ্রহণ করিয়াছে, তাহারা এই শেষ কালে পরীক্ষা প্রলোভনে দাঁড়াইতে পারিবে । খ্রীষ্টের উপরে প্রশ্নাতীত বিশ্বাসে শক্তিমন্ত হইয়া অশিক্ষিত /নিরক্ষর শিষ্যগণ ও নাস্তিকদের সন্দেহ ও প্রশ্নাবলীর বিরুদ্ধে দাঁড়াইতে ও অবজ্ঞাকারীদের তর্কবিতর্কে লজ্জা দিতে পারিবে। প্রভূযীশু তাঁহার শিষ্যগণকে একটি ভাষা ও জ্ঞান দান করিবেন, যাহা তাহাদের শত্রুগণ অস্বীকার বা প্রতিরোধ করিতে পারিবে না, যাহারা যুক্তি দ্বারা শয়তানের প্রতারণার জয়লাভ করিতে পারিবে না তাহারা একটি ইতিবাচক সাক্ষ্য বহন করিবে যে, তাহারা তথাকথিত শিক্ষিত লোকদের হতবুদ্ধি করিয়া দিবে। অশিক্ষিত দের মুখ হইতে এমন বিশ্বাসযোগ্য শক্তি ও জ্ঞানের বাক্য বাহির হইবে যে, সত্যের পক্ষে বহু মনপরিবর্তন সাধিত হইবে। সহস্র সহস্র তাহাদের সাক্ষের কারণে মনপরিবর্তন করিবে। নিরক্ষর ব্যক্তির এই শক্তি থাকিবে, কেন শিক্ষিত ব্যক্তিগণের তাহা থাকিবে না? নিরক্ষর ব্যক্তি খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু একটি বিশুদ্ধ ও স্বচ্ছ সত্যের পরিবেশে আসিয়াছে, কিন্তু শিক্ষিত ব্যক্তি সত্য হইতে মুখ ফিরাইয়াছে। দরিদ্র ব্যক্তি খ্রীষ্টের সাক্ষী। সে ইতিহাস ও তথাকথিত উচ্চ বিজ্ঞানের নিকট আবেদন করিতে পারে না। কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য হইতে শক্তিশালী প্রমাণ গ্রহণ করিতে পারে আত্মার আবেশে সে যে সত্য প্রকাশ করে তাহা এত বিশুদ্ধ ও উল্লেখযোগ্য ও অবিরোধযোগ্য শক্তি যুক্ত যে, তাহার সাক্ষ্য তর্কাতীত। —8MR187,188 (1905). LDEBeng 146.5