মুক্তি প্রাপ্ত প্রত্যেকে তাহার জীবন কালে দূতগণের পরিচর্য্যাকার্য্য বুঝিতে পারিবে যে দূত তাহার জীবনের প্রারম্ভ হইতে তাহার অভিভাবক ছিলেন, যে দূত তাঁহার পদক্ষেপ লক্ষ্য করিয়াছেন এবং বিপদের দিনে তাহার মস্তক রক্ষা করিয়াছেন, মৃত্যুচ্ছায়ার উপত্যকা দিয়া গমন করিবার সময়ে যে দূত আমার সহবর্তী ছিলেন, যিনি তাহার কবর স্থান সুচিহ্নিত করিয়াছেন। যিনি পুনরুত্থানের প্রত্যুষে প্রথমে তাহাকে সম্ভাষণ জ্ঞাপন করিয়াছেন- তাহার সহিত আলাপ করা, এবং ব্যক্তিগত জীবনে ঐশ্বরিক মধ্যস্থতার, ও মানবজাতির প্রতিটি কার্য্যে স্বর্গীয় সহযোগিতার ইতিহাস জানিতে পারা কিরূপ হইবে ?? LDEBeng 210.7
যে পর্য্যন্ত আমরা অনন্তকালের আলোকে ঈশ্বরের প্রযত্নের দৃষ্টান্ত দেখিতে না পাইব ততদিন আমরা জানিতেই পারিব না যে, আমরা কিরূপ দৃশ্য অদৃশ্য বিপদাপদের মধ্য দিয়া দূতগণের মধ্যস্থতায় সুরক্ষিত হইয়াছি। —DA 240 (1998). LDEBeng 210.8
আত্মার ঈশ্বর নিজে যে প্রেম ও সহানুভূতি রোপন করিয়াছেন তাহা তথায় প্রকৃত এবং মধুরতম অনুশীলনে সুযোগ পাইবে। পবিত্র ব্যক্তি বর্গের সহিত অনাবিল আলাপন, পবিত্রীকৃত দূতগণের সহিত এবং সর্বযুগের বিশ্বস্তগণের সহিত, যাহারা মেষ শাবকের রক্তে আপন আপন বস্ত্র ধৌত করিয়া শুভ্র করিয়াছে তাহাদের সহিত সামাজিক জীবনের ঐক্যতান, “স্বর্গস্থ ও পৃথিবীস্থ সমস্ত পিতৃকলকে যে পবিত্র বন্ধন একত্রে বন্ধন করে এই সকল মুক্তিপ্রাপ্ত গণের সুখ সমন্বয় করিতে সাহায্য করে। - GC 677 (1911). LDEBeng 211.1