একদিন দ্বিপ্রহরে আমি একটি লেখা লিখিতেছিলাম যাহা হয়তো গত [১৯০১] জেনারেল কনফারেন্সের সময় সমাপ্ত হইত যদি আস্থার পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ ঈশ্বরের ইচ্ছা ও পথ অনুসরণ করিতেন। যাহাদের নিকট বৃহৎ আলো ছিল তাহারা আলোতে চলে নাই। সভা সমাপ্ত হইল এবং ভুল সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হইল না। লোকেরা প্রভুর সম্মুখে যেরূপ করা উচিৎ ছিল নিজেদিগকে সেরূপ নম্র করিলনা, এবং পবিত্র আত্মাকে জ্ঞাত করা হইল না । LDEBeng 43.1
এই পর্যন্ত লিখিয়া আমি জ্ঞান হারাইলাম, মনে হইল আমি ব্যাটল ক্রীকের একটি দৃশ্য দেখিতেছি । LDEBeng 43.2
আমরা তাম্বুর মিলনায়তনে সমবেত হইয়াছি। প্রার্থনা করা হইল, একটি গান গাওয়া হইল, পুনরায় প্রার্থনা করা হইল। একাগ্রতার সহিত ঈশ্বরের নিকট অনুনয় করা হইল। সভাটি পবিত্র আত্মার উপস্থিত দ্বারা লক্ষণীয় করা হইল ।...... LDEBeng 43.3
কাহাকেও আন্তরিক পাপ স্বীকার করিবার কালে উদ্ধত্য প্রকাশ করিতে দেখা গেল না, যাহারা এই কার্য্যে নেতৃত্ব দিতেছিল তাহারা সকলেই প্রভাবশালী ছিলেন, কিন্তু ইতিপূর্বে তাহাদের পাপ স্বীকার করিবার মত সাহস ছিল না । LDEBeng 43.4
তাম্বুতে যে উল্লাস দেখা গেল ইতিপূর্বে কখনও এরূপ দেখা যায় নাই । LDEBeng 43.5
অতঃপর আমি জ্ঞান ফিরিয়া পাইলাম, এবং কিছুক্ষনের জন্য কোথায় আছি তাহা বুঝিতে পারিলাম না। আমার হাতে কলম ধরা ছিল। আমাকে এইকথা বলা হইলঃ “এইরূপ হইতে পারিত। ঈশ্বর তাঁহার লোকদের নিমিত্ত ইহা করিবার অপেক্ষায় ছিলেন। স্বর্গসকল উদার হইবার অপেক্ষায় ছিল।” আমি চিন্তা করিলাম, যদি গত জেনারেল কনফারেন্সে পুঙখানুপুঙ্খ ভাবে কাৰ্য সম্পাদিত হইত তাহা হইলে আমরা কোথায় থাকিতাম । -8T104 106 ( Jan. 5, 1903). LDEBeng 43.6
রাত্রির অধিবেশনে আমার সম্মুখ দিয়া যে দৃশ্য চলিয়া গিয়াছে তদ্বারা আমি গভীর ভাবে নিষ্ঠিত হইয়াছি । মনে হইতেছিল বিরাট আন্দোলন-উজ্জীবনের কার্য্য চলিতেছে । আমাদের লোকে পথে আসিতেছে, ঈশ্বরের আহ্বানে সাড়া দিতেছে।৯১৯১৩ খ্রীষ্টাব্দে জেনারেল কনফারেন্সের অধিবেশনে ঈলেন হোয়াইটের প্রথম বার্তা হইতে গৃহিত । -TM515 (1913). LDEBeng 43.7