যখন মোশি পর্বত হতে অবতরণ করলেন তখন তার মুখ ঈশ্বরের আলোয় উদ্ভাসিত ছিল। হারোণ ও অন্যান্য লোকেরা “তাঁহার নিকটে আসিতে ভীত হইল ।” তাদের ভীতি অনুভব করতে পেরে তিনি তাদের নিকট তাঁর সহিত মিলিত হওয়ার ঈশ্বরের যে প্রতিজ্ঞা তা তুলে ধরলেন। তারা তার ধ্বনির মধ্যে প্রেম ও স্নেহশীলতা ছাড়া আর কিছুই অনুভব করলেন না। পরিশেষে একজন তার নিকটবর্ত্তী হতে সাহস করল। তার সাথে কথা বলতে ভীত হয়ে সে শুধু মোশির মুখের দিকে ও স্বর্গের দিকে ইশারা করল । মহান নেতা এর অর্থ বুঝলেন। তাদের বিবেকে পাপ থাকার জন্য তারা অস্বর্গীয় আলো সহ্য করতে পারছিল না, কিন্তু যদি তারা ঈশ্বরের মধ্যে থাকত তবে তারা এ দৃশ্যে অত্যন্ত আনন্দিত হত । PPBeng 231.4
মোশি তার মুখের উপর একখানি আবরণ দলেন, এবং ঈশ্বরের সহিত যোগাযোগের পর তাঁবুতে ফেরার পর তিনি সর্বদাই এই আবরণ মুখের উপর রাখতেন । PPBeng 232.1
এই ঔজ্জ্বল্যের দ্বারা ঈশ্বর তাঁর ব্যবস্থার উচ্চমান ও খ্রীষ্টের মাধ্যমে উপস্থিতকৃত সুসংবাদের গৌরব ইস্রায়েলদের মনে গেঁথে দিতে চেয়েছিলেন। মোশি যখন পর্বতে ছিলেন, তখন ঈশ্বর তার নিকট শুধু দশটি আজ্ঞাই দান করেন নি কিন্তু পরিত্রাণের পরিকল্পনাও তার নিকট উপস্থিত করেছিলেন। তিনি দেখতে পেয়েছিলেন যে যিহূদীদের সময়ের সমস্ত চিহ্ন ও প্রতীক খ্রীষ্টের বলির পূর্বসূত্র ছিল; আর ঈশ্বরের ব্যবস্থার গৌরবের সহিত মিলিত হয়ে কালভেরী হতে নির্গত ঈশ্বরের জ্যোতিই মোশির মুখকে এত ঔজ্জল্য প্রদান করেছিল। PPBeng 232.2
যে গৌরব মোশির মুখে প্রতিফলিত হয়েছিল তা প্রমাণ করে যে ঈশ্বরের সহিত আমাদের যোগাযোগ যত গভীর হবে এবং তাঁর নীতির সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান ততই স্পষ্ট হবে, আমরা ততই তাঁর স্বর্গীয় দূরত্বের প্রতিফলন ঘটাতে পারব। PPBeng 232.3
যে ভাবে ইস্রায়েলদের মধ্যস্থতাকারী তার চেহারা ঢেকেছিলেন, ঠিক সেই ভাবে খ্রীষ্ট যখন পৃথিবীতে এলেন তখন তিনি তাঁর ঈশ্বরত্বকে মানবতা দ্বারা ঢেকে রেখেছিলেন। যদি তিনি তার স্বর্গীয় জ্যোতি পরিধান করে পৃথিবীতে আসতেন পাপী মানুষ তখন তাঁর উপস্থিতির গৌরবকে সহ্য করতে পারত না । সুতরাং তিনি নিজকে নত করলেন ও “পাপময় মাংসের সাদৃশ্যে” (রোমীয় ৮:৩) সৃষ্ট হলেন, যেন তিনি পতিত খ্রীষ্টকে উচ্চে তুলে ধরতে পারেন। PPBeng 232.4