Go to full page →

আমরা সম্মত না হইলে শয়তান আমাদের মধ্যে প্রবেশ করিতে পারে না CCh 428

আমরা যাহা সহ্য করিতে পারি, তাহা ছাড়া অন্য পরীক্ষা আমাদের প্রতি ঘটিতে না, ইহাই ঈশ্বরের বিধান, এবং প্রত্যেক পরিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রক্ষার পথেও করিয়া দিবেন। আমরা যদি সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের জন্য জীবন যাপন করি, তাহা হইলে আমরা আমদের মনে স্বার্থপর কল্পনাগুলিকে প্রশ্রয় দিব না। CCh 428.2

শয়তান যদি কোন উপায়ে মনের মধ্যে প্রবেশ করিতে পারে, তবে সে ইহার মধ্যে তাহার শ্যামাঘাস বপন করিবে এবং যে পর্য্যন্ত না উহারা প্রচুর ফল উৎপন্ন করিবে, তাবৎ হে উহাদিগকে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইতে দিবে। আমরা স্বেচ্ছায় দ্বার উম্মুক্ত করিয়া না দিলে এবং শয়তানকে ভিতরে প্রবেশ করিতে আহবান না করিলে, সে কোন প্রকারেই আমাদের চিন্তা, বাক্য অ কার্য্যের উপরে প্রভুত্ব বিস্তার করিতে পারে না। কিন্তু আমরা দ্বার উম্মুক্ত করিয়া দিলে, সে তখন অন্তঃকরণে প্রবেশ করিবে এবং উহাতে বপিত উত্তম সত্যের বীজগুলি খুঁটিয়া খাইয়া সত্যকে ফলহীন করিয়া দিবে। CCh 428.3

শয়তানের প্রস্তাবে সম্মতি দান করিয়া কোন সুযোগ লাভের চিন্তায় গড়িমিসি করা নিরাপদ নহে। যাহারা পাপে রত, তাহাদের প্রত্যেক আত্মার পক্ষে পাপের অর্থ-বিপদ অ অবমাননা; কিন্তু সভাবতঃ ইহা অন্ধকারক অ প্রতারক আর ইহা তোষামোদ বাক্যে আমাদিগকে বিপথে লইয়া যাইবে। আমরা যদি শয়তানের পরিক্ষাস্থলে যাইতে দুঃসাহসী হই, তবে তাহার পরাক্রম হইতে রক্ষা পাইবার কোনই আশা থাকিবে না। পরীক্ষক যে সকল পথ অবলম্বন করিয়া আমাদের মধ্যে প্রবেশ করিতে পারে, যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়া তাহার প্রত্যেকটী পথ রুদ্ধ করা কর্ত্তব্য। CCh 429.1

প্রত্যেক খ্রীষ্টীয়ানের অবিরত সতর্ক থাকা এবং শয়তান যে পথে প্রবেশ করিতে পারে, আত্মার সেই প্রত্যেকটী পথে নিরন্তর চৌকি দেওয়া আবশ্যক। ঐশ্বরিক শক্তির জন্য তাহার প্রার্থনা করা আবশ্যক এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যকটি পাপ-প্রবণতা দৃঢ়্ভাবে প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। সাহসের দ্বারা, বিশ্বাসের দ্বারা এবং অবিশ্রান্ত পরিশ্রমের দ্বারা সে বিজয়ী হইতে পারে। কিন্তু তাহার ইহা স্মরণে রাখা বিধেয় যে, জয়লাভার্থে তাহার মধ্যে খ্রীষ্টের থাকা ও খ্রীষ্টের মধ্যে তাহার থাকা আবশ্যক। CCh 429.2

জগতে যে অধর্ম্ম চলিতেছে তাহা যে স্থানে দেখা না যায়, আমাদিগকে ও আমাদের সন্তানসন্ততিগণকে তথায় রাখিবার নিমিত্ত যাহা কিছু করা সম্ভব, তাহা করা কর্ত্তব্য। জগতের ভয়াবহ জিনিষগুলি যেন আমাদের মনে প্রবেশ করিতে না পারে, তজজন্য আমাদের চক্ষের দৃষ্টি ও কর্ণের শ্রবন শক্তি সতর্কতার সহকারে চৌকি দেওয়া কর্ত্তব্য। ছোট খাড়া পাহাড়ের প্রান্তভাগের কত নিকট দিয়া গমন করিয়াও নিরাপদ থাকা যায় তাহা পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন না। বিপদে প্রথম আগমন এড়াইয়া চলিবেন। আত্মার মঙ্গল লইয়া খেলা চলে না। আপনার চরিত্রই আপনার মূলধন। স্বর্ণময় ধনরত্ন যেরূপ সাবধানে রক্ষা করেন, ইহাও সেইরূপে রক্ষা করিবেন। নৈতিক পবিত্রতা, আত্ম-সম্মান ও বাধা প্রদানের প্রবলশক্তি দৃঢ়ভাবে ও অবিশ্রান্ত রক্ষা করিতে হইবে। একটুও অসাবধান হইলে চলিবে না, কারণ ঘনিষ্ঠতার ও অবিবেচনার একটী কাজ প্রলোভনের নিমিত্ত দ্বার উম্মুক্ত করিয়া আত্মাকে বিপন্ন করিতে পারে, আর ইহার ফলে প্রতিরোধের শক্তি দুর্ব্বল হইতে পারে।1AH 401-404. CCh 429.3