বিষাক্ত- ঔষধের অবাধ ব্যবহারের ফলে নানাবিধ রোগের, এমন কি ভীষণতার অমঙ্গলাদির সৃষ্টি হইয়া থাকে। রোগাক্রান্ত হইলে, রোগাক্রান্ত হইলে, রোগের কারণ কি তাহা জানিবার জন্য অনেকেই কোন কষ্ট স্বীকার করেন না। তাঁহাদের প্রধান আকাঙক্ষা বেদনা ও অসুবিধা হইতে অব্যহতি পাওয়া। বিষাক্ত ঔষধ ব্যবহার করিয়া অনেকেই নিজেদের উপরে সারা জীবনের জন্য ব্যাধি ডাকিয়া আনে তাহাতে এমন অনেক জীবন নষ্ট হয়, যেগুলি সুস্থতার প্রাকৃতিক প্রণালী ব্যাবহারের দ্বারা রক্ষা পাইতে পারিত। এইরূপ নামীয় বহু ঔষধের মধ্যে বিষাক্ততা বর্ত্তমান থাকে বলিয়া ঐগুলি আত্মা ও দেহ এই উভয়ের বিনাশার্থে মন্দ লালসা ও কুঅভ্যাসে সৃষ্টি করিয়া থাকে। জনপ্রিয় টোট্কা ঔষধের অনেক গুলিকে প্যাটেন্ট ঔষধ বলে, এবং এমন কি চিকিৎসকের দ্বারা দত্ত কোন কোন ঔষধ ব্যবহারে মদ্যপানের অভ্যাস গঠিত হয়; এই সকল অভ্যাস, আফিং এর অভ্যাস, মরফিনের অভ্যাস সমাজের পক্ষে এক অতি ভীষণ অভিশাপ। 20MH 126, 127; CCh 576.1
সাধারণতঃ ঔষধের দ্বারা চিকিৎসা কার্য্য সম্পাদিত হইলেও ইহা একটী অভিশাপ। এই জন্য ঔষধ হইতে দূরে থাকিবার নিমিত্ত শিক্ষা দিতে হইবে। ঔষধ যত কম ব্যবহার করিয়া পারা যায়, তত কম ব্যবহার করিবেন, স্বাস্থ্য রক্ষার নিয়মগুলির উপরে নির্ভর রাখিবেন তাহা হইলে প্রকৃতি ঈশ্বরের চিকিৎসকগণের—বিশুদ্ধ বায়ু, নির্ন্মল জল, যথোপযুক্ত ব্যায়াম, ও বিশুদ্ধ বিবেকের—সহাযক হইবে। যাহারা অবিচলিত ভাবে চা, কাফি ও আমিষ আহার গ্রহন করিতে থাকিবে, তাহারা ঔষধের আবশ্যকতা উপলব্ধি করিবে, কিন্তু তাহারা যদি স্বাস্থ্য—রক্ষার নিয়মগুলি পালন করিত, তবে এক গ্রেণ ঔষধ ব্যবহার না করিয়াও অনেকে সুস্থ হইতে পারিত। ফলতঃ ঔষধের আবশ্যকতা অতি বিরল। 21CH 261; CCh 576.2