বিস্ময়ের সঙ্গে বলতে হয় যে, সবাইকে বুঝতে হবে যে, সে-ই তার নিজের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রা! তােমার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ জীবনের সুখ ও অমরত্ব তােমারই উপর নির্ভর করে। তুমি যদি মনােনয়ন কর, হয়তাে এমন সহযােগী পাবে যারা তাদের প্রভাব দ্বারা তােমার চিন্তা, কথা এবং নৈতিকতাকে সস্তা করে ফেলবে। তুমি তােমার ক্ষুধা এবং ভাবাবেগ বা উত্তেজনার লাগামকে ঢিলা করে ফেলতে পার, ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তিকে তুচ্ছ করতে পার, কর্কশ ভাষা ব্যবহার করতে পার, নিজেকে অধপতনে নামাতে পার। তােমার প্রভাব দ্বারা অন্যদের কলুষিত করতে পার, এমন কি যাদের তুমি খ্রীষ্টের কাছে আনতে পারতে, তুমি তাদের সর্বনাশের কারণ হতে পার। তুমি লােকদের খ্রীষ্ট, ন্যায়, পবিত্রতা এবং স্বর্গ থেকে দূরে নিয়ে যেতে পার। বিচারে হারানাে ব্যক্তিগণ তােমাকে নির্দেশ করে বলতে পারে, “যদি তার প্রভাব না থাকত, তবে আমি হোঁচট খেতাম না, এবং আর আমি ধর্ম নিয়ে উপহাস করতাম না। তার কাছে। আলাে ছিল, সে স্বর্গের পথ জানত। আমি অজ্ঞান, অবুঝ ছিলাম; এবং বিনাশের পথে চোখ ঢাকা বলদের ন্যায় ছিলাম।” হায়, এমন একটি অভিযােগে আমরা কি জবাব দিতে পারি? এটি কতই-না গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রত্যেকেই বিবেচনা করবে, সে আত্মাগণকে কোন দিকে পরিচালিত করবে। আমরা চিরস্থায়ি বিশ্বের প্রতি দৃষ্টিপাত করছি, আর কত মনােযােগ সহকারেইনা আমাদের প্রভাবের গুরুত্ব মূল্যায়ন করতে হবে। আমাদের গণনা থেকে অনন্তকালকে বাদ দেয়া চলবে না, কিন্তু আমাদের অবিরত জিজ্ঞাসা করায় অভ্যস্ত থাকতে হবে, এই পথ কি ঈশ্বরের কাছে সন্তোষজনক হবে? যাদের। কাছে সবচেয়ে কম আলাে আছে এবং কোনটি সঠিক তা বেছে নেবার শক্তি নেই, তাদের মনের ওপরে আমার ক্রিয়া-কলাপের কেমন প্রভাব পড়বে? MYPBen 26.3