প্রশস্ত পথে সকলেই তাদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ, পােষাক আশাক, এবং পথ চলার আনন্দ স্ফূর্তি লাভ করে। তারা পরমােল্লাস এবং আনন্দ গান সহ স্বাধীন ভাবে চলছে এবং তারা তাদের যাত্রার পরিসমাপ্তির কথা এবং পরিশেষে নিশ্চিত কোনো বিপদের কথা চিন্তা করে না। প্রতিদিন তারা বিপদের নিকটবর্তী হচ্ছে; তথাপি তারা উন্মাদের মত অগ্রসর হচ্ছে। হায়, এ দৃশ্য আমার কাছে কতই না ভয়াবহ মনে হল। MYPBen 120.2
আমি লক্ষ করলাম, অনেকেই এই প্রশস্ত পথে ভ্রমণ করছে, যারা তাদের ওপরে লিখে রেখেছে, “জগতের সম্মুখে মৃত্যু। সব কিছুর পরিসমাপ্তি হাতের নাগালে। তােমরাও প্রস্তুত হও।” তাদের দেখলে মনে হয়, চতুর্দিকে সব বাজে লােক, আমি কেবল তাদের মুখাবয়বে একটি দুঃখের ছায়া দেখি । তাদের কথাবার্তায় মনে হল তারা ছন্নছাড়া, তাদের চারপাশে চিন্তাশক্তিহীন। লােকজন; কিন্তু তারা থেকে থেকে তাদের পােষাক আশাকের উপর নানা অক্ষরের লেখনী লক্ষ করছে, তারা অন্যদের আহ্বান করছে যেন তারাও তাদের মত পােষাক পরিধান করে। তারা প্রশস্ত পথে ছিল, তথাপি তারা মুখে দাবী করছিল যে তারা ঐ একই সংখ্যার অনুসারি যারা সংকীর্ণ পথ বেয়ে চলছে। তারা চারপাশের লােকজনকে বলছে, “আমাদের মধ্যে কোনাে পার্থক্য নেই। আমরা সকলেই সমান; আমরা একই পােষাক পরিধান করি, একই কথা বলি, এবং একই কাজ করি।” . . . MYPBen 120.3
আমাকে কোনাে কোনাে মুখে স্বীকার করা শাব্বাথ পালনকারীর জগতের অনুরূপতা দেখান হয়েছিল। ওহ, আমি লক্ষ করলাম যে, এটি তাদের পেশার প্রতি অবমাননাকর, ঈশ্বরের কাজে একটি অপমানজনক ব্যাপার । তারা তাদের পেশার মিথ্যা পরিচয় দিচেছ। তারা মনে করে তারা জগতের মত নয়, কিন্তু তাদের পােষাক-আশাকে, কথা বার্তায় এবং কাজে তারা তাদের এতই কাছে, যে তাদের মধ্যে যেন কোনাে ব্যবধান নেই। আমি লক্ষ করলাম তারা তাদের কৃশ, দুর্বল মরণশীল দেহগুলােকে ভূষিত করছে, যা যেকোন মুহুর্তে ঈশ্বরের অঙ্গুলি দ্বারা সৃশ্য হবে এবং তীব্র দৈহিক যাতনার শয্যায় শায়িত হবে । হায়, অতঃপর যখন তারা তাদের শেষ পরিবর্তনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে, মরণশীল তীব্র বেদনা তাদের কাঠামােগুলােকে পীড়ন করে, আর অতঃপর বিশেষ তদন্তের প্রশ্ন উপস্থিত হয়, “আমি কি মরতে প্রস্তুত? বিচারে ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হতে এবং মহৎ সমালােচনা পর্যবেক্ষণ করতে প্রস্তুত?” MYPBen 121.1
অতঃপর তাদের জিজ্ঞেস করুন, তাদের শরীর ভূষিত করায় তারা কেমন বােধ করছে, এবং ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ায় তাদের কেমন বােধ হচ্ছে, তারা আপনাকে বলবে যে, যদি তারা ফিরে গিয়ে পুনরায় বাঁচতে পারে, তবে তারা তাদের জীবন সংশােধন করবে, জগতের মূর্খতা এবং অসার কাজ, অহংকার পরিত্যাগ করে তাদের দেহ শিষ্ট, পােশাক পরিচছদে সাজাবে, এবং তাদের চারপাশে একটি আদর্শ স্থাপন করে, তারা ঈশ্বরের গৌরবার্থে বেঁচে থাকবে। MYPBen 121.2
একটি আত্ম-অস্বীকার, বি জীবনের দিকে পরিচালিত হওয়া এত কঠিন কেন? কেননা নামধারী খ্রীষ্টিয়ানগণ জগতের প্রতি মৃত নয়। মৃত্যুর পর আমাদের বেঁচে থাকা সহজ। কিন্তু অনেকে জগতের ধন-সম্পদের আশা করছে। তাদের জগতের মত পােশাক পরিধান এবং কাজ করার একটা প্রবণতা রয়েছে, তথাপি তারা স্বর্গে যেতে চায়। এটা বেয়ে ওঠার অন্য উপায়। তারা সংকীর্ণ এবং কষ্টদায়ক পথ দিয়ে প্রবেশ করে না। ... এমন লােকদের জন্য কোনাে অজুহাত নেই। অনেকে একটি প্রভাব দেখানাের জন্য পােশাক পরিধান করে। কিন্তু এখানেই তারা একটা দুঃখজনক এবং সর্বনাশা ভুল করে বসে। যদি তাদের একটি প্রকৃত ত্রাণকারী প্রভাব থেকে থাকে তবে তারা তাদের পেশার বাইরে থাকুক, তাদের ধর্মকর্ম দ্বারা তাদের বিশ্বাস প্রদর্শন। করুক, এবং খ্রীষ্টিয়ান এবং জগতের মধ্যে বড় ব্যবধান রাখুক। আমি দেখলাম যে লােকদের কথা, পােষাক এবং কাজ ঈশ্বরের পক্ষে মুখপাত্র হওয়া উচিৎ। তাহলে সকলের উপর একটি পবিত্র প্রভাব ছায়াপাত করবে, এবং সকলেই তাদের কাছ থেকে জ্ঞান লাভ করবে যে, তারা যীশুর সঙ্গে ছিল। অবিশ্বাসীগণ আমরা যে সত্য মুখে স্বীকার করি তার পবিত্র প্রভাব দেখতে পাবে, এবং খ্রীষ্টের আগমন নর-নারীগণের চরিত্র প্রভাবান্বিত করবে। যদি কোনাে ব্যক্তি চায়, তাদের প্রভাব সত্যের পক্ষে কথা বলুক, তবে তারা দ্রুপ জীবন যাপন করুক, এবং এভাবে বিভ্র আদর্শ অনুসরণ করুক। MYPBen 121.3