শৈশব এবং যৌবনে চরিত্র অতীব সহজে প্রভাবিত হয়। সে সময়ে আত্ম-নিয়ন্ত্রণের শক্তি অর্জন করতে হবে। আগুনের পাশে এবং পারিবারিক সভায় প্রভাবসমূহ বিস্তার লাভ করে, যা চিরকাল টিকে থাকে। যে কোনাে স্বাভাবিক গুণের চেয়ে যে অভ্যাসগুলাে প্রাথমিক বছরগুলােতে গঠিত হয় তা-ই স্থির করে একজন ব্যক্তি জীবন যুদ্ধে জয়ী হবে না পরাভূত হবে। MYPBen 128.5
ভাষার ব্যবহারে সম্ভবত, এতে কোনাে ভুল নেই যে, প্রাচীনেরা এবং যুবরা তাদের নিজেদের হঠাৎ বা ঝোকের মাথায় বলা অস্থির কথাগুলােকে হালকাভাবে উপেক্ষা করে যেতে বেশি তৎপর হয়ে ওঠে। তারা চিন্তা করে অনুরােধ করার জন্য এটি যুক্তিযুক্ত অজুহাত, “আমি অসতর্ক ছিলাম আমি বাস্তবিক পক্ষে বুঝতে পারিনি কি বলে ফেলেছি।” কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য এটিকে সহজভাবে মেনে নেয় না। শাস্ত্র বলে: “তুমি কি হঠকারী লােককে দেখিতেছ। তাহার অপেক্ষা বরং হীনবুদ্ধির বিষয়ে অধিক আশা আছে।” “যে আপন আত্ম দমন না করে, সে এমন নগরের তুল্য, যাহা ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, যাহার প্রাচীর নাই।” MYPBen 128.6
জীবনের সবচেয়ে বড় রকমের বিরক্তি, মনােকষ্টের উত্তেজনা যা অনিয়ন্ত্রিত মেজাজের কারণ। এক মুহূর্তে, দ্রুত গতির দ্বারা, আবেগ চালিত, অসতর্ক বাক্য, এমন মন্দ পরিণাম আনয়ন করে যা সারা জীবনের অনুতাপ মােচন করতে পারে না। হায়, যারা সাহায্য এবং নিরাময় আনতে পারত তাদের হটকারী বাক্য দ্বারা হৃদয় ভেঙ্গে যায়, বন্ধুরা ছেড়ে যায়, বিচ্ছেদ ঘটে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়! MYPBen 129.1
অত্যধিক খাটুনির কারণে মাঝে মাঝে আত্ম-নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। কিন্তু প্রভু কখনও জটিল গতিবিধির মধ্যে তাড়াহুড়াে করতে বলেন না। অনেকে তাদের উপরে এমন বােঝা নিয়ে আসে যা করুনাময় স্বর্গস্থ পিতা তাদের উপর চাপিয়ে দেননি। তিনি কখনও কাজকে এমন ভাবে বিন্যাস করেননি যে, তা আইন কানুন মানবে না। ঈশ্বর চান, যেন আমরা উপলব্ধি করি যে, আমরা যখন আমাদের ওপর অনেক বােঝা চাপাই, আমরা অত্যধিক ভারগ্রস্ত হয়ে পড়ি, এবং ক্লান্ত হৃদয়, এবং ক্লান্ত মস্তিষ্ক, খারাপ মেজাজ এবং অস্থির হয়ে পড়ি এবং খিটিমিটি করি, তখন আমরা তাঁর নামের গৌরব করি MYPBen 129.2
আমরা ততটুকু দায়িত্বই বহন করব যা কেবল ঈশ্বরই আমাদের উপর ন্যস্ত করেন, তাতে নির্ভর করব, আর এভাবে আমরা আমাদের হৃদয় বিশুদ্ধ এবং মধুর এবং সহানুভূতিশীল রাখব। MYPBen 129.3