যাহারা কখনও আলো ও জ্ঞান পায় নাই এবং পাইতে পারিত না, তাহাতে কর্ণপাত না করার নিমিত্ত তাহাদের কাহাকেও দোষী সাব্যস্ত করা হইবে না। খ্রীষ্টের প্রতিনিধিগণের দ্বারা তাহাদের নিকট উপস্থিত করা সত্য অনেকে পালন করিতে অস্বীকার করিয়াছে; কারণ তাহারা জাগতিক মানদন্ডের সহিত সমতা রাখিতে চাহে, এবং যে সত্য তাহাদের বোধশক্তি পর্য্যন্ত পৌঁছিয়াছে; যে আলো তাহাদের আত্মায় আলোকপাত করিয়াছে, বিচারে তাহাই তাহাদিগকে দোষী সাব্যস্ত করিবে। --5BC 1145(1884) LDEBeng 154.6
যাহাদের সত্য শুনিবার সুযোগ রহিয়াছে, তথাপি তাহারা তাহা শুনিতে বা বুঝিতে চেষ্টা করে না, চিন্তা করে, যদি তাহারা না শুনে তাহারা দায়ী হইবে না, যদি শুনিত ও প্রত্যাখ্যান করিত তাহা হইলে যেরূপ, সেই একই রূপে ঈশ্বর তাহাদিগকে বিচারে দোষী সাব্যস্ত করিবেন। যাহারা সত্য কী তাহা বুঝিতে পারিত, কিন্তু ভুল পথে চলিতে মনস্থ করিয়াছে তাহাদের কোন প্রকারে ক্ষমা করা হইবে না । তাহার যাতনা ও মৃত্যু দ্বারা যীশু অজ্ঞতার পাপের নির্মিত প্রায়শ্চিত করিয়াছেন, কিন্তু স্বেচ্ছাকৃত অন্ধত্বের নিমিত্ত কোন ব্যবস্থা করা হয় নাই । LDEBeng 155.1
যাহা আমরা প্রতিরোধ ও প্রত্যাখ্যান করিয়াছি তাহা ব্যতিত যে আলো আমাদের দৃষ্টিগোচরে আইসে নাই তাহার নিমিত্ত আমাদিগকে দায়ী করা হইবে না। একটি লোকের সম্মুখে যাহা উপস্থিত করা হয় নাই তাহা সে বুঝিতে পারে না, এই কারণ যে আলো তাহার নিকট কখনই ছিল না, তাহার নিমিত্ত তাহাকে দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে না। --5BC 1145 (1893). LDEBeng 155.2