সংগঠন সর্বদাই প্রয়োজন হইবে।

মণ্ডলীসমূহ যদি শৃঙ্খলা প্রয়োগ ও নির্বাহ করিবার মত সংগঠিত না হয়, তাহা হইলে ভবিষ্যতের নিমিত্ত অহাদের কোনই আশা নাই। 1T 270 (1862). যখন সম্পূর্ণ সংগঠনের প্রয়োজন যদি শয়তান এই লোকদের মধ্যে প্রবেশ করিতে এবং কার্য্যে বিশৃঙ্খলা ঘটাইতে পারে তাহা হইলে সে কতইনা উল্লাসিত হইবে। ঈশ্বরের বাক্য সম্মত নহে এমন মিথ্যা আন্দোলনকে প্রতিহত করিতে সংগঠন মহা শক্তিরূপে কার্য্য করিবে । বিজ্ঞতা এবং সযত্ন শ্রম দ্বারা গঠিত সংগঠন পদ্ধতি যেন ভগ্ন না হয় এই কারণে আমরা রজ্জুর ভারসাম্য বজায় রাখিতে চাহি যে সকল বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টিকারী এই সময় কার্য্যের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করিতে চাহে তাহাদিগকে কোন মতেই সুযোগ প্রদান করা উচি নহে।LDEBeng 35.4

অনেকে এই চিন্তালইয়া অগ্রসর হইয়াছে যে, আমরা যতই শেষ কালের দিকে আগাইব, ঈশ্বরের প্রত্যেক সন্তান কোন ধর্মীয় সংগঠনের বাহিরে স্বাধীনভাবে কার্য্য করিবে। কিন্তু আমি প্রভু কর্তৃক নির্দেশিত হইয়াছি যে, এই কার্য্যের প্রত্যেক ব্যক্তি স্বতন্ত্র বলিয়া কোন বস্তু নাই। ^{২মে ৩০, ১৯০৯ তারিখে জেনারেল কনরেন্সের অধিবেশনে উপস্থিত পতিনিধিবৃদ্ধের সম্মুখে পাঠিত পান্তিলিপি হইতে গৃহিত।} -9T 257,258 (1909).LDEBeng 35.5

আমরা যতই অন্তিম সঙ্কটের নিকটবর্তী হইব ততই শৃঙ্খলা ও ঐক্যের প্রয়োজন কম মনে না করিয়া পূর্বাপেক্ষা অধিক পদ্ধতি বদ্ধতা অনুসরণ করিতে হইবে। -3SM 26. LDEBeng 36.1